যত্নে ব্যবহার করবেন ল্যাপটপ
অফিস কিংবা ব্যক্তিগত কাজ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিতে হবে মিনিটে মিনিটে। তথ্যপ্রযুক্তির যুগ বলেই হয়তো এমন। সকাল-সন্ধ্যা কতো কাজই না করেন, এর মধ্যে ল্যাপটপের ওপর দিয়ে ধকলটা তো কম যায় না। নিজের শরীরের যত্নআত্তিতে তো কম নজর দেন না, আর অভাগা ল্যাপটপটা। তারও তো একটু যত্ন নিতে হয়।
খেয়াল করে দেখুন, প্রিয় ল্যাপটপটা যদি কাজ করা বন্ধ করে দেয় তাহলে কেমন হবে..? মন খারাপ করবেন না, একটু সচেতন হলে ভালো থাকবে আপনার ল্যাপটপ। গুরুত্বের কারণেই হোক অথবা প্রয়োজনে যত্নে রাখুন প্রিয় কাজের ল্যাপটপ। এবার জানিয়ে দেবে দরকারি কিছু টিপস-
ঠাণ্ডা রাখুন সবসময়:
আপনার ল্যাপটপ যত গরম হবে ল্যাপটপের ততই সমস্যা বাড়বে। এজন্য চেষ্টা করবেন যতটুকু সম্ভব ল্যাপটপ ঠাণ্ডা রাখতে। আপনার যদি অভ্যাস থাকে বিছানা, বালিশ কিংবা কুশন টেবিল হিসেবে ব্যবহার করে ল্যাপটপ চালান তাহলে নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মারছেন। কারণ এর ফলে ল্যাপটপটির বাতাস চলার পথ বন্ধ হয়ে এটি ক্রমশই গরম হয়ে উঠবে। ল্যাপটপের ভেতরটা গরম বা ঠাণ্ডা রাখার ব্যাপারে সরাসরি আপনার হাতে না থাকলেও বাইরে থেকে একে ঠাণ্ডা রাখার উদ্যোগ অবশ্যই আপনি নিতে পারেন। এজন্য ব্যবহার করতে পারেন কুলিংপ্যাড, যা দুই বা ততোধিক ইউএসবি পাওয়ার ও ফ্যানের সাহায্যে ল্যাপটপ থেকে তাপ হটায়। বাজারে অ্যানটেক, ডাটা সেক্টর, টারগাস কোম্পানির কুলিং ফ্যান পাওয়া যায়। ল্যাপটপ শক্ত মসৃণ স্থানে ব্যবহার করুন।
খেয়াল রাখুন ব্যাটারির:
যতই সময় যাবে, ল্যাপটপের ব্যাটারির আয়ু ততই কমতে থাকবে। কত দ্রুত এটি ঘটবে তা নির্ভর করে আপনার ব্যবহারের উপর। সাধারণ ব্যবহারের পর আস্তে আস্তে ব্যাটারির আয়ু ক্ষয় হতে থাকে। যখন মেইন পাওয়ার থেকে চালাবেন না শুধু ব্যাটারি দিয়ে চালাবেন তখন খেয়াল রাখবেন ব্যাটারির প্রায় চার্জ শেষ হওয়া পর্যন্ত চালাবেন। মাঝখানে চার্জ দিতে শুরু করলে ব্যাটারির আয়ু কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সুযোগ থাকলে মেইন পাওয়ার দিয়ে ল্যাপটপ চালানোই উত্তম। তবে সপ্তাহে কমপক্ষে একবা র থেকে দুবার ব্যাটারির চার্জ সম্পূর্ণ শেষ করে নতুন করে চার্জ দেওয়াটা ব্যাটারির জন্য ভালো।
রি-ফরম্যাট করুন হার্ডড্রাইভ:
আপনার ল্যাপটপের হার্ড ড্রাইভকে রিফরম্যাট করুন করে পুনরায় অপারেটিং সিস্টেমে ইনস্টল করুন। যদিও এটি সময় সাপেক্ষ কাজ তারপর ও ভালো ফল পাবেন। প্রয়োজনীয় ডাটা ও ফাইলের ব্যাকআপ নিতে ভুলবেন না। এই কাজটি বছরে একবার করলেই আপনি অনেক সুবিধা পাবেন।
বহন করুন সাবধানে:
গঠনগত দিক থেকেই ডেস্কটপের চাইতে ল্যাপটপ অনেক বেশি স্পর্শকাতর। কাজেই ল্যাপটপকে সাবধানে ব্যবহার যেমন করবেন তেমনি সাবধানে এটিকে বহনও করতে হবে। এটিকে বহন করার জন্য এমন একটি ব্যাগ ব্যবহার করুন, যা আপনার ল্যাপটপকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিবে। যানবাহনে আপনার ল্যাপটপকে সাবধানে সাথে নিন যাতে কোথাও ধাক্কা না লাগে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, আপনি ল্যাপটপের প্রতি মনোযোগী হলেই নিজেই বুঝতে পারবেন কিভাবে আপনার গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রটি ব্যবহার করবেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন