মুহুর্মুহু গুলি ও বিস্ফোরণে আর জঙ্গি আতঙ্কে সিলেটবাসী
সিলেট মহানগরের দক্ষিণ শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ‘আতিয়া মহলে’ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ‘জঙ্গি দমন’ অভিযানে নামে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু ৪৮ ঘন্টা পেরোলেও শেষ হয়নি এই অভিযান। শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে অভিযানে যোগ দেয় সেনাবাহিনী। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’। তবে এই অভিযান চলাকালে শনিবার সন্ধ্যার দিকে ভবনের কাছে দুটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় পুলিশ, র্যাব সদস্যসহ ৫০ জন আহত এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত হন ছয়জন। নিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আহতদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশংকাজনক। বোমা বিস্ফোরণে আহত র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালককে রাতেই হেলিকপ্টারে ঢাকায় সিএমএইচে পাঠানো হয়।
আতিয়া মহলের জঙ্গি অভিযান আজ তৃতীয় দিনে গড়াচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে ভবনটি প্রথম ঘেরাও করে পুলিশ। ভবনের ২৯টি ফ্ল্যাটের একটি স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া নেওয়া জঙ্গিদের অবস্থা সম্পর্কে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তেমন কিছুই জানা যায়নি। বাকি ২৮টি ফ্ল্যাটে বৃহস্পতিবার রাত থেকে নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ ৭৮ জন বাসিন্দা আটকা পড়েছিলেন। এত মানুষ ভবনে আটকা পড়ায় চূড়ান্ত অভিযানে সময় নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে অভিযান চালাতে ঢাকা থেকে সিলেটে আসে ঢাকা মহানগর পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সোয়াট অভিযান চালায়নি। গতকাল সকাল আটটার দিকে সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট থেকে প্যারা কমান্ডোদের একটি দল এসে অভিযান শুরু করে।
আইএস (জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট) জঙ্গিবিরোধী ওই অভিযানের মধ্যে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এই গোষ্ঠীর কথিত বার্তা সংস্থা ‘আমাক’ এই খবর দিয়েছে বলে জানিয়েছে অনলাইনে জঙ্গিদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ।
জঙ্গিবিরোধী এই অভিযানের মধ্যে গতকাল সন্ধ্যার দিকে আতিয়া মহলের প্রায় দেড় শ গজ দূরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সেনাবাহিনী। এই সম্মেলন শেষ হতে না-হতেই আতিয়া মহল থেকে প্রায় আড়াই শ গজ দূরে প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এর ৪০-৪৫ মিনিট পর আবারও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। দ্বিতীয় বিস্ফোরণস্থলটি ছিল প্রথম বিস্ফোরণস্থল থেকে শ খানেক গজ দূরে। এই দুটি বিস্ফোরণই ঘটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যে। তবে সেখানে মাঝেমধ্যেই কিছু উৎসুক লোকজন নিরাপত্তাবলয় ভেদ করে ঢুকে পড়ছিল। তাদের ঠেকাতে দিনভরই বেগ পেতে হয়েছে পুলিশকে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থল থেকে বোমা অপসারণের সময় আবার বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে নিহত হন সিলেটে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক চৌধুরী আবু মো. কয়সর, মদনমোহন কলেজের হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ওয়াহিদুল ইসলাম অপু, সিলেটের দাড়িয়াপাড়ার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম।
রাত দুইটার দিকে জালালাবাদ থানার ওসি আখতার হোসেন জানান, ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম মারা গেছেন। তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ছাড়া ওই ঘটনায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের উপপরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ফাহিম নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাশেদুল ইসলাম। নিহত অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রথম বিস্ফোরণের পৌনে এক ঘণ্টা পর চারদিকে যখন ছোটাছুটি চলছিল, তখন আরেকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আহত হন পুলিশ ও র্যাবের কয়েকজন সদস্য। প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলে তখন দুটি মোটরসাইকেল পড়ে ছিল। কয়েকজন রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত মানুষ, এখানে-সেখানে ছোপ ছোপ রক্ত পড়ে ছিল। বিস্ফোরণের পর আতঙ্কিত লোকজন এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করছিলেন। আহত ব্যক্তিদের কয়েকজনকে হাত নেড়ে সাহায্য চাইতে দেখা যায়।
এ দুটি ঘটনার পর গতকাল রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৪ জন ভর্তির তথ্য জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, দুজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আতিয়া ভবন : শিববাড়ি পাঠানপাড়ায় ব্যবসায়ী উস্তার আলীর পাঁচ তলা ও চার তলা পাশাপাশি দুটি ভবন। একটি আতিয়া ভবন-১ অপরটি আতিয়া ভবন-২। এর মধ্যে পাঁচ তলা ভবনের নিচ তলায় জঙ্গিরা রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
বাড়ির মালিক উস্তার আলী জানান, দুই মাস আগে কাউছার আলী ও মর্জিনা বেগম স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তার পাঁচ তলা বাড়ির নিচ তলার চার নম্বর বাসাটি ভাড়া নেন। সে সময় কাউছার নিজেকে একটি বেসরকারি কোম্পানির অডিট অফিসার হিসেবে পরিচয় দেয়। সব নিয়ম মেনেই তাদের বাসা ভাড়া দেয়া হয়েছিল। দু’জনের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপিও রাখা হয়েছে। তারা নিয়মিত ভাড়াও দিয়ে আসছিল।
তবে পুলিশের ধারণা, নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা মুসা কাউছার নাম নিয়ে ওই বাড়িতে আস্তানা গেড়েছে। এর আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডসহ বিভিন্ন ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী মিলে ‘জঙ্গি পরিবার’ গড়ে তুলতে দেখা গেছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, বিয়ের মাধ্যমে আত্মীয়তা করে ছোট ছোট ইউনিট গড়ে তোলার কৌশল নিয়েছে জঙ্গিরা।
জঙ্গি আস্তানার সন্ধান : পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের জানান, সিলেটে জঙ্গি আস্তানা থাকার তথ্য পাওয়ার পর তাদের সদস্যরা সিলেট পুলিশকে নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অনুসন্ধান চালাচ্ছিল। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে শিববাড়ির ওই ভবনের সন্ধান পান তারা।
বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ সদস্যরা ওই ভবন ঘিরে ফেলে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। ভোরের দিকে নিচ তলার এক বাসার জানালা খুলে ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দিয়ে ছোড়া হয় গ্রেনেড। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায় এবং পুরো এলাকা ঘিরে রাখা হয়।
আতিয়া মহলের পাশের ভবন ঘেরাও : সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো দল শনিবার সকালে অভিযান শুরু করলে আতিয়া মহলের বিপরীতে থাকা সাদা রঙের বহুতল ভবন থেকে সকাল ১০টা ৫ মিনিটে দু’রাউন্ড গুলি হয়। এরপর ওই ভবনটি ঘিরে রাখে সেনাবাহিনী। সরিয়ে নেয়া হয় চার তলাবিশিষ্ট ওই ভবনের বাসিন্দাদের। তবে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা কোনো বক্তব্য দেননি।
প্রথম হামলা: আটকাবস্থা থেকে উদ্ধার করা ৭৮ জনকে রাখা হয়েছিল আতিয়া মহল থেকে দুটি বাড়ির পরে একটি বাড়িতে। গতকাল সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা তাঁদের উদ্ধার করে। পরিকল্পনা ছিল সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আটকাবস্থা থেকে উদ্ধার পাওয়া বাসিন্দাদের কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনের পরপরই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন সাংবাদিক বলেন, সংবাদ সম্মেলনস্থল থেকে বেরিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট পর তিনি একটি দোকানে চার্জে রাখা মুঠোফোন আনতে যাচ্ছিলেন। এ সময়ই তিনি প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন। প্রথমে ভেবেছিলেন, সারা দিন আতিয়া মহল থেকে যে রকম গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ এসেছে, এটিও বোধ হয় তেমন কিছু। এ সময়ই রক্তাক্ত হাতে একজন দোকানে এসে সিলেটের স্থানীয় ভাষায় বলেন, ‘রাস্তাত বোম মারছে, আমি আতো (হাতে) দুক (ব্যথা) পাইছি।’ তারপর তিনি ঘটনাস্থলের দিকে পা বাড়াতেই কয়েকজন সহকর্মী সাংবাদিককে উল্টো দিকে দৌড়াতে দেখেন।
আলোকচিত্র সাংবাদিক আনিস মাহমুদ বলেন, সংবাদ সম্মেলনের ছবি তুলে ৬০ থেকে ৭০ গজ হাঁটার পরই তিনি বিস্ফোরণের শব্দ পান। তিনিও ভেবেছিলেন, এটা আতিয়া মহলের অভিযানের শব্দ। কিন্তু সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের সংযোগে অন্ধকারের মধ্যে ‘বাঁচান বাঁচান’ শব্দ শুনতে পান। সেখানে দুটি মোটরসাইকেল উল্টে পড়ে ছিল। তখন ক্যামেরার ফ্ল্যাশের আলোতে তিনি কয়েকজনকে পড়ে থাকতে দেখেন। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা লোকগুলো সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিল। স্থানীয় কিছু লোকজন পরে তাদের তুলে হাসপাতালে নেন। এরপর সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসে পুরো জায়গার নিয়ন্ত্রণ নেন।
দ্বিতীয় বিস্ফোরণ: প্রথম হামলার পৌনে এক ঘণ্টা পরে হতাহত ব্যক্তিদের এবং অভিযানের সার্বিক তথ্য সংগ্রহ করছিলেন কয়েকজন সাংবাদিক। পুলিশ, র্যাব ও সেনাসদস্যদের ছোটাছুটি চলছিল। আরও বোমা আছে কি না, তা খুঁজে দেখা হচ্ছিল। এ সময়ই রাত পৌনে আটটার দিকে দ্বিতীয়বার বিস্ফোরণ ঘটে। দ্বিতীয় বিস্ফোরণস্থল পূর্ব পাঠানপাড়া জামে মসজিদ মাদ্রাসা গলির মুখে। এ ঘটনাস্থলের খুব কাছে মসজিদের সামনে ছিলেন এটিএন নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ইমরান হোসেন।
তিনি বলেন, প্রথম বোমা হামলার ফুটেজ সংগ্রহ করে, অফিসে সংবাদ দিয়ে যখন তিনি গাড়িতে ওঠার জন্য পা দিয়েছেন, সে সময়ই গাড়ি থেকে ২৫-৩০ গজ দূরে প্রচণ্ড শব্দে চারদিক কাঁপিয়ে আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে। কয়েকজন বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরা পুলিশ সদস্যকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। এরপর গাড়ির পেছনে তাঁরা আরেকটি অবিস্ফোরিত বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পান।
তবে বিস্ফোরণ নিয়ে একেক রকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। কেউ বলছেন, আতিয়া মহলের ভেতর থেকে বোমা ছুড়ে মারা হয়েছে, আবার কেউ বলছেন, মোটরসাইকেলে আত্মঘাতী হামলাকারীরা এসে বোমা ছুড়েছে। তবে এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে অভিযান : শনিবার রাতে শুরু হওয়া প্রবল ঝড়-বৃষ্টি থেমে থেমে চলতে থাকে। সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি একটু কম ছিল। এরই মধ্যে ৯টার দিকে শুরু হয় প্যারা কমান্ডো বাহিনীর অপারেশন টোয়াইলাইট। পরে সকাল ১০টার দিকে ফের ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। এমন প্রতিকূল আবহাওয়াতেও অব্যাহত থাকে প্যারা কমান্ডো বাহিনীর অভিযান।
নিহত পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি সুনামগঞ্জে : সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সিলেটের শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গির ছোড়া গ্রেনেড হামলায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তা চৌধুরী মোহাম্মদ আবু কায়সার দিপুর বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি শহরের জামাইপাড়ার মৃত আছদ্দর আলী চৌধুরীর ছেলে। সাত ভাই এক বোনের মধ্যে দিপু তৃতীয়। দিপু সিলেট নগর পুলিশে পরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন। নিহত দিপুর ছোট ভাই চৌধুরী বাবলু খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
দিপুর মৃত্যুর খবরে তার পরিবারে শোকের মাতম চলছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ছোট ভাই চৌধুরী বাবলু সিলেটের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন। ছোট ভাই বাবলু ছাড়া পরিবারের বাকিরা সুনামগঞ্জের বাইরে থাকেন। দীর্ঘ বিবাহিত জীবনে পুলিশের পরিদর্শক দিপুর কোনো ছেলে সন্তান ছিল না। ঘটনার সময় তার স্ত্রী লোপা সিলেটে অবস্থান করছিলেন।
অভিযান দেখতে গিয়ে আহত : আতিয়া মহলে অভিযান দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন স্টুডিও ব্যবসায়ী শিবুল মালাকার। তিনি শিববাড়ির পাশের পৈতপাড়ার বসন্ত মালাকারের ছেলে। তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহত শিবুল ঘটনাস্থলের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় হঠাৎ গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেট অঞ্চলে সাত লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি।বিস্তারিত পড়ুন
সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেঞ্চুগঞ্জে দুটি বগি লাইনচ্যুতবিস্তারিত পড়ুন
সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
গত কয়েকদিনের অবিরত হালকা ও ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি এবং ভারতবিস্তারিত পড়ুন