যেভাবে ফেসবুকের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করত তারা
ফেসবুকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন নাইজেরিয়ানসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এরা হলেন, মোহাম্মদ আলী, মঞ্জুর মাহমুদ, নাইজেরিয়ার নাগরিক ইজুচিও ফ্রাঙ্কিন, অবি হেচেয় ও ইক ফ্লেস্ক।
বুধবার বিকেলে র্যাব-২ কার্যালয়ে প্রতারক চক্রটি কীভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিতো তার বর্ণনা দেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
তিনি বলেন, প্রতারকচক্রের সদস্যরা ফেসবুকে সুদর্শন পুরুষের ছবি প্রোফাইলে ব্যবহার করত। তাদের সঙ্গে কিছু নারী সদস্য ছিল। তারা নিজেদের যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নাগরিক পরিচয় দিত। ফেসবুকের মাধ্যমে প্রথমে গভীর বন্ধুত্ব এবং পরে প্রেম। তারা কথিত বন্ধু বা প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য বিভিন্ন উপহারও পাঠাতো। চক্রটি চিকিৎসক, প্রৌকশলী ও ব্যবসায়ীদের মূলত টার্গেট করতো। এভাবেই প্রতারণার ফাঁদ পেতে এক সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিত তারা।
র্যাবের এই পরিচালক আরোব বলেন, তিন নাইজেরিয়ানের সঙ্গে রাজধানীর উত্তরায় ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট মোহাম্মদ আলী ও মঞ্জুর মাহমুদের পরিচয় হয়। সম্পর্কের সূত্র ধরে তারা যৌথভাবে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেন। সেখান থেকে ধীরে ধীরে প্রতারকচক্র গড়ে তোলেন। প্রতারণা থেকে প্রাপ্ত টাকার মধ্যে মোহাম্মদ আলী ও মঞ্জুর আহমেদ পেতেন পাঁচ ভাগ করে। বাকি টাকা তিন নাইজেরিয়ান ভাগ করে নিতেন।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, এভাবে ফেসবুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরিচয় ও সখ্যতা গড়ে তোলে প্রতারকচক্রটি। ‘ড্যাসমন্ড দে স্যামুয়েল’ নামে একজনের সঙ্গে ওই চিকিৎসকের বন্ধুত্ব হয়। ফেসবুকে ড্যাসমন্ড ব্রিটিশ নাগরিক বলে পরিচয় দেয়। এই সূত্রে ড্যাসমন্ড ইংল্যান্ড থেকে চিকিৎসকের জন্য কিছু উপহার সামগ্রীও পাঠায়। এ উপহারের কথা বলে মাইনরো ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রথমে ৫৬ হাজার ৫৬৬ টাকা ও পরে দুই লাখ ৬২ হাজার ৯০০ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এরপর আবারো প্রতিষ্ঠানটি গিফটের অবস্থান না জানিয়ে ১০ লাখ টাকা চাওয়ায় ওই চিকিৎসকের সন্দেহ হয়।
মুফতি মাহমুদ বলেন, এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী র্যাবের কাছে অভিযোগ দিলে প্রথমে ব্যাংক অ্যাকাউন্টধারী মালিক মোহাম্মদ আলী (৩০) ও মঞ্জুর মাহমুদের (৩১) খোঁজ করে র্যাব। পরে ব্যাংকের জমাকৃত টাকা উত্তোলন করতে গেলে তাদেরকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তিনজন নাইজেরিয়ানকে গুলশান নিকেতনের একটি বাসা থেকে আটক করা হয়। আটক করার সময় তারা কোনো বৈধ কাগজ-পত্র দেখাতে পারেনি।
তাদের কাছ থেকে ৫৩ হাজার ১১ টাকা, পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যাংকের ব্লাংক চেক, ক্রেডিট কার্ড এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য বেশ কিছু অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন