মেয়েকে দেখেই বুঝি পৃথিবী কত সুন্দর
এক বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে টি-২০ খেলেছেন ক্রিস গেইল। ক্রিকেট-ক্যারিয়ার, ব্যক্তিগত জীবন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় সাক্ষাত্কার দিয়েছেন ক্যারিবীয় মারকুটে এই ব্যাটসম্যান।
পাঠকদের জন্য সাক্ষাত্কারের বিশেষ অংশ তুলে ধরা হলো :
প্রশ্ন : দীর্ঘ এক বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে টি-২০ খেলতে নেমেছিলেন ভারতের বিরুদ্ধে। জাতীয় দলের হয়ে অনেক দিন পর মাঠে নেমে কেমন লেগেছে?
ক্রিস গেইল : একজন ক্রিকেটার যখনই আমি ক্রিকেট খেলতে নামি ভালো লাগে। আমার প্রত্যাশা থাকে অনেক ভালো করবো। সত্যি কথা বলতে কি, মেরুন জার্সিতে (ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সি) খেলতে নামলে অনেক ভালো লাগে আবার অনেক চাপও থাকে। তবে কয়েক বছর আগে যখন আমি খেলতে নামতাম, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো। আমার কাছে সবার অনেক প্রত্যাশা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপর অনেক প্রত্যাশা। তবে আমরা নতুন করে শুরু করছি। তরুণরাও অনেক ভালো করছে এখন।
প্রশ্ন : ক্রিকেট বিশ্বের প্রত্যাশা, আপনি আবার সাদা পোশাকে খেলবেন…
গেইল : টেস্ট ক্রিকেট আমি খুবই উপভোগ করি। অর্জনের খাতাটাও নেহাত শূন্য নয়। টেস্টের জন্য আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। দুই দুটি ট্রিপল সেঞ্চুরি আছে আমার। গড়ও ৪০-এর উপরে (৪২.১৮)। এখনো আমি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই। কমপক্ষে শেষ একটি টেস্ট খেলতে চাই। আমি জানি না, আমার শরীর টানা পাঁচ খেলার জন্য প্রস্তুত কিনা।
প্রশ্ন : আপনার বয়স ৩৭। এই বয়সে আপনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের জন্য কি ভূমিকা রাখতে পারেন?
গেইল : গত কয়েক বছরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট অনেক বদলে গেছে। আমার কারণে অনেক কিছু চালু হয়েছে। আমি অনেকভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে সহায়তা করেছি। তাদের প্রত্যেকের উচিত আমাকে ধন্যবাদ দেওয়া। আমি এটা বিশ্বাস করি যে, আমি যা করেছি তা কেবলমাত্র বলার জন্য করিনি, নিজের দায়িত্ববোধ থেকে করেছি। প্রত্যেকেরই নিজের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। আমি যা করতে পারি, তা আমি করব। যেকোনো ক্রিকেটার আমার কাছে অনায়াসে আসতে পারে। এখন আমার কাছে সম্মানটাই বড় অর্জন।
প্রশ্ন : আপনি বিশ্বের বিভিন্ন লিগে খেলেছেন। সে অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন?
গেইল : এটা অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা। সত্যি কথা বলতে কি, এমন অভিজ্ঞতা থেকে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন। আপনি যেখানে খেলতে যাবেন, যত দ্রুত সম্ভব আপনাকে সেই দেশের পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। ড্রেসিং রুম আলাদা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড় থাকেন, তাদের মন-মানসিকতাও আলাদা। যেকোনো পরিস্থিতিতে আমি মজা করতে ভালোবাসি। যে কারণে আমি সব জায়গায় সবার সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নিতে পারি। আমার সঙ্গে মিশতে কেউ সংকোচ বোধ করে না। আমি যখন যেখানে খেলি সেখানেই অবদান রাখার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন : অনেক সময় আপনাকেও একাদশের বাইরে থাকতে হয়। আইপিএলেই এমন দৃশ্য দেখেছে দর্শক। সে সময়টা কেমন লাগে?
গেইল : সেটা ছিল খুবই অপ্রত্যাশিত। তবে এটাও ঠিক কোনো ক্রিকেটারই ম্যাচের চেয়ে বড় নয়। ব্যক্তিগত বিষয়টি এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। দলের প্রয়োজনে অনেক সময় একাদশের বাইরেও থাকতে হয়। তবে এটা সত্যি কথা যে, একাদশের বাইরে থাকাটা খুবই হতাশার।
প্রশ্ন : বাবা হওয়ার পর কি পরিবর্তন এসেছে?
গেইল : বাবা হওয়ার পর প্রত্যেকের মধ্যেই পরিবর্তন আসে। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। অনেক কিছুই আমার কাছে নতুন মনে হচ্ছে। তবে পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুতই খাপ খাইয়ে নিয়েছি। শিশুকে অনেক সময় দেওয়া প্রয়োজন। আমি বাসায় ফিরে যখন মেয়েকে দেখি খুবই ভালো লাগে। আমার মেয়ে আমার জন্য অনেক সুখ ও শান্তি নিয়ে এসেছে। আমার মেয়েকে দেখেই বুঝি পৃথিবী অনেক সুন্দর।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন