মোস্তাফিজ-তাসকিনের অভাব ভোগাবে বাংলাদেশকে
দলের দুই ত্রাতা পেসার তাঁরা। তাদের ছাড়াই আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। সেক্ষেত্রে পেস আক্রমণের মূল দায়িত্বটা থাকবে দলনেতা মাশরাফি বিন মর্তুজার কাঁধে। কিন্তু একা আর কতটুকুই করবেন তিনি। যদিও মাশরাফিকে সঙ্গ দেবেন আল-আমিন ও রুবেল হোসেন। তারপরও প্রশ্ন থেকেই যায়।
আল-আমিন। ঘরের মাঠে সফল বলা যায় তাঁকে। তবে আফগানদের বিপক্ষে বল হাতে তিনি একেবারে আনকোরা। সেক্ষেত্রে আফগানিস্তানের সামনে কেমন বল করবেন আল-আমিন। এমন হিসেব কষতেই হচ্ছে ক্রিকেটের রথী-মহারথীদের। যদিও আফগানিস্তানকে ‘গোনায়’ ধরছেন না বলে আগেই হুংকার ছেড়েছিলেন এই পেসার। ‘আফগানিস্তানকে নিয়ে চ্যালেঞ্জের কিছু নাই। আমরা বেশ ক’দিন খেলার বাইরে থাকলেও। আমার বিশ্বাস ওরা আমাদের কাছে পাত্তাও পাবে না।’
দলের আরেক পেসার রুবেল হোসেন। ছয় মাস ছিলেন বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নির্বাসিত। তাছাড়া ইনজুরির কারণে গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ঘরের মাঠে এশিয়া কাপের মঞ্চেও ছিলেন দর্শক হয়ে।
দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ম্যাচের বাইরে থাকা রুবেল আর আফগানদের বিপক্ষে আল আমিনের প্রথম লড়াই কি পারবে মোস্তাফিজ-তাসকিনের অভাব পূরণ করতে?
তাছাড়া একদিনের ক্রিকেটে ১৪ ম্যাচ খেলে ২১টি উইকেট শিকার করেছেন আল আমিন। বোলিং ইকোনোমি ৫.২০। আল আমিনের চেয়ে কিছুটা অভিজ্ঞই বলা যায় রুবেলকে। কারণ ৬৭টি ওডিআই ম্যাচে ৮৭ উইকেট দখল করেছেন রুবেল। যেখানে তাঁর ইকোনোমি ৫.৫৯।
অপরপ্রান্তে মোস্তাফিজুর রহমান। ইনজুরির চোবলে কেবল আফগান সিরিজ নয়। আসছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও দলে পাচ্ছে না কাটার মাস্টারকে। অথচ বল হাতে যিনি অল্প সময়েই কুড়িয়েছেন অসংখ্য বাহবা। মাত্র ৯টি ওয়ানডে ম্যাচ থেকে ঝুলিতে পুরেছেন ২৬টি উইকেট। যেখানে তাঁর ইকোনোমির হার ৪.২৬।
আরেক তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ। বোলিং অ্যাকশনে সাময়িক নিষিদ্ধ থাকার কারণে ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। সে সময় তাঁর না থাকাটা বেশ ভুগিয়েছিল বাংলাদেশ দলকে!
গত ৮ সেপ্টেম্বর ব্রিসবেনের পরীক্ষাগারে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দিয়েছেন তাসকিন। তবে আফগান সিরিজের আগে ফলাফল না আসলে তাসকিনকে একাদশে পাবে না বাংলাদেশ। ওডিআইতে ১৪ ম্যাচ থেকে ২১ উইকেট নেয়া তাসকিনের ইকোনোমিও খুব একটা খারাপ না। ৫.৫২, যেটি রুবেলের চেয়েও ভালো।
এতসব হিসেব নিকেশ আর পরিসংখ্যান বলছে, আফগান সিরিজে মোস্তাফিজ ও তাসকিনের অভাব কতটা ভোগাবে বাংলাদেশকে। তারপরও নিরাশ হচ্ছে না টাইগার ভক্তরা। তাদের আশা সাকিব-তামিম-সাব্বির আর মাশরাফিদের সামনে ‘পাত্তাই’ পাবে না আফগানিস্তান। এমন প্রত্যাশা দেশ-বিদেশের লক্ষ-কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন