যাদের গোমড় ফাঁস করলেন সংগীতশিল্পী আসিফ
জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবর নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করেন। ফেসবুকে তার অনুসারীর সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন। শুধু নিজের খবর নয়, আসিফ স্ট্যাটাস হিসেবে লিখছেন নানা প্রসঙ্গ। সেই ধারাবাহিকতায় এবার লিখেছেন বাংলায় কপি বা নকল গান নিয়ে। ৩০ আগস্টের স্ট্যাটাসে আসিফ জনপ্রিয় বিভিন্ন গায়ক ও ব্যান্ডের নকল গানের খবর দিয়েছেন।
‘জাহাজ, উড়োজাহাজ এবং ইন্টারনেট প্রযুক্তি আবিষ্কার বিশ্বসঙ্গীতকে এক জায়গায় নিয়ে এসেছে। যেমন রবি ঠাকুর জাহাজে করে ইংল্যান্ড গিয়েছেন, সেখান গিয়ে একটি আইরিশ কান্ট্রি সংয়ের সুরের ওপর কথা বসিয়ে দিলেন ‘ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে, বহে কিবা মৃদু বায়’- ব্যস, হয়ে গেল রবীন্দ্র সঙ্গীত। এ ব্যাপারে কবিগুরুর কোন পাদটীকা আছে বলে আমার জানা নেই । উড়োজাহাজ আবিষ্কার না হলে হয়তো আমরা বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘যদি কিছু মনে না করেন’ এর মাধ্যমে জানতেই পারতামনা ওটা আইরিশ সুর। ফজলে লোহানী সাহেব জাহাজে চড়ে নিশ্চয়ই অনুসন্ধানে যেতে আগ্রহী হতেন না, আমি নিশ্চিত।
কপি গান না হলে হয়তো বাংলা সঙ্গীতে জেমস ভাইয়ের আগমন প্রলম্বিত হতো। ওনার প্রথম এ্যালবাম ‘অনন্যা’র প্রায় সব গান ইংরেজি গানের কপি, এমনকি মুম্বাই ফিল্ম ‘গ্যাংস্টার’-এর বিখ্যাত ‘ভিগি ভিগি’ গানটিও কলকাতার ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’ থেকে নেয়া। বাচ্চু ভাই গেয়েছেন মাইকেল লার্নসের একটি গানের বাংলা ভার্সন ‘কোন অভিযোগ নেই যে আমার’ শিরোনামে।
কপিয়ার না হলে আর্কের ভোকাল হাসান ভাইয়ের সঙ্গীত ক্যারিয়ার আদৌ তৈরি হতো কিনা সন্দেহ। নোভা গেয়েছে পিংক ফ্লয়েডের ‘অহড়ঃযবৎ ইৎরপশ ওহ ঞযব ডধষষ’ গানটির বাংলা ভার্সন ‘রাজাকারের তালিকা চাই’। মরহুম শেখ ইশতিয়াক গেয়েছিলেন লায়নেল রিচির ‘হ্যালো’র বাংলা ভার্সন ‘শোনো’ । মরহুম খালেদ হাসান মিলু গেয়েছেন ‘ও খড়াব ণড়ঁ সড়ৎব ঃযধহ ও ঈধহ ঝধু’র বাংলা ভার্সন ‘ও সুমি, আমি তো তোমায় চেয়েছি’। এ রকম অনেক উদাহরণ রয়েছে, যেগুলোর পেছনে উড়োজাহাজ এবং প্রযুক্তির ভূমিকা আছে।
ভারতে এ রকম উদাহরণ আরও বেশি। বাপ্পী লাহিড়ীতো ডাইরেক্ট আমাদের ‘আল্লাহ মেঘ দে পানি দে’ গানটি হিন্দিতে ‘দে দে প্যায়ার দে’ বানিয়ে ফেলেছেন, কুমার সানু ‘১০০ গরষবং’ গানটি গেয়েছেন ‘যব কোই বাত বিগাড় যায়ে’ শিরোনামে। মুম্বাই কলকাতা ফিল্মে এগুলো অহরহ এসেছে। আমি এতে দোষের কিছু দেখি না। রাহুল দেব বর্মনের বহু গানে আজারবাইজানীয় সুর এবং ধুন রয়েছে। লেবানীজ গানের কপি হচ্ছে জুবিন গার্গের গাওয়া সিনিয়র প্রীতমের সুরে গ্যাংস্টারের ‘ইয়া আলী’ গানটি।
বাংলাদেশের সিনেমায় বহু গান পুরনো সঙ্গীত পরিচালকরা হিন্দি গানের উপর কথা বসিয়ে দিয়ে সুরকার হিসেবে নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন। উনারা সম্মানীয় সঙ্গীতজ্ঞ বিধায় সম্মান প্রদর্শন পূর্বক নাম উল্লেখ করলাম না। (চলবে)।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন