”মোস্তাফিজ নেই তাতে কি মাশরাফিই সব সামলাতে পারবে”
‘দলের অন্যতম সেরা বোলার মোস্তাফিজকে অবশ্যই আমরা মিস করবো। সে অন্যরকম বোলার। কিন্তু আপনাকে এটাও মানতে হবে মোস্তাফিজ ছাড়াও এর আগে বাংলাদেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমাদের যে ফার্স্ট বোলিং অ্যাটাক আছে সেখানে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেবে মাশরাফি। মাশরাফি চোখ বন্ধ করেও এক জায়গায় বল ফেলতে পারে। এই কন্ডিশনটা ও খুব ভালো বোঝে। কোথায় বল করতে হবে, কি করতে হবে এই বোধটা ওর অসাধারণ। মোট কথা হলো ম্যাশের বল কথা বলে।’ বলছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের গেম ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন।
আজ (বৃহস্পতিবার) ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে এভাবেই বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণকে প্রশংসায় ভাসালেন বিসিবি’র এই কর্মকর্তা। পেস আক্রমণে বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন আর আগের অবস্থায় নেই। দুই বছর আগেও যেখানে দুই বা সর্বোচ্চ তিন পেসার নিয়ে নামা হতো সেখানে এখন তিনজন কোনো কোনো ম্যাচে আবার চার পেসারও চোখে পড়ে।
এ বছরের এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটির কথাই ধরা যাক। যেখানে বল হাতে নেমেছিলেন তাসকিন, আলআমিন, মোস্তাফিজ ও মাশরাফি বিন মর্তুজা। শুধু ভারতই কেন? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও মাশরাফির পেস বোলিং আক্রমণে ছিলেন এই চার জন। ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোলিংয়ের এই বিভাগটি এখন আগের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। আর সঙ্গত কারণেই পেস বোলিং আক্রমণ নিয়ে বেশ স্বস্তিতে আছেন সুজন।
এদিকে আসছে অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের আগে তিন ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডে খেলতে চলতি মাসের ২১ তারিখে বাংলাদেশ সফরে আসছে আফগানিস্তান। আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শক্তিশালী ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজের আগে বেশ ভালো একটি অনুশীলন হয়ে যাবে মনে করছেন সুজন।
সুজন জানান, ‘ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলার আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আফগানিস্তানও কম শক্তিশালী না। কিন্তু, ইংল্যান্ডের চেয়ে বেশি না। অনেকেই মনে করছে ওরা আমাদের চেয়ে নিচু সারির দল, তাই ওদের বিপক্ষে হেরে গেলে বাংলাদেশ পয়েন্ট হারাতে পারে। আমার কাছে মনেই হয় না যে বাংলাদেশ ওদের কাছে হারতে পারে। কেননা গত দুই মাস ধরে ক্রিকেটাররা দারুণ অনুশীলন করেছে এবং ফিটনেসও অনেক ভালো। আমার মনে তারা সময়মতোই জ্বলে উঠবে।’
আজ (বৃহস্পতিবার) ব্রিসবেনের ন্যাশনাল ক্রিকেট সেন্টারের ল্যাবে বোলিং পরীক্ষা দিয়েছেন আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ ও স্পিনার আরাফাত সানি।
এদিন গণমাধ্যমের সামনে তাসকিনের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক এই অধিনায়ক। তিনি আশা করছেন আফগানিস্তান সিরিজ দিয়েই তাসকিন দলে ফিরতে পারবেন।
তিনি যোগ করেন, ‘আমি মনে করি তাসকিনের যে সমস্যাগুলো ছিল সেটা বড় কিছু নয়। আপনি বিশ্ব ক্রিকেটের ১০০ বোলার নিয়ে আসেন দেখবেন তাদের সবারই এরকম ছোট-খাট সমস্যা আছে। আইসিসি দাবী করলেও আমি মনে করি না যে তার বেশি কোনো সমস্যা আছে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন