যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অন্য লড়াই লড়ছেন এই পাকিস্তানি মহিলা
সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন তিনি। লড়াইটা যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, লড়াই আদালতের অন্দরে। আমেরিকার উচ্চপদস্থ অ্যাটর্নিদের মধ্যে একজন এই জইনাব আহমেদ। বড় বড় সন্ত্রাসী হামলার মামলায় সরকারের পক্ষে লড়াই করেন তিনি। তার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের প্রমাণও তুকে নিয়ে আসেন ৩৭ বছরের এই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মহিলা।
জইনাবের জন্ম নিউ ইয়র্কে। তাঁর বাবা-মা ছিলেন পাকিস্তানি শরণার্থী। এক আমেরিকান কূটনীতিককে খুন করার পর মালির এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণ করেন জাইনাব। আলহাসানে আউদ মহম্মদ ওরফে চেইবানি নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ প্রমাণ করতে মালি থেকে ১৮ জনকে উড়িয়ে নিয়ে এসেছিলেন জাইনাব। ২০১৫ সালে আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত এক জঙ্গিকে দোষী প্রমাণ করেন জাইনাব। ব্রিটেনে হামলার ছক কষেছিল আবিদ নাসির নামে ওই পাকিস্তানি জঙ্গি।
এক ব্রিটিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, আমেরিকা থেকে আসা জইনাবকে দেখে সবাই ভেবেছিলেন, এত কম বয়সী একজন কিভাবে এমন একটি মামলা লড়ছে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জইনাব বুঝিয়ে দেন তিনি কম কিছু নন। একের পর এক প্রমাণ জোগাড় করে দেন তিনি। ১৩টি এই ধরনের মামলা লড়েছেন জইনাব, হারেননি একটিতেও।
নিউ ইয়র্কে তাঁর কাজে খুশি হয়ে তাঁকে ওয়াশিংটনে হেড অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর বদলে গিয়েছে আমেরিকার ছবি আর সেটা প্রতি মুহূর্তে বুঝতে পারছেন জওনাব। তিনি জানিয়েছেন, মুসলিমদের এখন অবিশ্বাস করা হচ্ছে আমেরিকায়। পাকিস্তান সম্পর্কেও মন্তব্য করেছেন জইনাব। তিনি বলেন, স্কুলে পড়ার সময় মানচিত্রে পাকিস্তান খুঁজে পাননি তিনি। খুঁজে পাননি তাঁর শিক্ষকও। কিন্তু, আজ পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র হিসেবেই চেনে আমেরিকা। জইনাব বলেন, সেইসময়টাতে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে যখন পাকিস্তানকে তাঁর শিক্ষকও পাকিস্তানকে ম্যাপে খুঁজে পাননি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন