যেভাবে তামিম চৌধুরীর আস্তানায় অভিযান!(ভিডিও)

গোয়েন্দা তথ্যেই পাওয়া যায় নারায়ণগঞ্জে জঙ্গিনেতা তামিম চৌধুরীর আস্তানার সন্ধান। গুলশান হামলার পর থেকেই তার সন্ধানে নেমেছিল কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। মাত্র ছয় মাসের মধ্যে ইউনিটটি তার সাফল্য দেখিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ রুখতে কিছুদিন আগে যাত্রা শুরু করে এখন মানুষের আলোচনায় ডিএমপির নতুন ইউনিট: ‘কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট।’ ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি যাত্রা করা নতুন ইউনিটটির দায়িত্ব গ্রহণ করেন অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
সন্ত্রাসবাদ, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন এবং সন্ত্রাসবাদে সহায়ক অপরাধ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যেই ইউনিটটি গঠন করা হয়। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, অপারেশন পরিচালনা, মামলা তদন্ত এবং সন্ত্রাসীদের পর্যবেক্ষণে রাখাই এই ইউনিটের প্রধান কাজ।
ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটে কাজ করে প্রায় ৬০০ সদস্য। একজন ডিআইজি, একজন অতিরিক্ত ডিআইজি, চারজন উপ-কমিশনার (ডিসি), ১০ জন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি), ২০ জন সহকারী কমিশনার ও ৪০ জন ইনসপেক্টরসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্য কাজ করেন এই ইউনিটে।
ডিএমপিতে চারটি বিভাগে বিভক্ত হয়ে ইউনিটটি কাজ করে। বিভাগগুলো হচ্ছে- কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ, সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ, ক্রাইমসিন ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ।
পুলিশের নানান ইউনিটের সফলতা:
জঙ্গিবিরোধী অভিযানে সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। এজন্য নতুন নতুন ইউনিটও গঠন করা হয়েছে। জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা ছাড়াও অভিযান পরবর্তী এবং পূর্ববর্তী তদন্ত ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করছে এসব ইউনিট। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সফলতার পাল্লাটাও তাই ভারী হচ্ছে।
১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলার পর যৌথ অভিযান চালায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও পুলিশের সোয়াত টিম। অপারেশন থান্ডারবোল্ট নামে ওই অভিযানে হামলাকারী জঙ্গিদের নির্মূল করতে সক্ষম হয় তারা। অভিযান শেষে ঘটনার তদন্তে ও তথ্য সংগ্রহে যাবতীয় সহায়তা করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সেখানেই বের হয়ে আসে মাস্টারমাইন্ডদের নাম। এরপরই শুরু হয় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের আরও বিস্তারিত তদন্ত এবং গ্রেফতার অভিযান। নানা জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয় জঙ্গিদের।
অভিযান চালানো হয় বিভিন্ন সন্ত্রাসী আস্তানায়। ২৫ জুলাই সোমবার রাতে কল্যাণপুরের ৫ নম্বর রোডে মমতাজ মঞ্জিলে জঙ্গি আস্তানায় আরও একটি সফল অভিযান চালায় পুলিশের সোয়াত বাহিনী। সেখানে নিহত হয় ৯ জঙ্গি। কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের গার্লস হাইস্কুলের পাশে তাজ মঞ্জিল নামের ৬তলা ওই ভবনকে স্থানীয়রা চেনেন ‘জাহাজ বিল্ডিং’ নামে যেখানে বেশিরভাগ ফ্ল্যাট মেস হিসেবে ভাড়া দেওয়া ছিল। ভবনটির ৫তলায় আস্তানা গেড়েছিল জঙ্গিরা। ২৫ জুলাই সোমবার মধ্যরাতের পর পুলিশ ও র্যাবের প্রাথমিক অভিযান শুরু হয়।
পরে সোয়াত বাহিনীর নেতৃত্বে ‘অপারেশন স্টর্ম-২৬’ নামে মূল অভিযান চলে ভোর ৫টা ৫০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা। অভিযানের পর ভোরে সেখানে নয়জনের লাশ পাওয়া যায়। উদ্ধার করা হয় জিহাদি বই, বোমা ও অস্ত্র। সর্বশেষ ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় গোরস্তানের কাছে একটি বাসায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে সহযোগীসহ নিহত হয় গুলশান, শোলাকিয়া ও কল্যাণপুরে ঘটনার মূলহোতা কানাডা প্রবাসী তামিম চৌধুরী।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে ‘হিট স্ট্রং-টোয়েন্টি সেভেন’ নামে সেখানে অভিযান চালায় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। এতে নিহত হয় গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার মূলহোতা তামিম চৌধুরী। সূত্র-আমাদের অর্থনীতি
https://youtu.be/f0NLo4E3ZfI
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

দেশের কয়েকটি অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্কতা
দেশের সাতটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিবিস্তারিত পড়ুন

শিবির সভাপতি: অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করতে পারেনি
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থবিস্তারিত পড়ুন

মহাকাশে কতগুলো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, শীর্ষে কোন দেশ?
এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কক্ষপথে মোট ৩০ হাজারের বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণবিস্তারিত পড়ুন