মৃত্যুপথযাত্রী কিশোরের পাশে দাঁড়াতে চান মিস আয়ারল্যান্ড প্রিয়তি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন মৃত্যুপথযাত্রী অজ্ঞাত কিশোরকে বাঁচাতে সাহায্য করতে চান বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত মডেল, বৈমানিক, মিস আয়ারল্যান্ড ও মিস আর্থ-২০১৬ এর সেকেন্ড রানার আপ মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি।
শনিবার রাত ৯টায় জাগো নিউজে প্রকাশিত ‘মৃত্যুপথযাত্রী ছেলেটির পাশে নেই কোনো আপনজন’ শীর্ষক মর্মস্পর্শী প্রতিবেদনটি পড়ে রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় নিজের ফেসবুক ওয়ালে ওই প্রতিবেদনটি শেয়ার দেন তিনি।
শেয়ার দেয়ার সময় ওই নিউজটির উপরে একটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘কেন এনি ওয়ান প্লিজ হেল্প মি টু গেট এনি ইনফরমেশন এবাউট দিজ বয়!! আই ওয়ান্ট টু হেল্প হিম। প্লিজ প্লিজ প্লিজ।’
নিজ ওয়ালে সাদমান সাকিবকে উদ্দেশ্যে করে ইংরেজি অক্ষরে বাংলায় লেখা অপর এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘তোমার কোনো ফ্রেন্ড দিয়ে কোনো ইনফরমেশন আনতে পারবা? কি অবস্থায় আছে ছেলেটি? কী লাগবে? ইউ প্রভাবলি ফিল দি সিচুয়েশন।’
‘মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না’ ভুপেন হাজারিকার সেই হৃদয় ছোঁয়া গানটির প্রতিটি লাইনে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করার যে প্রয়াস চালানো হয়েছে, তারই যেন ছোঁয়া লেগেছে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে বসবাসকারী বিশ্ব সুন্দরী প্রিয়তির হৃদয়ে। তার লেখনিতে অজ্ঞাত ওই কিশোরকে বাঁচানোর আকুল অভিপ্রায় ফুটে উঠেছে।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ১১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর সার্কেল চত্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয় অজ্ঞাতনামা ওই কিশোর। মাথায় তীব্র আঘাতের ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় তার। ওইদিন থেকে সম্পূর্ণ সংজ্ঞাহীন হয়ে ওই কিশোর আইসিইউর দুই নম্বর বেডে পড়ে আছে।
মিস আয়ারল্যান্ড ও মিস আর্থ-২০১৬ এর সেকেন্ড রানার আপ প্রিয়তির ফেসবুক স্ট্যাটাসে থাকা বিভিন্ন ইন্টারভিউয়ে নতুনদের উদ্দেশ্যে লিখা হয়েছে, ‘আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই ভালো মানুষ হন, সেটি আপনার কাজের মাধ্যমেই ফুটে উঠবে। অন্যদের প্রতি মৌলিক যে গুণাবলি যেমন- সততা, সহায়তা, সত্যতা, স্বচ্ছতার মতো মানবিক ব্যাপারগুলোও মানুষের মাঝে থাকা জরুরি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘যখন আপনার ভেতর এই গুণাগুণগুলো থাকবে, তখনই আপনি আপনার খ্যাতি উপভোগ করুন। কিন্তু তারকাখ্যাতি পাওয়ার জন্য নিজের মানবিক বিষয়গুলোর সঙ্গে সমঝোতা করা ঠিক নয়। যারা তারকাদের কাজে মুগ্ধ, তাদেরও এটি মনে রাখা উচিত যে, মেধা ও খ্যাতি পাওয়ার আগে তারাও সাধারণ মানুষের মতোই ছিলেন। অন্যদের মতো তাদেরও সব মানবিক দিক আছে, পাশাপাশি অন্যান্য দোষগুণও আছে।
সুন্দরী প্রিয়তির অভিপ্রায়ের কথা জানিয়ে ঢামেক হাসপাতালের এনেসথেসিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রহমানের কাছে রোববার ওই কিশোরের শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো মিরাকল না ঘটলে কিশোরের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। ভেন্টিলেটর মেশিনে রেখে তার চিকিৎসা চলছে। তার মস্তিষ্কে বড় ধরনের ক্ষত হয়েছে। কোনো পরীক্ষার মাধ্যমেই ক্ষতের পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, ওই কিশোরের বয়স খুবই কম হওয়ার কারণে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসায় অনেক সময় ব্রেনের ক্ষত ভাল হয়ে বেঁচেও যেতে পারে। তবে এ ধরনের বেঁচে যাওয়া রোগীর সংখ্যা খুবই নগন্য।
ঢামেক আইসিইউতে ওই কিশোরের মতো বহু রোগী আসে জানিয়ে ডা. আবদুর রহমান বলেন, তিনি (প্রিয়তি) সত্যিকার অর্থেই মৃত্যুপথযাত্রীদের প্রাণে বাঁচিয়ে তুলতে সাহায্য করতে চাইলে জাগো নিউজের মাধ্যমে যে কোনো ধরনের সাহায্য আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপকবিস্তারিত পড়ুন
দুই দফা কমার পর ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম
টানা দুই দফা কমার পর দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দামবিস্তারিত পড়ুন
চট্টগ্রামে দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিসের বহরের গাড়ি
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে সড়কবিস্তারিত পড়ুন