ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণ আগে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় বিতর্কিত আম্পায়ার চেত্তিহোদি শামসুদ্দিনকে। তৃতীয় ম্যাচের টস শুরুর খানিকক্ষণ আগেই অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়। নাগপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর ম্যাচ রেফারির কাছে আম্পায়ারিং নিয়ে অভিযোগ করে ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে শামসুদ্দিনের আম্পায়ারিং ছিল দৃষ্টিকটু।

ভারতের ব্যাটিং ইনিংসে রিবাট কোহলির বিপক্ষে পরিষ্কার লেগবিফোর আবেদনে সাড়া দেননি শামসুদ্দিন। এর পর ইংল্যান্ডের ইনিংসের ২০তম ওভারে জো রুটকে লেগবিফোর আউট দেন ভারতীয় এই আম্পায়ার। জয়ের জন্য তখন ইংল্যান্ডের দরকার মাত্র ৮ রান। টেলিভিশন রিপ্লেতে যা স্পষ্ট দেখা যায়, রুটের ব্যাটের কানায় লেগে বল লাগে প্যাডে। রুট আউট হওয়ার পরই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ইংল্যান্ড।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিরক্তি গোপন করেননি জো রুট। তিনি বলেন, ‘ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমন একটি আউট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে চলে যায়।’ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও ডিআরএসের আবেদন করেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির ব্যবহার করে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব।’

ইয়ন মরগান বলেন, ‘সেদিন গোটা ম্যাচে অন্তত দুটি সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গেছে, যার মাশুল ম্যাচ হেরে দিয়েছি আমরা।’ এর পর তৃতীয় ম্যাচের দায়িত্ব থেকে শামসুদ্দিনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। ক্রিকেট ম্যাচ থেকে আম্পায়ার প্রত্যাহারের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও আলিম দার, আসাদ রউফ, নাইজেল লংদের মতো আম্পায়ারদের ক্ষেত্রেও প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটেছে।