মোদী নন, মমতার বড় মাথাব্যথার কারণ ক্রিকেটার ধোনি,কিন্তু কেন
অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন সবে মাত্র। কিন্তু তার পরেই যে এম এস ধোনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠবেন, তা কে জানত? তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ কেন, অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও ঘুম কাড়তে পারেন মাহি। একেবারে নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চলেছেন এম এস। কিন্তু অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জটা কিছুটা হলেও বেশি।
কিন্তু হঠাৎ ধোনি করলেনটা কী? গত দু’বছরের মতো এবারেও ২০ এবং ২১ জানুয়ারি কলকাতায় বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট নামে শিল্প সম্মেলনের আয়োজন করছে রাজ্য সরকার। এবারে এমনিতেই এই সম্মেলন সফল করা রাজ্যের কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। একে শিল্পে খরা নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ, তার উপরে সাম্প্রতিক কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের আবহে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সম্মেলনে আসা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
যদিও রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এই সম্মেলনে আসছেন। এই যখন পরিস্থিতি, তখন বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডও আগামী মাসে বিশ্বমানের শিল্প সম্মেলনের আয়োজন করেছে। ১৬ এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি রাঁচিতে ‘মোমেন্টাম ঝাড়খণ্ড’ নামে এই শিল্প সম্মেলন হওয়ার কথা। উদ্দেশ্য, বাংলার মতোই ঝাড়খণ্ডে আন্তর্জাতিক মানের
সম্মেলন করে বিনিয়োগ টানা। আর সেই উদ্দেশ্য নিয়ে রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমেছে ঝাড়খণ্ড সরকার।
আর বাংলার মতো প্রতিবেশী রাজ্যকে টেক্কা দিয়ে নিজেদের রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে ঝাড়খণ্ডের মূল অস্ত্র তাদের ভূমিপূত্র এম এস ধোনি। রীতিমতো পেশাদারী কায়দায় মাহিকে দিয়ে বিজ্ঞাপন করিয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার। সেই বিজ্ঞাপন টেলিভিশন-সহ অন্যান্য মিডিয়ায় চলতেও শুরু করেছে। সেখানে নিজেকে ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্র বলে দাবি করে রাজ্যকে এক নম্বরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ধোনি। আর এই সাফল্যের শরিক হওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের ঝাড়খণ্ডে আসার আবেদন জানাচ্ছেন এম এস।
তবে শুধু এম এস ধোনি নন, পশ্চিমবঙ্গের শিল্প সম্মেলনে যেখানে কেন্দ্রের একজন মন্ত্রীর আসা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে, সেখানে বিজেপি-শাসিত ঝাড়খণ্ডের শিল্প সম্মেলনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা। জানা গিয়েছে, অরুণ জেটলি, রাজনাথ সিংহ, সুষমা স্বরাজ, নির্মলা সীতারামণের মতো মন্ত্রীরা রাঁচির সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সেই তালিকায় রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দেশের প্রথমসারির শিল্পপতিদেরও এই সম্মলনে উপস্থিত থাকার কথা। ঝাড়খণ্ডের শিল্প সম্মেলনের দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক ফোনে জানিয়েছেন, মুকেশ অম্বানি এবং অনিল অম্বানি এই সম্মেলনে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়াও, দেশের প্রথম সারির প্রায় সব শিল্পপতিকেই সম্মেলনে হাজির করানোর চেষ্টা চলছে। এক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ড সরকারের বড় অস্ত্র এম এস ধোনি। তাঁকে শুধু বিজ্ঞাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে আরও বড় দায়িত্ব দিতে চায় ঝাড়খণ্ড সরকার।
প্রশ্ন হল, প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের এই আগ্রাসী শিল্পনীতির পাল্টা কোন অস্ত্রকে সম্বল করতে পারে পশ্চিমবঙ্গ? এক্ষেত্রে রাজ্যের পাল্টা অস্ত্র হতেই পারেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অতীতে সৌরভকে দিয়ে উদ্যোগপতি তুলে আনার জন্য রিয়্যালিটি শো-র আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার। যদিও তার সাফল্য নিয়ে সংশয় রয়েছে।
একে রাজ্য সরকারের জমি নীতি রাজ্যে বিনিয়োগ টানার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা বলে অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। তার উপরে প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের হয়ে যদি মাঠে নামেন এম এস ধোনি, তাহলে বিনিয়োগ টানার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের কাজটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন