যেসব খাবারে দরকারি আয়রন আছে
শরীরের কাজকর্ম সঠিকভাবে হওয়ার জন্য আয়রন জরুরি। আয়রনের অভাবে রক্তস্বল্পতা হয়। ক্লান্তি ভাব, মাথাব্যথা, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, অবসন্নতা, ফ্যাকাশে চামড়া, ভঙ্গুর চুল, শ্বাসকষ্ট, ঘুমের অসুবিধা ইত্যাদি আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ। আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে; প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
আবার অনেক বেশি আয়রনও কিন্তু শরীরের জন্য ভালো নয়। এটি ফ্রি র্যাডিকেল তৈরিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে। এতে লিভার ও হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
একজন নারীর প্রতিদিন ১৫ মিলিগ্রাম আয়রন খাওয়া প্রয়োজন। আর পুরুষের জন্য এটি ১০ মিলিগ্রাম। আয়রনের কিছু উৎসের কথা জানিয়েছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইট।
গাঢ় সবুজ শাকসবজি
গাঢ় সবুজ শাকসবজি আয়রনের ভালো উৎস। এক কাপ পালং শাকে ভালো মানের আয়রন পাওয়া যায়। এক কাপ রান্না করা পালংশাকে ৩ দশমিক ২ গ্রাম আয়রন থাকে।
এ ছাড়া মটরশুটির মধ্যেও আয়রন ভরপুর। আধা কাপ মটরশুটি প্রতিদিনের চাহিদার ১০ শতাংশ মেটায়।
ডিম
আয়রনের উৎস ডিম। দিনে দুটি ডিম খাওয়া দৈনিক আয়রনের চাহিদার ৮ শতাংশ পূরণ করে।
কালো চকলেট
১০০ গ্রাম কালো চকলেট দৈনিক চাহিদার ৩৫ শতাংশ মেটাতে পারে। এটি উচ্চ রক্তচাপ ও বাজে কোলেস্টেরল কমায়।
সয়াবিন
সয়াবিনও আয়রনের অন্যতম উৎস। এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, মিনারেল ও আঁশ। এক কাপ সয়াবিন দৈনিক চাহিদার অনেকটাই পূরণ করে।
মাছ
স্যামন, সার্ডিন, কুটেল মাছে আয়রন থাকে। এ ছাড়া স্যামনের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। এটি স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় এবং রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন