মোদিকে খেপিয়ে তুলেছেন ‘গো-রক্ষকরা’

ভারতে তথাকথিত গো-রক্ষক বলে পরিচিতি পাওয়া কট্টর হিন্দুদের সমালোচনা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি নিজেও একজন কট্টরপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী হিসেবে পরিচিত। কিন্তু গরু রক্ষার নামে তথাকথিত গো-রক্ষকদের সাধারন মানুষের উপর চালানো নির্যাতনে তিনি ক্ষুব্ধ।
মোদি বলেন, “যারা গো-রক্ষার নামে মানুষের উপর আক্রমণ চালায় তারা আমাকে ‘রাগান্বিত’ করছে। এসব হামলার তদন্ত হওয়া উচিত।”
গো-রক্ষকদের একটি দল সম্প্রতি দলিত সম্প্রদায়ের চারজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গরুর ক্ষতিসাধনের অভিযোগে হামলা চালায়। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে গরু অত্যন্ত পবিত্র প্রাণী। কিন্তু হামলার শিকার দলিত সম্প্রদায়ের লোকেরা বলছে, তারা তাদের ঐতিহ্য অনুসারে একটি গরুর মৃতদেহ থেকে চামড়া ছাড়াচ্ছিল। গত জুলাই মাসে গো-রক্ষকেরা দুজন মুসলিম নারীকে গরুর মাংস বহনের অভিযোগে পিটিয়ে আহত করে।
শনিবার দিল্লীতে দেয়া বক্তব্যে মোদি জানান, তিনি রাজ্য সরকারগুলোকে বলবেন যেন ভারতে এ ধরণের প্রতিটি আক্রমণের ঘটনা তদন্ত করা হয়।
মোদি ধারণা করেন, হামলাকারীদের ৭০-৮০ শতাংশ নানা সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত এবং এখন নিজেদের গা বাঁচাতে গো-রক্ষকের ছদ্মবেশ নিয়েছে।
অনেক বিশ্লেষকই মনে করেন হিন্দু জাতীয়বাদীদের সমর্থন হারানোর ভয়ে মোদি এসব ঘটনার সমালোচনা করতে চান না। গত বছর গোমাংস ভক্ষণের অভিযোগে একজন মুসলমানকে হত্যার পর এর প্রতিক্রিয়া জানাতে দুই সপ্তাহ নেন মোদি যা ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি করে। ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে গরু জবাই নিষিদ্ধ। কিন্তু কট্টর হিন্দুদের তরফ থেকে ক্ষমতাসীন বিজেপির উপর গো-রক্ষায় আরো বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার চাপ রয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেবিস্তারিত পড়ুন