যাত্রাপথে বমি এড়াতে কিছু টিপস…ঈদ ছুটিতে
মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় একটি উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদের ছুটিতে কর্মরত শহর থেকে বাড়ি কে না যেতে চায়। পরিবারের সকল সদস্য মিলে এক সাথে একই গাড়িতে রওয়ানা দেওয়ার আনন্দই আলাদা। কিন্তু এদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন, আনন্দের পাশাপাশি ভিতের ভিতরে একটা চাপা কষ্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কষ্টটা হচ্ছে যাত্রাপথে “বমি”। বমির জন্য আগে থেকেই ভাবনা কিছু না খেয়েই গাড়িতে উঠব, ওষুধ খাব। সে যাই হোক, কিছু বিষয় জানা খাকলে বমির বিরক্তি থেকে নিজে ও ভালো থাকা যায় আবার অন্যকেও বিরক্ত করা থেকে বিরত থাকা যাবে।
নানা কারণে বমি হতে পারে। যেমন- বাজে গন্ধ বা বাজে স্বাদের খাবারের কারণে, কেউ ভীষণ অসুস্থ হলে, বিষাক্ত কিছু খেলে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণে বা কোনো কারণে খাদ্যনালী বন্ধ হয়ে গেলেও বমি হতে পারে।
অতিরিক্ত পরিশ্রম বা মোশন সিকনেসের কারণেও বমি হতে পারে।
তবে মোশন সিকনেস ভ্রমণের একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। এক ধরনের মস্তিকের সমস্যার কারণে এটা হতে পারে। বিশেষ করে বাস, প্রাইভেট কার বা ইঞ্চিনচালিত এ ধরনের বাহনগুলিতে বমির সমস্যা হতে পারে। অন্তঃকর্ণ আমাদের শরীরের গতি ও জড়তার ভারসাম্য রক্ষা করে। যখন গাড়িতে চড়ি তখন অন্তঃকর্ণ মস্তিষ্কে খবর পাঠায় যে সে গতিশীল। কিন্তু চোখ বলে ভিন্ন কথা। কারণ তার সামনের বা পাশের মানুষগুলো কিংবা গাড়ির সিটগুলো থাকে স্থির। চোখ আর অন্তঃকর্ণের এই সমন্বয়হীনতার ফলে তৈরি হয় মোশন সিকনেস। এ কারণে তৈরি হয় বমি বমি ভাব, সেই সঙ্গে মাথা ঘোরা, মাথা ধরা প্রভৃতি।
যানবাহনে বমির থেকে রক্ষা পেতে
১. যাত্রা শুরুর একটু আগে ভরপেট খাবেন না বা পান করবেন না।
২. জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকলে সমস্যা কিছুটা কম হয়। বাহিরের দৃশ্য দেখুন। ভুলে থাকুন আপনার বমি হতে পারে বিষয়টি।
৩. এ সময় খোলা জানালা দিয়ে লম্বা লম্বা শ্বাস নিতে পারেন।
৪. বমি ভাব দূর করতে সবচেয়ে কার্যকরী ভেষজ ওষুধ আদা। আদা কুচি করে কেটে মুখে নিয়ে চিবুতে পারেন। এতে বমি ভাবটি দূর হয়ে যাবে। যারা আদার ঝাঁজ সহ্য করতে পারেন না, তারা একটু গরমপানিতে আদা সিদ্ধ রসটি মুখে নিয়ে কুলি করলে মুখ থেকে বমির বিচ্ছিরি গন্ধও দূর হয়ে যাবে।
৫. যখনই বমি ভাব দেখবেন তখনি মুখে এক টুকরা লবঙ্গ রেখে দিন। ধীরে ধীরে চিবুতে থাকুন দেখবেন আপনার মুখ থেকে বমিভাব চলে গিয়েছে।
৬. পুদিনাপাতা বমিভাব দূর করতে দারুণ কার্যকর। পুদিনার রস গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাব দূর করতে বেশি কার্যকরী। তাই গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাবে পুদিনা পাতা মুখে দিয়ে চিবুতে থাকুন।
৭. অনেকেই দারুচিনি চিবুতে পছন্দ করেন। দারুচিনি ভারী খাবারের পর খেলে হজমে খুব সাহায্য করে। তাই হজমের সমস্যাজনিত কারণে বমিভাব হলে খেতে পারেন এক টুকরা দারুচিনি।
৮. টক জাতীয় খাবারের ফলে শরীরের বমিভাব দূর হয়। লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা বমিভাব দূর করতে বেশ কার্যকরী। কিন্তু গ্যাস্ট্রিকজনিত বমির ভাব হলে লেবু না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া বমি ভাব হলে লেবুপাতার গন্ধ উপকারে আসতে পারে। কারণ লেবুর পাতা শুকলে বমি বমি ভাব দূর হয়। লেবু পাতা না পেলে একটা লেবু সঙ্গে রাখুন। লেবুর ঘ্রান নতে পারেন।
৯. সুপারি বা শুধু পান কিংবা চুইংগাম চিবানোতেও উপকার পাওয়া যেতে পারে।
১০. ভ্রমণে যাদের বেশি সমস্যা হয় তারা গাড়িতে ওঠার আধঘন্টা আগে ডমপেরিডন জাতীয় ওষুধ খেয়ে নিতে পারেন।
১১. জানালার কাছে সিট নিন। জানালাটা খুলে দিন। খোলা বাতাসে মন-প্রাণ থাকবে চনমনে।
১২. গাড়িতে আড়াআড়ি বা যেদিকে গাড়ি চলছে সেদিক পেছন দিয়ে বসবেন না।
১৩. রাস্তার চলমান গতির দিকে লক্ষ্য করবেন না।
১৪. আপনি ঘুমানোর চেষ্টা করতে পারেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন