মুসলিম অধিকারই হচ্ছে মানবাধিকার: অমুসলিম রবার্টস
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশটির মুসলমানরা তাদের নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বৃহস্পতিবার ওকলাহোমা স্টেট ক্যাপিটলে জড়ো হয়েছিলেন।
সেখানে আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস কাউন্সিলের ওকলাহোমা চ্যাপ্টারের নির্বাহী পরিচালক আদম সুলতানি বলেন, ‘মুসলমানরা বাগাড়ম্বরপূর্ণ বক্তৃতা ও ঘৃণ্য আইনের শিকার হচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজ্যে এ নিয়ে পরিবর্তন দেখার একমাত্র উপায় হচ্ছে আমাদের নির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া এবং তাকে মুসলিম কণ্ঠস্বর শোনানো নিশ্চিত করা।’
আয়োজকরা জানান, তৃতীয় বার্ষিক মুসলিম দিবসে ক্যাপিটলে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
লেজিসলেটিভ অফিস যাওয়ার আগে তারা চতুর্থ তলা বৃত্তাকার হলঘরে নামাজ আদায় করেন।
ইমাম ইমাদ ইনচেসি নামে এক যুবক বলেন, ‘নাগরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে আমি আজ এখানে এসেছি।’
এসময় আয়োজকেরা উপস্থিতদের মাঝে ইসলামি ধর্মকর্ম পালন ও নিজেদের অধিকার সম্বলিত পুস্তিকা এবং মার্কিন সংবিধানের কপি বিতরণ করেন।
আবিহা তাহা তার স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে এডমন্ড থেকে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মুসলমানদেরকে তাদের অধিকারের বিষয়ে জানতে হবে।’
এ উপলক্ষ্যে ভবনটির ভিতরে এবংবাইরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু অতীতের তুলনায় সেখানে অল্পসংখ্যক প্রতিবাদী উপস্থিত ছিল এবং আন্তঃধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যরা ক্যাপিটলের মধ্যে তাদের ঘিরে রাখেন।
ইসলামিক স্কুলের ১৭ বছর বয়সী হান্না জিদান জানান, ক্যাপিটলের বাইরে আন্তঃধর্মীয় সদস্যরা তাদের অভিবাদন জানান; যা তাকে মুগ্ধ করেছে এবং তাদেরকে নিজেদের সম্প্রদায়ের অংশ বলেই মনে হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটা সত্যিই আশ্চর্যজনক ছিল।’
ডানকান থেকে কিম রবার্টস আমেরিকান পতাকা দিয়ে বানানো টি-শার্ট পরে এসেছিলেন এবং স্লোগান দিচ্ছিলেন ‘মুসলিম অধিকারই হচ্ছে মানবাধিকার’।
রবার্টস একজন পৌত্তলিক। তিনি সব ধর্মের এবং লিঙ্গ পরিচয়কে সমর্থন করেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য সমর্থনে এখানে এসেছি।’
রবার্টস আরো বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঐক্যের জন্য সহায়ক নয়।’
ইন্ডিয়ানা থেকে আগত জিম গিলেস একটা শার্ট পরে মুসলমান ও তাদের সমর্থকদের মাঝেই দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং ওই শার্টে আল্লাহ ও হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে ব্যঙ্গ করে বিভিন্ন মন্তব্য লেখা ছিল।
বাইবেলের প্রচার এবং ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য তিনি ক্যাপিটলে এসেছেন বলে জানান।
‘আমরা আমাদের মুসলিম প্রতিবেশিদের ভালবাসি’ এমন প্ল্যাকার্ড বহনকারীদের সঙ্গেই তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন।
গিলেস জানান, সেখানে তাকে কিছুটা জ্বালাতন করা হয়েছিল এবং কেউ কেউ তাকে নিয়ে অবজ্ঞাসূচক হাসাহাসি করেছিলেন কিন্তু শারীরিকভাবে কোন হুমকি ছিল না।
তুলসা থেকে আসা ওকলাহোমা ইসলামি পরিষদের সভাপতির স্ত্রী শেরিল সিদ্দিকী জানান, আমেরিকার প্রথম সংশোধনী অনুযায়ী নিজের মতকে প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে গিলেসের।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন