মুস্তাফিজ এত বড় তারকা হবে, এটা আল্লাহর তরফ থেকে ফায়সালা হয়ে এসেছে: মুস্তাফিজের বাবা
জীবনে কখনও ক্রিকেট খেলা দেখা হয়নি মুস্তাফিজের বাবা আবুল কাশেম গাজীর। এসব নিয়ে আগ্রহও কখনও তৈরী হয়নি তার। তবে ছেলের কারণে এখন একটু-আধটু দেখা হয়। ছেলের সাফল্যে আনন্দিত হন। সবার সঙ্গে হাততালি দেন। যদিও তার এবং তার ছেলেদের সামনে বাইরের কেউ এসে বসে টিভি দেখবে, সে সাহস হয় না। মুস্তাফিজের খেলা থাকলে বাড়ির সবাইকে নিয়ে টিভির সামনে বসে যান সবাই। তখন সবাই মিলে উপভোগ করেন সেটা। তবে বাইরে কোথাও গেলে, ছেলের খেলা থাকলেও খেলা দেখা হয় না আবুল কাশেম গাজীর।
ছেলে এতবড় তারকা হয়ে গেছে। সারা বিশ্বের সবাই এক নামে চেনে। বিষয়টা কেমন লাগে জানতে চাইলে আবুল কাশেম গাজী বলেন, ইনশাআল্লাহ ভালো। এটা আল্লাহর তরফ থেকে ফায়সালা হয়ে এসেছে। সে আমার ছেলে না! ভালো তো লাগবেই।
সে তো এখন আর আপনার একার ছেলে নয়, সারা বাংলাদেশের ছেলে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন। এখন তাকে আমার একার ছেলে বললে আসলে ভুল হবে। সে তো এখর আর আমার নেই, সে এখন পুরো দেশের, ১৬ কোটি মানুষের সন্তান। সবাই দোয়া করলে আমার বিশ্বাস সে আরও ভালো করবে ইনশাআল্লাহ।
মুস্তাফিজের সঙ্গে
প্রতিদিন যোগযোগ হয় কি জানতে চাইলে মুস্তাফিজের বাবা বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। প্রতিদিনই তার সঙ্গে কথা হয়। মাঠে যাওয়ার আগে সে আমার সঙ্গে কথা বলে। দোয়া চায়। তার মায়ের সঙ্গে কথা বলে দোয়া চায়। যতগুলো খেলা হয়, সবসময়ই আমার কাছ থেকে দোয়া চেয়ে তবে মাঠে নামে। কখনও আমার সঙ্গে কথা না বলে মাঠে যায় না।
তিনি আরো বলেন, আমরা সব সময় তার জন্য দোয়া করি। সন্তানের জন্য তো বাবা-মা দোয়া করবেই। আর তার জন্য তো এখন আমার বিশ্বাস, সারা দেশের মানুষই দোয়া করে।
মুস্তাফিজকে নিয়ে পত্র-পত্রিকায় লেখা হয়, টিভিতে প্রচার হয় এগুলো দেখেন কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, পেপার-পত্রিকা তো খুব একটা আমাদের এদিকে আসে না। আমরা তো একটু নিম্ন এলাকায় (প্রত্যন্ত গ্রামে) থাকি! এ কারণে পত্রিকা আসে না। দুটা পত্রিকা আসে দৃষ্টিপাত এবং মশাল নামে (সাতক্ষীরার স্থানীয় পত্রিকা)। ওগুলোতে দেখি।
বাবা হিসেবে মুস্তাফিজকে কোথায় দেখতে চান জানতে চাইলে আবুল কাশেম গাজী বলেন, কী বলবো বলেন! মানুষ সবাই যেমন তার সন্তানের ভালো চায়, আমিও চাই। সবাই দোয়া করবেন যেন, আমার ছেলে আরও ভালো করতে পারে। যেন বাংলাদেশের মুখকে আরও উজ্জ্বল করে আনতে পারে। সামনে বিশ্বকাপ আছে, আরও অনেক অনেক খেলা আছে। সেগুলোতে যেন সে ভালো খেলতে পারে, দেশের জন্য ভালো করতে পারে- এটাই আমি কামনা করি।’
মুস্তাফিজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেছে তো এক বছর হলো। এরমধ্যে দু’বার ইনজুরিতে পড়েছে। ভারতের আইপিএলের পর ইংল্যান্ডে যাবে। এরপর আরও অনেক টুর্নামেন্ট আসবে। তো ইনজুরিতে যেন না পড়ে, এ জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে তার কাছে কোন পরামর্শ দেয়া হয় কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু বলার নেই। সে যেটা ভালো মনে করবে, সেটা করবে। আমরা শুধু দোয়া করবো যেন সে ভালো থাকে, আরও ভালো করে। ইনজুরিমুক্ত থাকার জন্য তো অবশ্যই দোয়া করবো।
ছেলে বড় তারকা হয়ে গেছে। এ কারণে সবাই এখন আপনার কাছে আসে, সবাই আপনার সাথে কথা বলতে চায়, এ বিষয়টা কেমন লাগে আপনার কাছে জানতে চাইলে মুস্তাফিজের বাবা বলেন। অনেক ভালো লাগে। আগে যখন সে খেলতো না, তখন তো কেউ আসতো না আমার কাছে। এখন আল্লার তরফ থেকে ছেলে খেলে বড় তারকা হয়েছে। মানুষও আমার কাছে আসে। এটা তো আমার কাছে বড় পাওনা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন