মুসলিম নিষিদ্ধে ট্রাম্পকে সমর্থন আমিরাতের
সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, তা নির্দিষ্টভাবে কোনো ধর্মকে লক্ষ্য করে জারি করা হয়নি বলে দাবি করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
তিনি বলেন, মার্কিন প্রশাসনের নতুন সিদ্ধান্ত কোনো নির্দিষ্ট ধর্মকে লক্ষ্য করে নেয়া হয়েছে বলাটা হবে ভুল।
বৃহস্পতিবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লেভরভের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নাহিয়ান এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি সার্বভৌম সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সাময়িক নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব মুসলমানের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠের ওপর প্রয়োগ করা হয়নি।
বিশ্বজুড়ে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও ইউএই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করেন।
তিনি বলেন, কালো তালিকায় থাকা কিছু দেশের নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ‘কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ’ রয়েছে। তারা এখনও এ চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
গত শুক্রবার ট্রাম্প ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া এবং ইয়েমেনের নাগরিকদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ জারি করেন। কিন্তু ৯০ দিনের জন্য জারি করা এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় অন্যদেশগুলোও পড়তে পারে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে হামলার জন্য ব্যবহৃত বিমান ছিনতাইয়ে জড়িত ১৯ জনের মধ্যে ১৫ জনই ছিলেন আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের জন্মভূমি সৌদি আরবের নাগরিক।
বাকি দু’জন মিশরের, একজন করে ইউএই এবং লেবাননের নাগরিক ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র আরব দেশগুলোর অন্যতম ইউএই। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের হয়ে ইসলামিক স্টেট বিরোধী হামলায় অংশ নিয়ে আসছে দেশটি।
এছাড়া মার্কিন সেনা এবং যুদ্ধবিমানগুলো ইউএইর ভূমি ব্যবহার করে থাকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন