ময়মনসিংহে বৃষ্টিতে হিমের পরশ

ময়মনসিংহে জেলা, উপজেলাগুলোতে দুই দিন ধরে বৃষ্টি। সূর্যের দেখা মিললেও প্রখরতায় ভাটা। মেঘলা আকাশ। সোমবার শেষ রাতে হালকা শীতে কুসুম পরশ বুলিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার সকালেও ঠাণ্ডা হাওয়া। ময়মনসিংহবাসী ঘুম ভেঙে দেখলেন, রাতভর বৃষ্টিতে ভিজে চারিপাশ। সঙ্গে মৃদু ঠাণ্ডা।
দুই দিনের আবহাওয়া দেখে অনেকেই মনে করতে শুরু করেছেন, এবার তীব্র খরতাপ বিদায়ের পালা। সড়কে, হাটে-বাজারে ছাতা নিয়ে চলাফেরা করেছেন লোকজন। দুই দিন হাল্কা-ভারি বৃষ্টি পড়ছে স্থানে স্থানে। সড়কে লোকজনের উপস্থিতিও কম, রিকশা-গাড়িও। দোকানপাট খোলে দেরি করে। এমনিতেই বিক্রি কম।
গতকাল সোমবার সকালে ভারি বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। রাতে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টি হয়। এ দিনও এক-দু’পশলা বৃষ্টি হয়েছে।
জেলার ময়মনসিংহ সদর, মুক্তাগাছা, ফুলবাড়ীয়া, ত্রিশাল, ভালুকা, গফরগাঁও, নান্দাইল, ইশ্বরগঞ্জ, গৌরীপুর, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, তারাকান্দা ও ফুলপুর উপজেলার সর্বত্র একই চিত্র। সড়কে যানবাহন কম ছিল। মানুষজনও কম বেরিয়েছিলেন। সকালে স্কুল যেতে হিমশিম খায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ছাতা নিয়ে স্কুলে গিয়েছেন অনেকে। বিশেষ করে যেসব অভিভাবক তাদের শিক্ষার্থীদের মোটরবাইকে চড়ে স্কুল যায়, তাদেরই হয়েছে বেশি সমস্যা। বৃষ্টির জোর বাড়তেই ঝাপ্টা থেকে বাঁচতে তাদের নিয়ে অনেক অভিভাবককে সড়কের পাশের দোকান-বাজারে আশ্রয় নিতে হয়েছে।
ময়মনসিংহ শহরে এ দিন ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি হয়। মাঝে বিরতি। বিকালে আবার বৃষ্টি শুরু হয়। ফলে, সন্ধ্যায় গাঙ্গিনার পাড়, স্টেশন রোড, দুর্গাবাড়ি রোড, সিকে ঘোষ রোড, স্বদেশী বাজার, নতুন বাজার এলাকাকে অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম জমজমাট দেখিয়েছে। শপিং মলগুলোও ছিল ফাঁকা ফাঁকা। আইসক্রিম বিক্রেতা তোরাব আলীর আক্ষেপ, ‘এমনিতেই লোক সমাগম কম। এ দিন বৃষ্টি আর ঠাণ্ডর চোটে বিক্রি-বাটা একেবারেই হলো না।’
একই হতাশা চটপটি বিক্রেতা জহির মিয়ার। তার কথায়, অর্ধেকের বেশি চটপটি রয়ে গেল। তবে লাইন পড়ে গিয়েছিল আঠারবাড়ি বিল্ডিং এর মুকুলের চায়ের দোকানে।
স্থানীয় আলম মিয়া বললেন, এমন আবহাওয়ায় চা বিক্রি হবে না, তো কবে হবে? ভিড় সামলাতে নাস্তানাবুদ হয়ে গেছি।
আবহাওয়ার উপলক্ষে বন্ধুদের বাড়িতে ডেকে ঈদের মজাও করেছেন অনেকেই। যেমন রাজনৈতিক দলের নেতা অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসন বাবুল। জানালেন, আকাশের মুখ দেখে সকালেই হয়ে গিয়েছিল পরিকল্পনা। কয়েকজন বন্ধু ও নেতাকর্মীদের ডেকে নিয়েছিলেন বাড়িতে। এরপর খাওয়া-দাওয়া আর আড্ডা। তার কথায়, শীতের আমেজ এভাবে বাড়িতে বসে উপভোগ করার সুযোগ কি আর রোজ রোজ পাওয়া যায়!
অষ্ঠধার গ্রামের কৃষক হেকমত আলী জানালেন, এসময়ে বৃষ্টি হয়ে ভালোই হয়েছে, চলাচলে ব্যাঘাত ঘটালেও ফসলের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

নরসিংদীতে সন্ত্রাসী হামলায় হার্ট এ্যাটাক হয়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা: নরসিংদী জেলাধীন ভাঙ্গা এলাকার অধিবাসী ব্যবসায়ী জনাব মুস্তাকবিস্তারিত পড়ুন