শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সন্তানদের কবরের পাশেই বসে থাকবো: আয়লানের বাবা

নিজের জীবন দিয়ে তুর্কি শিশু আয়লান আল কুরদি বিশ্ববাসীকে বুঝিয়ে গেছে অভিবাসন সঙ্কটের তীব্রতা। আর নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শিশুটির বাবা আবদুল্লাহ সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছেন, নিজের মুত্যুর আগ পর্যন্ত সন্তানদের কবরের পাশে থাকতে চান তিনি।

গেল বুধবার তুরষ্ক উপকূলে অভিবাসীবাহী একটি নৌকা ডুবে গেলে শিশুটির মা সহ পরিবারটির ১২ জন সদস্য নিহত হন। তবে উদ্ধার হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বেঁচে গেছেন শিশুটির বাবা আবদুল্লাহ।

স্ত্রী-সন্তান হারিয়ে পাগলপ্রায় তিনি। স্বজন হারানোর বেদনা আর বুকভরা যন্ত্রণাই তার একমাত্র সঙ্গী। ‘আমার অবুঝ দুই সন্তান ও স্ত্রী মারা গেছে’- এ সরল বাক্যটি ছাড়া কোনো কথা মুখে ফোটে না আবদুল্লার। তিনি বলেন, ‘আমার সব স্বপ্ন শেষ।’

সিরিয়ার কোবানিতে বসবাসকারি আবদুল্লাহ জানান সেখানে ইসলামিক স্টেটের অত্যাচার-নিপীড়ন বেড়েই চলছে। তাই জন্মভূমি ছেড়ে ইউরোপে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল আবদুল্লাহ। প্রিয়সন্তান গালিপ (৫) ও আয়লান কুর্দির (৩) সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনাই ছিল প্রধান লক্ষ্য। সঙ্গে ছিল স্ত্রী রেহান (৩৫)। কিন্তু তার সুন্দর ও যুদ্ধের বিড়ম্বনাহীন জীবনের স্বপ্ন বিলীন হয়ে গেছে ভূমধ্যসাগারের প্রাণনাশী ছোবলে।

তুরস্কের উপকূল থেকে ছোট ডিঙ্গিতে চেপে গ্রিসের উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকাটিতে আরও ১৯ জনের সঙ্গে গাদাগাদি করে রওনা করেন। কিন্তু গ্রিসের নিকটবর্তী কোস আইল্যান্ডের কাছে ঢেউয়ের তোড়ে উল্টে যায় নৌকাটি। কোনোমতে সাঁতরে কিনারা পেয়ে যমদূতের হাত থেকে রক্ষা পান আবদুলাহ। কিন্তু বাঁচাতে পারেননি তার কলিজার টুকরো শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে। সর্বনাশী নোনা পানিতে ডুবে মরা স্ত্রী-শিশুর লাশ সকালে ভেসে উঠেছে তুরস্কের উপকূলে। থকথকে বালুর ওপর মুখ থুবরে পড়ে থাকা আয়লানের নিথর দেহ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

অন্য যেকোনো মানুষের মতো একটাই চাওয়া ছিলো আব্দুল্লাহ’র। সেটা হলো সহিংস পরিবেশ থেকে বেরিয়ে সুন্দর জীবনের সন্ধান।

স্বাভাবিক এই স্বপ্নটাই বাস্তবে খুবই করুণভাবে ধরা দিলো। স্ত্রী-সন্তান হারিয়ে বেঁচে থাকার মতো আর কিছুই নেই বলে জানান আব্দুল্লাহ। সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘আমি এই পৃথিবীতে কিছুই চাইনা। আমার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। আমি আমার সন্তানদের কবর দিয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাদের পাশেই বসে থাকবো।’

এদিকে কানাডায় আব্দুল্লাহ ও তার পরিবার যেন শরনার্থী শিবিরে বসবাস করতে পারে সেজন্য সেখানকার অধিবাসী আব্দুল্লাহর বোন টিমা কুর্দি সকল কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন বলে জানান কানাডার সংসদ সদস্য ফিন ডনলি। তবে জুনেই সেটা প্রত্যাখ্যান করা হয়।

কিন্তু টিমা কুর্দি জানান, আবেদনপত্র আব্দুল্লাহ নয় তার অন্য ভাইয়ের জন্য ছিলো কানাডার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট জানায়, আব্দুল্লাহ’র পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো আবেদন পায়নি তারা।

টিমা কুর্দি কানাডায় আব্দুল্লাহর বসবাসের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন কিন্তু একসঙ্গে থাকার সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। সাগরের উত্তাল ছোবলে প্রাণ হারাতে হলো আব্দুল্লাহ’র পরিবারকে। তবে সাগরের উত্তাল ছোবলের চেয়েও ভয়াবহ রুপ আকারে ধরা দিয়েছে চলমান অভিবাসন সঙ্কট।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ