শুক্রবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

মেয়েকে বাঁচাতে বাবার করুণ আকুতি

শত দুঃখ-কষ্টের মাঝেও পৃথিবীর মায়া ছাড়তে চায় না কেউ। সব কিছু সহ্য করেও যেন বেঁচে থাকার যুদ্ধে লিপ্ত সবাই। যে যেভাবে পারছে বেঁচে থাকার প্রাণপণ চেষ্টা করছে। কারণ পৃথিবীর মায়া যে বড়ই মনোমুগ্ধকর, বড়ই তৃপ্তির। তাই এসবের মাঝেই বেঁচে থাকার স্বার্থকতা খোঁজে সবাই।

তেমনি মৃত্যুর খুব কাছাকাছি থেকেও নিজের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছে মেধাবী কলেজছাত্রী হাফিজা আক্তার। দেড় বছর ধরে একই সঙ্গে হার্ট, কিডনি ও ভাইরাসজনিত লোপাস (এসএলই) রোগে আক্রান্ত সে। ইতোমধ্যে একটি কিডনি অকেজো হয়ে গেছে তার।

হাফিজা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছে। এর আগে মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক টিটো মিঞার কাছে চিকিৎসা নিয়েছে সে। তারও আগে ধানমন্ডির আনোয়ারা হাসপাতালের ডা. কোরাইশীর কাছে চিকিৎসা নেয় হাফিজা।

দুদিন আগে ডা. নজরুল ইসলাম বলেছেন, হাফিজার চিকিৎসা বাংলাদেশে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাকে সুস্থ করতে হলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। তা না হলে অন্য কিছু ঘটে যেতে পারে। এজন্য খরচ হবে ১২ লাখ টাকা।

ইতোমধ্যে হাফিজার পেছনে প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ করেছেন বাবা হাফিজুর রহমান। সামান্য দোকানদারি করে মেয়ের চিকিৎসা খরচ জোগাড় করতে গিয়ে এলাকায় অনেকের কাছে ধারদেনা করেছেন তিনি। তার ওপর আরো ১২ লাখ টাকার কথা শুনে রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়েছেন তিনি। কোথায় পাবেন এত টাকা, এই চিন্তায় কূলকিনারা হারিয়ে ফেলেছেন হাফিজুর রহমান।

হাফিজুর রহমানের বাড়ি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের ধানগড়া গ্রামে। তিন মেয়ের মধ্যে হাফিজা সবার বড়। অসুস্থ থেকেও এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে হাফিজা। বর্তমানে বেগম নূর নাহার তর্কবাগিস অনার্স কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে সে।

হাফিজুর রহমান জানান, হাফিজা অত্যন্ত মেধাবী। ছয় মাস শয্যাশায়ী থেকেও এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন আমাদের। সে অসুস্থ হওয়ার পর থেকে আমাদের পরিবারের কারো মুখে আর হাসি নেই। ডাক্তার বলেছে তাকে সুস্থ করতে ১২ লাখ টাকা প্রয়োজন। কোথায় পাবো এত টাকা। ইতোমধ্যে তার পেছনে ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এতে করে অনেক ধারদেনা হয়ে গেছে। সংসারের সব খরচ চলে একমাত্র দোকান থেকে। কোনো কিছু বিক্রি করার নেই আমার।

তিনি বলেন, শুনেছি অনেক হৃদয়বান ব্যক্তি অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান। আজ আমিও অসহায় হয়ে পড়েছি। কখনো ভাবিনি এই পরিস্থিতি হবে আমার। সন্তানকে এত বড় করে তোলার পর কতই না স্বপ্ন ছিল তাকে নিয়ে।

সব স্বপ্ন এখন শেষ হওয়ার পথে। জানি না আমার পাশে কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি দাঁড়াবেন কিনা। জানি না আমার মেয়েকে আমি নতুন জীবন দিতে পারবো কিনা। সব কিছুই এখন আল্লাহর হাতে।

প্রিয় পাঠক আপনাদের অনেকের সহযোগিতায় নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে অসংখ্য মানুষ। তারা আজ আমাদের মাঝেই স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন।

আসুন একইভাবে হাফিজার পাশে দাঁড়াই। আরো একটা জীবন রক্ষা করি। আপনার আমার পাঠানো সামান্য সহযোগিতায় পূর্ণ হতে পারে ১২ লাখ টাকা। তাই আসুন সামর্থ্য অনুযায়ী হাফিজার জন্য কিছু সাহায্য পাঠাই।

হাফিজাকে সাহায্য পাঠাতে ফোন করুন বাবা হাফিজুর রহমানের ০১৮২০৫৩৪৭২৫ নম্বরে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

প্রতীকী ছবি

সিলেটের জঙ্গি নেতা আব্দুল বারি ও শামসু জামিনে মুক্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা: শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিবাদী সংগঠন জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এরবিস্তারিত পড়ুন

  • শামীম ওসমান থাকার গুজবে রিসোর্টের সামনে মানুষের ভিড়, সেনাবাহিনীর তল্লাশি
  • নরসিংদীতে সন্ত্রাসী হামলায় হার্ট এ্যাটাক হয়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
  • ধানমন্ডি ৩২-এ প্রদীপ প্রজ্বলন, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীর ওপর হামলা
  • ঢাকায় এক দিনে ৪ জনকে পিটিয়ে হত্যা
  • নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
  • কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
  • সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
  • চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
  • সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা