যেভাবে যোগ্য নেতা বানাতে পারে আপনার উদ্বেগ
আমি কি কাজটা করতে পারবো? অবশ্যই পারবো। কারণ এটা আমি প্রতিদিনই করি। আমার কি কাজটা করতে ভয় করছে? আমার ওপর কি অবসাদ ভর করেছে? মিটিংটা কি মিস করবো? এসব নানা দুশ্চিন্তা উদ্রেককারী প্রশ্ন প্রতিনিয়ত মনে ঘুরতে থাকে। বলা হয়, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর। তবে যদি একে নিয়্ন্ত্রণের মাধ্যমে কাজে লাগানো যায়, তবে ভালো ফলাফল মিলবে।
এ ধরনের উদ্বেগকে সহজেই পরাস্ত করা যায়। আমার কি নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে? আমার কি চিকিৎসা দরকার? কেন নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে? কারণ হতে পারে আমি ক্লান্ত। আর ক্লান্তি আসা অতি স্বাভাবিক বিষয়। তাহলে এক কাপ কফি দরকার। কফি কি স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর? হলে তো চিকিৎসক আছেনই। তা ছাড়া কফি খেলে তো চাঙ্গা হয়ে যায় দেহ-মন। কাজেই অবসাদ কাটাতে এটা ক্ষতিকর নয়। কফি খেলেই আমার সব ঠিক হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত সকল প্রশ্নের ইতিবাচক সমাধান মিললো।
কনসালটেন্ট এবং ব্লগার জ্যাক মার্কুরিও ৫ বছর আগে জেনারালাইজড অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারে (জিএডি) ভুগছিলেন। বর্তমানে এ সমস্যার আক্রান্তদের প্রশিক্ষক তিনি। বিভিন্ন বিষয়ে ভয়, আতঙ্ক বা উৎকণ্ঠায় অস্থির থাকি আমরা। কিন্তু সহজেই একে কাজে লাগিয়ে নেতৃত্বের পথে এগিয়ে যাওয়া যায়। যাদের উদ্বেগ অন্যদের চেয়ে বেশি, তারাই বরং নেতৃত্বের পথে এগিয়ে যেতে পারেন। এখানে জ্যাক দিয়েছেন ৫টি পরামর্শ।
১. আলোচনা করুন : বিশেষ করে যারা নেতৃত্বে আছেন যারা নিজের উদ্বেগের কথা নিজের মধ্যেই রাখতে চান। অথচ এ নিয়ে কথা বলা উচিত। বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এটা কি সাধারণ অবস্থা? নাকি অন্য কোনো সমস্যা রয়েছে? যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের সঙ্গে কথা বলুন। কাছে বন্ধু বা স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করুন। এ বিষয়ে যার সঙ্গে আলোচনা করবেন, তার সঙ্গে সম্পর্ক আরো গভীর হবে বলে মনে করেন জ্যাক। তা ছাড়া আলোচনা যত বেশি হবে, উদ্বেগ তত বেশি কমে আসবে। বিভিন্ন মানুষের পরামর্শ একে সহজেই ইতিবাচক কাজে লাগাতে পারবেন।
২. পরোপকারিতা : উদ্বেগ দূর করতে পরোপকারিতা ওষুধের মতো কাজ করে। কাছের কোনো মানুষ, পরিচিত বা অপরিচিত যেকোনো মানুষের নিঃশর্তে উপকার করুন। পরোপকারী মনোভাবে একজন নেতার বৈশিষ্ট্য। এমনকি আপনার সমস্যা অন্য কেউ ভুগলে তাকেও সুপরামর্শ দিয়ে সহায়তা করুন। যখন আপনি একজনের বা কয়েক জনের সমস্যা সমাধানে কাজ করবেন, তখন নিজেরটি ভুলে যাবেন। আর সবার আশা-ভরসার কারণ হয়ে উঠবেন অনায়াসে।
৩. উৎকণ্ঠা যখন বন্ধু : এই মানসিক পীড়াকে আতঙ্কের সঙ্গে নেবেন না। জীবনে উদ্বেগ থাকবেই। তাই একে বন্ধু বলে মনে করুন। আর বন্ধুকে কিভাবে সহযোগী করতে হয় তা আপনি নিশ্চয়ই বোঝেন। এটা আপনারই একটা অংশ। কাজেই একে নিয়্ন্ত্রণে নিয়ে চলতে হবে। এভাবে ভাবতে পারেন যে, যখন সমস্যা নেই তখন আপনি একা। আবার যখন উদ্বেগ ভর করলো, তখন আপনার অংশটি ফিরে এসেছে বলে ধরে নিন। একে স্বাগত জানান এবং একে ইতিবাচক কাজে লাগান।
৪. মানসিক পরিপূর্ণতার চর্চা করুন : আপনার আবেগ, চিন্তা, অনুভূতি এবং মূল্যবোধকে নির্দিষ্ট করুন। এদে পৃথক নাম দিন। যখন উদ্বেগ ভর করবে তখনই একে চিহ্নিত করুন। আরো বেশি জানতে ও বুঝতে মানসিক পরিপূর্ণতার চর্চা করুন। মেডিটেশন করুন। মনে শান্তি ফিরবে এবং অর্থপূর্ণ হয়ে উঠবে সবকিছু। এ ধরনের চর্চা আপনাকে আরো ভালো শ্রোতা ও বক্তা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
৫. ‘আমি ঠিক আছি’ : এ কথাটি সব সময় মনে রাখবেন। নিঃশ্বাস যখন চলছ তখন সবই ঠিক আছে। সমস্যা থাকলে তা মিটিয়ে নেওয়া যাবে। আর এমন ভাবনাই প্রমাণ করে, আপনি যোগ্য নেতা এবং নেতৃত্বের পথে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন