ময়মনসিংহে তিনহাজার মানুষের ভিড়ে শুটিং!
ছোটবেলার এক ঘটনা দিয়ে শুরু করি। স্কুলে পড়ার সময় পাশের বাড়িতে থাকতেন এক বায়স্কোপওয়ালা। রোজ ভোরে তার কণ্ঠে বায়স্কোপের কথিত কণ্ঠ শুনে ঘুম ভাঙত। ঘুম থেকে উঠে বাসা থেকে বের হয়ে দেখতাম তিনি বায়স্কোপ নিয়ে বের হয়েছেন। এখন যাবেন অন্য এলাকায়।
আমাকে ডাক দিয়ে তিনি দেখাতেন তাঁর বায়স্কোপ। আর রোজ ভোরেই ঘুম ভাঙত তাঁর কণ্ঠে রাজ্জাক-শাবানা নাচে ফুলের বাগানে, জাম্বু এসে গেছে, মারপিট লেগে গেছে। বায়স্কোপ এখন শুধুই অতিত স্মৃতি। যুগও পাল্টে গেছে। কিন্তু রয়ে গেছে সেই একই প্রেম। সেই অভিনেতা অভিনেত্রীদের দেখার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। এমনটাই ঘটল আবার।
সম্প্রতি ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি নাটকের দৃশ্যধারণ হয়েছে। গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকা থেকে অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ, অভিনেতা আব্দুন নূর সজল গিয়েছিলেন শুটিং করতে। নাটক দুটির নাম ‘আমি কেউ না’, ‘বিপরীত স্রোতের যাত্রা’। এ নাটক দুটি নির্মাণ করেছেন ফয়সাল খান রিপন। গল্প ভাবনা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপকের। তাঁরা এই দুটি নাটক শেষ করে ফিরেছেন ঢাকায় পহেলা ফেব্রুয়ারি। এই তিন দিনে সেখানে হয়েছে বেশ মজার সব ঘটনা। তাঁর স্মৃতি থেকে ঘটে যাওয়া সেই সব ঘটনাই বলেছেন অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ ।
‘এত সুন্দর ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আগে জানা ছিলনা। প্রথমবারের মত গিয়েছিলাম সেখানে। আমি প্রেমে পড়ে গিয়েছি। তাঁর উপর ভক্তরা তো রয়েছে। একে তো বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্র-ছাত্রী হাজারে হাজার। শুটিং চলাকালে প্রায় তিনহাজার ছাত্র-ছাত্রী শুটিং দেখছে। পরিচালক কাট বলার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা আসছে আমাদের সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য।
এত ছেলে-মেয়েদের আমরা নাও করতে পারছিলাম না। আবার সবার সঙ্গে সেলফিও তুলতে গিয়ে পরে যদি সময়মত শুটিং শেষ না। এই ভয়ও ছিল। তবে সেখারকার ছাত্রছাত্রীরা অনেক ভদ্র। মিশুক। তাঁদেরকে বোঝানোর পড়ে তাঁরা বুজতে পারে। আমাদের কাজের কোন ক্ষতি না করেই। তাঁরা সেলফি তুলেছে আমাদের সঙ্গে। অনেক সাহায্যও করেছে তাঁরা।
এ তো গেল সেখানকার কথা। এখন আরেকটা বলি, ময়মনসিংহ থেকে শেরপুরের দুরুত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। সেখানে আমার এক ভক্ত থাকে তাঁর নাম ‘শ্যাম কৃষ্ণ’। সে ওখান থেকে চলে আসছে আমাকে দেখা জন্য। প্রথমে বুঝতে পারিনি। আমার শুটিংয়ের এখানে এসে অনেক দূরে বসে ছিল। হঠাৎ করে আমি তাকে দেখতে পেয়েছি। রীতিমত আমি অবাক হই! তারপর তাঁর সঙ্গে কথা হলো, সেলফি তুললাম। পড়ে গিয়ে সে আমাকে নিয়ে ফেসবুকে বিশাল লেখা দিয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে আমি এতটাই খুশি যে এটা বলে বোঝাতে পারবনা। নানা জায়গাতেই শুটিং করেছি কিন্তু এরকমটা কখনও হয়নি। আর এত মজা করে কখনও শুটিং করেনি।’
মৌসুমী হামিদ এখন ব্যস্ত রয়েছেন ‘উজান গাঙের নাইয়া’র তৃতীয় সিরিজ নিয়ে। ৩ ফেব্রুয়ারি সকালের একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার যাচ্ছেন। ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফিরে ৮ তারিখ ভালবাসা দিবসের একটি বিশেষ নাটকের শুটিং শুরু করবেন উত্তরায়। নাটকটিতে তাঁর বিপরীতে রয়েছেন আব্দুন নূর সজল।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন