দু’জনের ভাষায় রয়েছে বিস্তর তফাৎ। একে অপরের সাথে কথা বলতে ইশারাকেই বেছে নেন ওয়ার্নার এবং মুস্তাফিজ। মুস্তাফিজের ভাষা বুঝতে দলে একজন দোভাষীও নিয়োগ দিয়েছে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মাঠে তো আর দোভাষী থাকেন না। তাহলে কীভাবে মুস্তাফিজকে তার বোলিংয়ের অস্ত্রগুলো ব্যবহার করতে বলেন ওয়ার্নার? কীভাবে মুস্তাফিজকে ইয়র্কার দিতে বলেন এই অসি ক্রিকেটার?

কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে প্লে-অফে জয়ের পর সে সকল প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন ওয়ার্নার। ওয়ার্নার বলেন, ‘তখন আমরা ক্রিকেটিং ভাষায় কথা আদানপ্রদান করি। সিগন্যালও করি। ইয়র্কার দিতে বললে নীচে দেখাই। স্লোয়ার বললে হাত দিয়ে দেখাই।’

মুস্তাফিজের স্লোয়ার কিংবা কাটারে কলকাতার ব্যাটসম্যানরা উইকেট না দিলেও তার শেষের দু ওভার যেন ব্যাটসম্যানদের কাছে এক আতঙ্ক। মুস্তাফিজকে সঠিক সময়ে ব্যবহার করার দিকেও নজর দিচ্ছেন ওয়ার্নার। ‘মুস্তাফিজ বড় ট্যালেন্ট। আমি চেষ্টা করেছি ওকে সতর্ক ভাবে ব্যবহার করতে। এমন সময় আক্রমণে আনতে যখন হয়তো ব্যাটিং পাওয়ার প্লে হয়ে গেছে। প্রচণ্ড মারের তোড়ের মধ্যে ওকে না ফেলতে।’

কলকাতাকে হারিয়ে প্লে-অফের দ্বিতীয় ধাপে উঠেছে সানরাইজার্স। সেখানেই তাদের জন্য অপেক্ষা করছে প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে যাওয়া গুজরাট লায়ন্স। ম্যাককালাম-ফিঞ্চ-রায়নাদের বিপক্ষে তাই মুস্তাফিজের বোলিংয়ের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে ওয়ার্নারকে।

বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা মুস্তাফিজের প্রতিটা বল মনোযোগ সহকারে দেখেন সেটিও ভালো করে জানেন ওয়ার্নার। ‘আমি ওকে খুব ভালবাসি। ও যা ফিল্ড চায়, তা-ই দিই। ওর ভাষা সমস্যা কাটিয়ে উঠে ওকে যত পারি স্বচ্ছন্দ করার চেষ্টা করি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ একটা পরিবারের মতো। আর তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মুস্তাফিজ।’