মুমিনুলের নাম কেন মনে পড়ে না কোচ হাথুরুসিংহের?
বিপিএলে দুর্দান্ত খেলছিলেন মুমিনুল হক, বিসিবি একাডেমি মাঠে অনুশীলনের ফাঁকে প্রশ্নটা করা হলো তাঁকে। এবার টি-টোয়েন্টিতেও নিজেকে প্রমাণ করার প্রত্যয়ে এগোচ্ছেন? মুমিনুল লাজুক হাসেন, ‘ঠিক তা না, ফ্র্যাঞ্চাইজি আমাদের পেছনে এত টাকা খরচ করছে…। তাদেরও তো কিছু দেওয়ার আছে!’
কিন্তু এটা কি মুমিনুলের মনের কথা? তাঁর ভেতর থেকে কি একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে না? আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে প্রায় চার বছর। কিন্তু এখনো তিন সংস্করণের ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃতি মেলেনি তাঁর। ‘টেস্ট ব্যাটসম্যান’ হিসেবে যে তকমা তাঁর গায়ে সেঁটে গেছে, সেটি মানতেও মুমিনুলের আপত্তি ছিল না, যদি বাংলাদেশ বছরে ১০-১২টা টেস্ট খেলত।
সীমিত ওভারে জাতীয় দলে নিয়মিত হতে মুমিনুলের চেষ্টার কমতি নেই। সর্বশেষ বিপিএলে তাঁর শুরুটা হয়েছে অসাধারণ। খুলনা টাইটানসের সঙ্গে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৫৭ বলে করেন ৬৪ রান। প্রথম ছয় ম্যাচে তাঁর রান ২১৬। এর মধ্যে ফিফটিই তিনটি।
তবে শুরুর ছন্দটা পরে ঠিক ধরে রাখতে পারেননি। পরের ৯ ম্যাচে রান ১১৫। ১৫ ম্যাচে মুমিনুলের রান ৩৩১। পরিসংখ্যান যা-ই হোক, সিডনিতে বাংলাদেশ দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার আগে মুমিনুল জানিয়েছিলেন, তাঁর ভেতর একটা বিশ্বাস জন্মেছে, সীমিত ওভারেও মেলে ধরতে পারেন।
মুমিনুল যে পারেন, আরেকটি উদাহরণ গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। ১৬ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি, ৭ ফিফটিতে ৪১.৯৩ গড়ে ৬৭১ রান করে ছিলেন শীর্ষ পাঁচে। ৫৫ শতাংশ রানই তুলেছেন বাউন্ডারি থেকে। স্ট্রাইকরেট ৯৫.৯৯। একাদশ নির্বাচনে ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স কি মূল্যায়ন করে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট? কখনো করে, কখনো করে না—মূল্যায়নের এই বৈপরীত্য অবশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন নয়।
টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে—দুই সংস্করণের ক্রিকেটেই মুমিনুলের সর্বশেষ স্মৃতি দুটি বিশ্বকাপ। শেষ আন্তর্জাতিক ওয়ানডেটি খেলেছেন গত বছর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে।
টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তারও এক বছর আগে। ঘরের মাঠে ২০১৪-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। মুমিনুল ‘টেস্টের খেলোয়াড়’—এই সনদ দেওয়ার আগে তাঁকে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়েছে কি না, প্রশ্নটা আরেকবার তোলাই যায়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডেতে ব্যাটিং নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়লেও টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনায় মুমিনুল আসেননি। অথচ মুমিনুল দলের সঙ্গেই আছেন নিউজিল্যান্ডে।
প্রশ্ন হতে পারে, মুমিনুলকে খেলাবে কোথায়? উত্তরের খোঁজে পাল্টা প্রশ্ন হতে পারে, সৌম্য সরকারকে যদি একাদশের বাইরে রাখতে হয়, তবে তাঁর বিকল্প কেন হতে পারেন না আরেকজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান?
অথচ সীমিত ওভারে ব্রাত্য হয়ে পড়া মুমিনুলের আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখা ওয়ানডে দিয়েই। শুধুই টেস্টের জন্য—এটাই যদি তাঁর জন্য সত্য হয়ে যায়, তথ্যটা একটা সময় মুমিনুলকে শুধু হাসাবেই না, কষ্টও দেবে!-প্রথম আলো
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন