মেসি-নেইমার-শাকিরাকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ ড. ইউনূসের
ফুটবলার লিওনেল মেসি, নেইমার, পিকে ও কণ্ঠশিল্পী শাকিরাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূস। আজ বুধবার ঢাকায় ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২৬-২৭ জানুয়ারি স্পেনের বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবের আমন্ত্রণে ক্লাবটির স্টেডিয়াম ও জাদুঘর পরিদর্শন করেন ড. ইউনূস। ক্লাবের সহসভাপতি জর্ডি কার্দোনার ও ক্লাব পরিচালক ডি ডাক লি ড. ইউনূসকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। সফরে ড. ইউনূসের সঙ্গে ছিলেন ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোর্শেদ।
বার্সা সহসভাপতি জর্ডি কার্দোনার এ আমন্ত্রণ সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছে দেবেন বলে জানান। ড. ইউনূসের সঙ্গে মেসি ও শাকিরা জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত পরামর্শক দলের সদস্য। কার্দোনার পৃথিবীজুড়ে সামাজিক ব্যবসা উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
ইউনূস সেন্টার থেকে জানানো হয়, আমন্ত্রণকারীরা অধ্যাপক ইউনূসকে স্টেডিয়াম ও বিশেষ করে জাদুঘর ঘুরিয়ে দেখান। তাঁকে পিচের ওপর দিয়ে হাঁটার আমন্ত্রণ জানানো হয়, যা সচরাচর অন্যদের জানানো হয় না। পিচে খেলা চলার সময়ে কেমন অনুভূতি হয় তা বোঝানোর জন্য তাঁকে ভিআইপি বক্সে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখান থেকে পুরো মাঠটা দেখা যায়। তাঁর যখনই ইচ্ছে হবে এখানে এসে ভিআইপি বক্স থেকে যেকোনো খেলা দেখার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁকে মিডিয়া গ্যালারিতে নিয়ে যাওয়া হয় যাতে তিনি মিডিয়ার লোকজন মাঠের খেলা কীভাবে দেখে তা উপলব্ধি করেন।
ফুটবল ক্লাবটির অফিসিয়াল টিভি চ্যানেল প্রফেসর ইউনূসের সাক্ষাৎকার নেন। আমন্ত্রণকারীরা গত ডিসেম্বরে বার্সেলোনা যে ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি জেতে তা অধ্যাপক ইউনূসকে দেখান। তিনি মেসির পাঁচটি ফিফা-ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের সঙ্গে একটি ছবিও তোলেন।
ক্লাবের সহসভাপতি জানান, অধ্যাপক ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানাতে পেরে তাঁরা সম্মানিত বোধ করছেন এবং ফুটবলের মাধ্যমে মানুষের, বিশেষ করে শিশুদের মুখে কীভাবে হাসি ফোটানো যায় তা তাঁরা ড. ইউনূসের কাছ থেকে শিখতে চান।
ড. ইউনূস বলেন, “এখানে আসতে পেরে আমি অত্যন্ত রোমাঞ্চিত বোধ করছি। বাংলাদেশে সবাই বার্সার ভক্ত। বাংলাদেশের মানুষ এই ক্লাব ও এর খেলোয়াড়দের সম্পর্কে সবই জানে এবং এদের সম্পর্কে মানুষের আবেগ দেখলে অবাক হতে হয়। এ দেশের মানুষের কাছে বিশেষ করে যুব সমাজের কাছে খেলা হচ্ছে একটা স্বপ্ন। বার্সা মানুষকে একত্রিত করে এবং এই শক্তি অন্যদের মঙ্গল করতে পারে, যেমনটি তারা বলে ‘ক্লাবের চেয়ে বেশি’, এর একটি অপ্রতিরোধ্য সম্ভাবনা রয়েছে।”
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন