মেয়র না হতে পারলেও জিতেছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি

বিএনপি প্রার্থী হিসেবে সাখাওয়াত হোসেন খানকে মনোনয়ন দেয়ার পর থেকেই গুঞ্জন ছিল স্থানীয় নেতারা তার জন্য কাজ করবেন না। আধিপত্য বিস্তারের রাজনীতিতে সাখাওয়াতের মতো দ্বিতীয় সারির নেতাকে কখনোই মেয়র হতে দেবেন না স্থানীয় তিন নেতা। এমন আশঙ্কায় নানা দেনদরবারের পরও স্থানীয় নেতাদেরকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সর্বশেষ দলীয় প্রার্থীর ভরাডুবির মধ্য দিয়েই তা স্পষ্ট হলো। তবে নিজেদের কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিজয় ঠিকই ছিনিয়ে এনেছেন প্রভাবশালী এসব নেতা।
রিটার্নিং অফিস ঘোষিত বেসরকারি ফল থেকে জানা গেছে, দলের মেয়রপ্রার্থী সাখাওয়াত হোসেনকে বিজয়ের মালা পড়াতে না পারলেও নিজেদের কাউন্সিলর প্রার্থীদেরকে ঠিকই বিজয়ী করতে সক্ষম হয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার ও সাবেক সংসদ গিয়াস উদ্দিন।
এদের মধ্যে, তৈমুর আলমের ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ১৩নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই তৈমুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তিনি তার ভাইয়ের প্রচারণাতেই ব্যস্ত। বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেননি তিনি।
অন্যদিকে পাশ করেছেন আরেক প্রভাবশালী নেতা গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ সাদরিলও। ৫নং ওয়ার্ড থেকে ব্যাডমিন্টন প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন সাদরিল।
নির্বাচনের আগের দিন বিএনপি প্রার্থীর বাইরে ‘কেবল’ ছেলের পক্ষে ভোট চাওয়া প্রসঙ্গে গিয়াস বলেন, ‘সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বাইরে তো কোথাও যাই না, অন্য স্থানে কাজে অবহেলার বিষয়টি বলতে পারবো না। তবে আমার এলাকায় আগে সমস্যা ছিল, এখন কোনো সমস্যা নেই।’ সেসময় ছেলের বিজয়ের বিষয়েও শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন তিনি।
আইভীর জয় নিশ্চিত হওয়ার পর জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, নাসিকে বিএনপির ক্যান্ডিডেট নির্ধারণ কেন্দ্র থেকে করা হয়েছে। প্রার্থী পরাজিত হলে অামরা কেন দায় নেবো। আমরা তো প্রার্থীকে সমর্থন দেইনি।
তৈমুরের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি হয়ে এমন কথা বললে এটা সাজে না। দায়িত্বশীল হিসেবে তিনি এমন কথা বলতে পারেন না। মেয়রপ্রার্থী হিসেব প্রথমে উনাকে অফার করা হয়ছে, একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে গিয়াস উদ্দিন ও আবুল কামালকে অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা কেউ মেয়রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবে না এমনটাই বলেছেন।
এছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে বিএনপির আরো ৭ জন প্রার্থী বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। এরা হলেন, ২নং ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীক নিয়ে ৭ খুন মামলায় অব্যাহতিপ্রাপ্ত আসামি বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান, ৯নং ওয়ার্ডে মিষ্টি কুমড়া প্রতীক নিয়ে বিএনপি নেতা ইসরাফিল প্রধান, ১১ নং ওয়ার্ডের ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা জমশের আলী ঝটু, ১২ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর ও নগর বিএনপি নেতা শওকত হাশেম শকু, ২১ নং ওয়ার্ডে রেডিও প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হান্নান সরকার, ২২নং ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীক নিয়ে কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা সুলতান আহম্মদ ভূঁইয়া, ও ২৫নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে বিএনপি নেতা এনায়েত হাসান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সাবেক এমপি মিয়াজী যশোরের পার্ক থেকে আটক
ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক এমপি ও শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিববিস্তারিত পড়ুন

ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন