যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা চালু বাদ পড়লো বাংলাদেশ
মার্কিন বাজারে নতুন করে জিএসপি সুবিধা চালু হলেও বাংলাদেশকে এ সুবিধা না দেয়ার বিষয়টিকে নেতিবাচক ভাবেই দেখছেন দেশের কূটনীতিকরা। তবে জিএসপি না পাওয়ায় টাকার অংকে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে খুব বেশি প্রভাব না পড়লেও অর্থনীতিবিদদের মতে, বিশেষ কিছু ক্ষুদ্র শিল্প বিপাকে পড়বে। আর প্রতিযোগী দেশগুলোর জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল হওয়ায় ব্যবসায়ীরা মনে করছেন বিপাকে পড়বে প্লাস্টিক ও পাটজাত পণ্যের বাজার।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে সব দেশের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা-জিএসপি স্থগিতের পর চলতি বছরের ২৯ জুলাই থেকে তা আবারো চালু করে। তবে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকাসহ ১শ’ ২২টি দেশ সুবিধাটি ফিরে পেলেও, জিএসপি তালিকায় স্থান পায়নি বাংলাদেশ ও রাশিয়া। এমন অবস্থায় কূটনীতিকরা বলছেন, তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে জিএসপি বাংলাদেশের অধিকার।
সাবেক কূটনীতিক আশফাকুর রহমান বলেন, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা না দেয়াটা উচিত হয়ন গত অর্থবছরে বাংলাদেশ মার্কিন বাজারে রপ্তানি করেছে প্রায় সাড়ে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। এক্ষেত্রে জিএসপি সুবিধা বহির্ভূত তৈরি পোশাক খাতের অবদান সবচেয়ে বেশি। আর জিএসপি না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে প্লাস্টিক, চামড়া, পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্যপণ্যের মত রপ্তানিখাত।
বাংলাদেশ জুট গুডস এসোসিয়েশনের ভাইস-চেয়ারম্যান এস আহমেদ মজুমদার জানান, ‘প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে সবাই চাচ্ছে জিএসপি সুবিধা পেতে। এতে করে পাটের পণ্য নিয়ে যারা ব্যবসা করছেন সবার মাঝেই জিএসপি সুবিধা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা।’
অর্থনীতিবিদদের মতে, জিএসপি সুবিধা না পাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির চেয়ে আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ হবে বড় চ্যালেঞ্জ ।আর তাই জিএসপি ফিরে পেতে সরকারের প্রতি জোরালো কূটনৈতিক যোগাযোগের পরামর্শ তাদের।
অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় জিএসপি সুবিধা বাতিল করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর জিএসপি পুনরুদ্ধারের জন্য ১৬টি পূর্বশর্ত দেয়া হয়েছিল। কিন্তু জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে এসব পূর্বশর্ত পূরণে সরকারকে কাজ করতে হবে।’
শ্রম অধিকারের পক্ষে নিজেদের শুধু জাহির না করে জিএসপি ফিরিয়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বাংলাদেশের প্রাপ্য নিশ্চিত করা, এমন অভিমত ব্যবসায়ী এবং পর্যবেক্ষকদের।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীবিস্তারিত পড়ুন
হাইকোর্টে ১২ বিচারপতিকে বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
হাইকোর্ট বিভাগে ১২ জন বিচারপতিকে আপাতত প্রাথমিকভাবে কোনো বেঞ্চ দেওয়াবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আঁকা গ্রাফিতি হেঁটে দেখলেন ড. ইউনূস
জুলাই ও আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়বিস্তারিত পড়ুন