মেয়র আনিসুল হককে খোলা চিঠি
শুভ কামনা আপনার জন্য। এই ছবিগুলো শুধুই অভিযোগ নয়। ঢাকা শহরে একটা শিশুর জন্মগ্রহণে লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। বেশির ভাগ হাসপাতালের বাধ্যতামূলক সিজার বাণিজ্য আর যদি এনআইসিওতে বাচ্চাটা ভর্তি করা যায়। তবে তার ব্যয় কয়েক লক্ষ টাকা ছেড়ে যায়।
এই বাস্তবতায় মোহাম্মদপুরের ১০০ শয্যার মা ও শিশু হাসপাতালটি মধ্যবিত্ত,নিম্ন মধ্যবিত্ত, বিত্তহীন মধ্যবিত্ত, কাগুজে মধ্যবিত্ত আর পোষাকী মধ্যবিত্তের জন্য আর্শিবাদ। মাত্র ৫০০০ টাকায় সিজার আর ১২০০ টাকায় সাধারণ ডেলিভারি হয়। স্বল্পমূল্যে প্রতিবছর অসংখ্য নারীদের মাতৃকালী স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে।
আমরা চাই না ১০০ শয্যা মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে যেন জরুরি রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটা যেন না অপেক্ষা করতে হয়। কখন ডিসিসি ময়লাবাহী গাড়িটা সরে যাবে।
আমরা চাই, আপনি একদিন হাসপাতালটায় যাবেন। আপনি যাওয়া উপলক্ষ্যে গত ২৫ আগস্ট ২০১৫ সালের সকাল ৯.১৫ মিনিটের মত হাসপাতালের ঢুকার মুখে রাস্তাটা ঝকঝক তকতক করবে। সেই ঝকঝক তকতক রাস্তা দিয়ে প্রতি বছর হাজার নব দম্পতি তাদের নবজাতক নিয়ে হাসতে হাসতে বের হবে। স্বামী তার স্ত্রীকে রুমালটা পকেট থেকে বের করে দিবে নাকে চেপে ধরার জন্য নয়। বেশ কয়েকদিন আলাদা বিছানায় শুয়ার কষ্টে চোখের জল মুছার জন্য। শিশুগুলো সবুজ ছায়া ঘেরা হাসপাতাল থেকে বের হয়ে জানবে এই শহরটা পুরোপুরি বাস অযোগ্য হয়ে পড়েনি। একজন মানবিক মেয়র আছেন যিনি শুধু টেলিভিশন, পত্রিকার পাতায় আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই নয়। তিনি লড়াই করছেন শহরটা বাসযোগ্য করা জন্য।
মাননীয় মেয়র
আমলাদের ডজনখানিক অযুহাত কিংবা অপ্রয়োজনীয় যুক্তি পিছনে ফেলে হাসপাতালের সামনে থেকে ময়লা স্থানান্তর কেন্দ্রটি সরানোর দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি কোটি মানুষের আস্থা, ভালবাসা আর বিশ্বাসের প্রতীক একজন নগরপিতার একটা ডাস্টবিন আর আমালাদের অযুহাতের কাছে হার মানতে পারে না।
আপনার প্রতি শুভ কামনা। শুভ কামনা আপনার প্রতিজন নাগরিক সেবকের প্রতি।
লেখক: সৈয়দ সাইফুল আলম
পরিবেশকর্মী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন