মেয়র আনিসুল হক: মশা নিয়ে আজ আমার সুইসাইড করার অবস্থা

মশা নিয়ে মন্তব্যের জেরে তোপের মুখে আছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘জলাশয়ে মশা নিয়ে আজকে আমার প্রায় সুইসাইড করার অবস্থা। আমি কী না কী বলেছি। সব জায়গায় মশা মারার অধিকার আমার নেই। জলাশয়ের মশা মারতে বলেন, বাড়ির মধ্যে মারতে বলেন, আইনগত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।’
শনিবার সন্ধ্যায় গুলশান-২এর ডিএনসিসির মূল কার্যালয়ে ‘ঢাকা: মেমোরি অর লস্ট’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
‘কোনো ধরনের মহামারির জন্য ডিএনসি দায়ী না এবং বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মশারি টানিয়ে দিতে পারি না’ শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন মেয়র আনিসুল হক। এই মন্তব্যের জেরে তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার মুখে পড়েন মেয়র। শনিবার সকালে মশক নিধনে আয়োজিত এক র্যালির আগে সাংবাদিকদের কাছে শুক্রবারের সেই বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন আনিসুল হক।
সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে মেয়র বলেন, ‘আসলে যেভাবে বলতে চেয়েছি সেভাবে হয়তো বলতে পারিনি। আমরা বলেছিলাম যে, বাড়ির ভেতরে ঢোকার অধিকার আমাদের নেই। আমরা কাউকে আঘাত করতে চাইনি, কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে আমি দুঃখিত। আমরা চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের চেষ্টা করছি। সমস্ত শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছি।’
সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে সেই প্রসঙ্গ টেনে মেয়র বলেন, ‘খাল পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখি খাল আমার না। এইযে আজকে দেখি অনেক কথা হচ্ছে, লেক পরিষ্কার করার কথা বলা হচ্ছে, অথচ সেখানে আমার কোনো অধিকার নেই।’
মেয়র বলেন, ‘আজকে শহর গড়ার কথা এসছে। শহর গড়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু শহর গড়তে যে মাস্টার প্ল্যান করা, সেটি করার মতো অবস্থা ঢাকা শহর নেই।’
আনিসুল হক বলেন, ‘ঢাকা শহরকে সুন্দর তিলোত্তমা বানানো একেবারেই মুশকিল। মোটমুটি যদি কোনোভাবে দাঁড় করানো যায়, সেভাবেই চেষ্টা করছি। গত দুই বছরে দেখেছি, আমি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করি এই জায়গাটিতে একজনও আর্কিটেক্ট নাই। নিজেদের টাকায় শহর গড়ার জন্য ছয়জন আর্কিটেক্ট রেখেছি।’
মেয়র বলেন, ‘মেয়র অফিস এখন আর সাংস্কৃতিক অফিস নয়, মেয়র অফিস এখন একটা হাই প্রোফাইল মাফিয়া অফিস। শহর গড়ার দায়িত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে দেখি ইটস নট আ ইজি জব। প্রথমত রাস্তা ঘাট ঠিক করতে হয়, ড্রেন ঠিক করতে হয়।’
আনিসুল হক বলেন, ‘রাস্তাঘাট যখন ঠিক করতে যাই তখন দেখি রাস্তা ঘাট যারা দখল করে আছেন তারা অনেকের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। যেমন: গাবতলীর আমীনবাজারে ৫০ বছর ধরে আমাদের ৫২একর জমি দখল করে রেখেছে। গত সপ্তাহে বলা হলো যাবো। বলল সাবধান গোলাগুলি হতে পারে। সেখানে আমরা গত চার পাঁচ মাসে প্রায় ৩৭ একর জমি উদ্ধার করেছি। এরকম অনেক জায়গাই ৪০/৫০ বছরের দখলে আছে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের
জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন

নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় দুই শিশু নিহত, আহত ১৭
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে একটি ক্যাথলিক স্কুলে জানালা দিয়েবিস্তারিত পড়ুন