যেভাবে ধসে পড়ল কলকাতার ফ্লাইওভার (ভিডিও)
) ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে ছিল গাড়ীগুলো। সিগন্যাল ছেড়ে দেওয়ার মুহূর্তে ঘটে গেল দুর্ঘটনা। হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়ল কলকাতার জোড়াসাঁকোতে নির্মাণাধীন বিবেকানন্দ ফ্লাইওভার। ধসে পড়ার সেই মুহূর্তটি ধরা পড়েছে এক ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরায়।স্থানীয় টেলিভিশনগুলোতে প্রচারিত ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় (স্থানীয় সময়) ওই দুর্ঘটনার পর শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে রাজ্য কর্তৃপক্ষ। জনবহুল ওই স্থানে কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ছয় সেকেন্ডের ওই সিসিটিভি ফুটেজের শুরুতে বেশ কয়েকটি গাড়িকে ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে থাকতে দেখা যায়। সিগন্যাল ছেড়ে দেওয়ার পর মুহূর্তেই মধ্যেই দীর্ঘ কালো ছায়াসহ ফ্লাইওভারের বড় একটি অংশ ট্যাক্সি ও গাড়ির উপর আছড়ে পড়তে দেখা যায়। ফ্লাইওভারের আশপাশে শুরু হয় আতঙ্কিত মানুষের ছুটোছুটি।
এক প্রত্যক্ষদর্শী এনডিটিভিকে বলেন, ‘হঠাৎ করে উড়ালপুল ভেঙে পড়লো, আমরা পাঁচ থেকে ছয় সেকেন্ডের মধ্যে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে দেখলাম। সবকিছু দুলছিল, মনে হচ্ছিল ভূমিকম্প হচ্ছে।’
ইউটিউবে আসা ওই ভিডিওতে অধিকাংশ মন্তব্যকারীই নিহতদের প্রতি শোক জানিয়ে ফ্লাইওভার ধ্বসের জন্য সিটি করপোরেশন, নির্মাণাধীন কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছেন।
তাদের মতে, ঘুষ-দূর্নীতি ও নজরদারির অভাবের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সতর্কতার অভাবে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পারভেজ আক্তার নামে একজন তার মন্তব্যে লিখেছেন, ‘হাওড়া ব্রিজ এখনো দাঁড়িয়ে আছে। করপোরেশন কাউন্সিল, সরকার, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সবাই এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। যখন (ফ্লাইওভার নির্মাণের) চুক্তি হয়, তখন প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে সবাই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে।’
সোহেইল আলী নামে আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন শুরু হবে ক্ষতিপূরণ নিয়ে দোষারোপের রাজনীতি। কি হতো, যদি একজন বিখ্যাত মানুষ এ দুর্ঘটনায় পড়তেন?’
কনকা শ্রীনিবাস নামে আরেকজন বলছেন, ‘যতদিন কংক্রিট ছাড়াই বালি দিয়ে সেতু বানানোর চল থাকবে, ততদিন এমনটাই ঘটতে থাকবে।’
কুমার শ্রেষ্ঠ নামে একজন ফ্লাইওভার ধসের পুরো দায় রাজ্য সরকারকে দিয়েছেন। আবার সৌরভ কর্মকার নামে একজন ওই ভিডিওটিকে ‘হলিউডের স্পেশাল ইফেক্ট’ এর সঙ্গে তুলনা করেছেন।
অনিশ দে নামে আরেকজন বলেছেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এ ধরনের নির্মাণ কাজ নিয়ে আরও যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। ঘিঞ্জি কলকাতায় এটিই প্রথম ঘটনা নয়। কলকাতার রাস্তাগুলোকে সবসময়ই একটি পরিপূর্ণ ট্রেনের মতো মনে হয়, এজন্য এ ধরনের দুর্ঘটনা যখন ঘটে তখন তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। অথচ এ ধরনের এলাকায় ফ্লাইওভারের মতো বড় বড় নির্মাণ কাজের জন্য কোনো ধরনের নিয়মনীতি কিংবা আগাম সতর্কতা নেওয়া হয় না। কর্তৃপক্ষের উচিত রাতে পুরো সাইট আর দিনের বেলায় যেসব স্থানে ধ্বংসস্তূপ পড়ার সম্ভাবনা আছে সেগুলো ঢেকে দেওয়া।
ঢাকা থেকে রিয়াজ হোসেন নামে একজন ফ্লাইওভার ধসে নিহতদের জন্য তার খারাপ লাগার কথা জানিয়েছেন।
প্রমিথ লাহা নামে আরেকজন এতে ষড়যন্ত্রের আশংকা জানিয়ে লিখেছেন, ‘এই ঘটনা কি শুধুই দুর্ঘটনা, টেকনিক্যাল ফল্ট, গাফিলতি.. বাম হোক আর তৃণমূল এর ব্যর্থতা???? না কোনো ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের (isis, তালিবান, লস্কর, জামাত etc) বা বিদেশি শক্তি (পাকিস্থান, বাংলাদেশ etc) এর নাশকতা.. নির্মীয়মান অবস্থাতে কোনো শব্দ তরঙ্গ (আল্ট্রাসাউন্ড বা সুপার সনিক তরঙ্গ) এর ব্যবহার ??? ’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন