বুধবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন: বাংলাদেশের লাভ-ক্ষতি

রাম্প এর পুরো নাম ডোনাল্ড জন ট্রাম্প। জন্ম ১৯৪৬ সালের জুন মাসের ১৪ তারিখ নিউ ইয়র্কের কুইন্স এলাকায়। তার বাবা ফ্রেড ট্রাম্প ছিলেন একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। ট্রাম্প ১৯৮৭ সালে রিপাবলিক পার্টিতে যোগ দেন এবং ২০০০ সালে পার্টি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নমিনেশন নিতে চাইলেও পরবর্তিতে নিজেকে গুটিয়ে নেন। প্রথম দুই স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর ২০০৫ সালে বিয়ে করা মেলানিয়ার সাথেই সংসার করছেন এখনও। ২০১৫ সালে নিজেকে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন এবং অদ্যাবধি লড়াই করে যাচ্ছেন।

ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি দিয়ানে রডহাম এর জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর আমেরিকার সিকাগো শহরের ইলিন্ইুস এ। ২০০০ সালে তিনি প্রথম নারী সিনেটর হিসেবে জয়লাভ করেন। ২০০৮ সালের মার্কিন নির্বাচনে তিনি পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার যুদ্ধে নামেন এবং বারাক ওবামার কাছে হেরে যান। ওবামার জয়লাভের পর তিনি সেক্রেটারি অব স্টেট এর পদমর্যাদা লাভ করেন (২০০৯-২০১৩)। পরবর্তিতে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পার্টি থেকে মনোনয়ন লাভ করেন।

৮ নভেম্বরকে ঘিরে শুধু আমেরিকা নয় পুরো বিশ্ব আজ টানটান উত্তেজনার মধ্যে আছে। সবার মুখে একটাই প্রশ্ন কে হবেন আমেরিকার আগামি প্রেসিডেন্ট? যদিও আপাতঃ দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে হিলারিই প্রথম নারী পেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন। আবার অনেকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পকেই এগিয়ে রাখছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যেই হোকনা কেন বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল একটি দেশের জন্যে কে ভালো হবেন।

এই আলোচনায় যাওয়ার আগে একটু পেছনে তাকাতে হবে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন নিক্সন। তার পার্টি ছিলো ট্রাম্প এর রিপাবলিক। নিক্সনের সমর উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার সেই যুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করেছিলেন। ফলে আমেরিকা প্রশাসন চায়নি বাংলাদেশ স্বাধীন হোক। সেই থেকে ডেমোক্রেটদের মিত্র বলে ভেবে এসেছে বাংলাদেশ তথা আওয়ামীলীগ।

কিন্তু ১৯৯৬ এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর হাসিনা সরকারের সাথে ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন প্রশাসনের সাথে বঙ্গোপাসাগরের তেল গ্যাস ক্ষেত্র ইজারাদান প্রশ্নে যে টানাপাড়েন সৃষ্টি হয়েছিলো তার রেশ এখনও কাটেনি। নাইন ইলেভেন এর সময় যখন হিলারি চেয়েছিলেন তার একসময়কার বন্ধু ড. ইউনূস রাজনৈতিক দল গঠন করুক এবং বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসুক, সে উদ্যোগ যদিও সফল হয়নি, তথাপি আওয়ামীলীগ ভুলে যায়নি।

পাশাপাশি সমমাময়িক দেশে আইএস এর ধুয়ো তুলে জঙ্গীবাদ মাথাচাড়া দেয়া এবং তা নিবারণে আমেরিকার সহযোগিতার নামে এদেশে প্রবেশের যে অযুহাত সৃষ্টি হয়েছিলো- সে যাত্রায়ও শেখ হাসিনা প্রশাসন সফল হয়েছেন।

কিন্তু এর পেছনে বৈরীতার তিক্ত দাগ মুছে যায়নি। আমেরিকার ডেমোক্রেট প্রশাসন বরাবরই চায়- যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশ কিংবা তার আশে পাশে একটা সামরিক ঘাঁটি গড়তে, যেখানে বসে সে চীনসহ অন্যান্য ক্ষূদ্র এবং বৈরী রাষ্ট্রগুলোকে বন্দুকের নলের মধ্যে রাখবে। চীন এবং ভারত উভয়েই বৈরী ভাবাপন্ন হলেও এই একটি প্রশ্নে কিন্তু একাট্টা, সুতরাং দুই দেশের হাত বাংলাদেশের জন্য প্রসারিত।

শোনা যায় বিগত নির্বাচনের আগে হিলারি প্রশাসনের সাথে বিএনপির এমনি একটি গোপন সমঝোতা হয়েছিলো যার ফলে আমেরিকা বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে এবং খালেদা জিয়া আমেরিকাকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি করতে দিবে। কিন্তু শেখ হাসিনার কুটনৈতিক সাফল্যে খালেদা জিয়ার সেই আশা পূর্ণ হয়নি বলে শোনা যায়।

পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে আওয়ামীলীগের পুরনো বন্ধু ডেমোক্রেট এখন শত্রুতে পরিণতঃ অন্যদিকে বাংলাদেশের চিরদিনের মিত্র রাশিয়া এখন রিপাবলিকানদের সমর্থন করছে। যদিও বলা হয়ে থাকে, গণতান্ত্রিক স্থিতিশীল রাষ্ট্রের ক্ষমতায় যে দলের হাতেই আসুকনা কেন, পররাষ্ট্রনীতিতে তেমন একটা পরিবর্তন হয়না। যার উজ্জ্বল নিদর্শন ভারত। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ তৎকালিন ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস তথা ইন্দিরা গান্ধীর সহায়তা পেয়েছিলো যে কারণে এই দলের সাথে আওয়ামীলীগের অকৃত্রিম বন্ধুত্ব।

সে কারণে ভারতের বিগত নির্বাচনে কংগ্রেসকে হারিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর আমাদের দেশের বর্তমান বিরোধী শিবিরে আনন্দের বন্যা বয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছিলো যে- কংগ্রেসের ধর্ম নিরপেক্ষ নীতির বিপরীতে বিজেপির অবস্থান কতটা কট্টর। বিজেপি আর যাই করুক, পাকিস্তান কিংবা পাকিস্তানের অনুসারিদের উপর বরাবরই খড়গ হস্ত। ভারতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক, তারা তাদের পররাষ্ট্র নীতিতে অটল। তাঁরা বাংলাদেশে ইসলামি মৌলবাদের বিপক্ষে এবং পাকিস্তানের দোসরদের সাথে মিত্রতা করবেনা এবং এদেশে ভারতের প্রতি হুমকী সৃষ্টিকারি কোনো দল বা গোষ্ঠী ঘাঁটি গাড়ুক সেটা চাইবেনা।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন আসলে ড. ইউনুসের কারণে হয়ত সে দেশের পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করে সংশ্লিষ্ঠরা।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে তেমন পরিবেশ তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের নির্বাচনের আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তা নিয়ে রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এ সব জল্পনা-কল্পনার কারণেই বাংলাদেশের রাজনীতিতেও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন হয়ে ওঠে আলোচিত বিষয়।

তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মনে করেন হিলারি কিংবা ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে যেই জয়ী হোক, তাতে বিএনপির কোনো লাভ নেই, খুশি হওয়ারও কারণ নেই। কারণ অতীতে ভারতের নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এ রকম আনন্দিত হয়ে কোনো লাভ হয়নি।

ওবায়দুর কাদের বলেন, ‘আমি তো জানতাম যখন নরেন্দ্র মোদি ইলেকশনে জিতবেন বা জিতে গেলে তখনো এ রকম উৎফুল্ল তাঁরা ছিলেন। তখনো আমি কমেন্ট করেছিলাম যে ইলেকশন হচ্ছে ভারতে আমরা কেন এত উৎফুল্ল হচ্ছি।… আমেরিকায় যে সরকারই বা যিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হোন না কেন বাংলাদেশের সঙ্গে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হবে না।’

গত রোববার নিউ জার্সির রিভারপার্কে ‘মতলব সোসাইটি’র বনভোজনে হিলারিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান বাংলাদেশ-আমেরিকা ডেমোক্রেটিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আকতার হোসেন বাদল।

তিনি বলেন, ৮ নভেম্বরের নির্বাচনের অভিবাসীদের অধিকার অক্ষুণ্ন রাখতে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে।

ট্রাম্প জিতলে অভিবাসী আর মুসলমানদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত হতে হবে। মুসলমান নাগরিকরা আর নিজ দেশ থেকে কোনো আত্মীয়-স্বজনকে যুক্তরাষ্ট্রে আনতে পারবেন না। এটা ঠেকাতে হিলারিকে ভোট দেওয়ার বিকল্প নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ঘিরে প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। “আওয়ামী লীগ আর বিএনপি নিয়ে এদেশে মারপিট করে লাভ নেই। বাংলাদেশের স্বার্থ দেখতে চাইলে মার্কিন রাজনীতিতে আরও জোরালোভাবে জড়িত হতে হবে। তাহলেই সিনেটর-কংগ্রেসম্যানরা আমাদের গুরুত্ব দেবেন।”

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

দেশের কয়েকটি অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্কতা

দেশের সাতটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিবিস্তারিত পড়ুন

শিবির সভাপতি: অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করতে পারেনি

ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থবিস্তারিত পড়ুন

মহাকাশে কতগুলো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, শীর্ষে কোন দেশ?

এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কক্ষপথে মোট ৩০ হাজারের বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণবিস্তারিত পড়ুন

  • শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
  • কলম্বোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে চায় ঢাকা
  • রিজভী: দলের কেউ অপরাধ করলে কঠোর ব্যবস্থা
  • শফিকুর রহমান: পরিপূর্ণ সংস্কার ও নির্বাচন আদায় করে ছাড়বো
  • যুদ্ধবিরতির ‘খুব কাছাকাছি’ হামাস-ইসরায়েল
  • টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন, ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড-অর্থদণ্ড
  • ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে মামলার স্বাক্ষীকে মারধর
  • ২০২৪ সালে ‘ডামি নির্বাচন’ হয়েছে, আদালতে স্বীকার করলেন হাবিবুল আউয়াল
  • দেড় কোটি বাংলাদেশি প্রবাসীকে ভোটার করতে আইনি নোটিশ
  • দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে কমিটি
  • খামেনি: ইরান আমেরিকার মুখে এক কঠিন থাপ্পড় দিয়েছে
  • জুলাই স্মৃতি উদ্‌যাপনে কর্মসূচি ঘোষণা