যেকারণে বাংলাদেশের সব দুশ্চিন্তা বোলিং নিয়ে
বোলারদের বধ্যভূমি হয়ে উঠেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উইকেট। যে উইকেটে তিনশ’র ওপরে রান নিরাপদ নয়, সেটাকে বধ্যভূমি ছাড়া আর কি-ই বা বলা যায়! আইসিসি ইভেন্টে উইকেটগুলো একটু ব্যাটিংবান্ধব হয়। তাই বলে এতটা! বল সুইং করে না, বাউন্সেও ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করা যায় না; বেধড়ক পিটুনি খাওয়াটা যেন বোলারদের নিয়তি। আর ক্রিকেট খেলাটা যেন পুরোই ব্যাটসম্যানদের। অথচ ইংলিশ কন্ডিশন দাপট থাকার কথা ছিল পেসারদের। কিন্তু সেই ইংল্যান্ডে কি-না ইংলিশ কন্ডিশনের ছিটেফোঁটাও নেই! বোলারদের কোন পাত্তাই নেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। তাই তো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে বোলিং নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। এ কারণে গত ম্যাচের আট ব্যাটসম্যান কম্বিনেশন থেকে আজ সাতজনে নেমে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি।
বোলাররা উইকেট থেকে কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। টুর্নামেন্টটা পুরো ব্যাটসম্যান কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টা বেশ ভাবাচ্ছে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফিকে, ‘ওয়ানডে ফরম্যাটে পৃথিবীর সব বোলারের মধ্যে আলাদা হলো মিচেল স্টার্ক ও মুস্তাফিজ। কিন্তু তারাও কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদের মধ্যে কাগিসো রাবাদা শীর্ষে থাকবে; কিন্তু সেও গতকাল (শ্রীলংকার বিপক্ষে) প্রথমে এসে ওভারপিছু ৭-৮ করে রান দিয়েছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে, পেস বোলারদের জীবনটাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ টুর্নামেন্টে। আইসিসি ইভেন্টে সব সময়ই উইকেট ব্যাটিংবান্ধব থাকে। তবে বোলারদের জন্য কিছু হলেও থাকে। এই যেমন গত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ায় স্পোর্টিং উইকেট ছিল। বোলাররা ভালো বল করলে সুবিধা পেয়েছে। ব্যাটসম্যানরাও ভালো খেললে বড় ইনিংস পেয়েছে। কিন্তু এখানে সব দলের বোলারদের কাজটা কঠিন হয়ে গেছে। তার পরও এখানে কন্ডিশন যা আছে তার মধ্যেই খেলতে হবে। তবে ব্যাটসম্যানদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। তবে বোলাদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনো বোলার বাড়তি কিছু করতে পারে তাহলে দলের জন্য অনেক বড় কাজ হবে। ‘
শুধু কন্ডিশনের কারণেই আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একজন ব্যাটসম্যান কমিয়ে সাতজন নিয়ে নামতে পারে বাংলাদেশ। গতকাল তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন মাশরাফি, ‘একজন বোলার কম থাকলে কী সমস্যা হয় সেটা আমরা দেখেছি। এটা সামনের ম্যাচে অবশ্যই চিন্তা করতে হবে। গতকাল (গত পরশু) থেকেই আমরা এটা নিয়ে ভাবছি। ব্যাটসম্যানদের সঙ্গেও কথা বলেছি, তারা কতটুকু আত্মবিশ্বাসী। আটজনে তিনশ’ করতে পারলে, সাতজন নিয়ে কেন পারব না। তামিম-মুশফিক যে রকম ফর্মে আছে, ইমরুলও ভালো শুরু করেছিল, রিয়াদও ভালো খেলছে; আশা করি সাতজনে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। পঞ্চম বোলার কে হবে বা কাকে নেব, সেটা নিয়ে ভাবছি। ‘
বাংলাদেশ দলের সব চিন্তা যেখানে বোলারদের নিয়ে সেখানে অস্ট্রেলিয়া টাইগারদের নতুন দলটি নিয়ে বেশ চিন্তিত। অসি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের তিনজন ক্রিকেটারকে ভয়ঙ্কর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তবে মাশরাফি অস্ট্রেলিয়ার পুরো দলকেই দুর্দান্ত বলেছেন। তার মতে, অসিদের ১১ জনকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা করতে হবে। তবে অসিদের এগিয়ে রাখলেও জেতার জন্যই আজ বাংলাদেশ মাঠে নামবে বলে জানিয়েছেন মাশরাফি, ‘লক্ষ্য আগের ম্যাচে যা ছিল তাই। আমরা জয়ের জন্য খেলতে নামব। আমরা সবাই জানি কাজটা বেশ কঠিন। তবে ফোকাস করতে হবে তো জয়ের জন্যই। আমরা সেভাবে পরিকল্পনা করেছি। আমাদের যত বিশ্লেষণ অবশ্যই সেটা জয়ের জন্য।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন