সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

যে অধ্যাপক ভিক্ষা করে ৪টি স্কুল চালান! দেখুন..(ভিডিও সহ)

সমাজে আমরা বিভিন্ন ধরনের শিক্ষানুরাগী মানুষ দেখতে পাই। মানুষের মাঝে শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে, শিক্ষার আলোয় মনকে উদ্ভাসিত করতে অনেক কিছুই করেন তারা। নানা রকম ত্যাগ তিতিক্ষা করতে হয় এ ধরনের শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের। তবে ভিক্ষা করে মানুষের মাঝে শিক্ষা ছড়িয়ে দেয়ার কাজ করছেন এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। এবার সে ধরনেরই একজন মানুষের সন্ধান মিলেছে।

ট্রেনের যাত্রীদের কাছ থেকে সাহায্য গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠা করেছেন চারটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। স্কুলগুলোকে চালিয়েও নিচ্ছেন লোকজনের সাহায্যের টাকা দিয়ে। ভারতের মুম্বাই শহরের সাবেক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক সন্দিপ দেশাই এ কাজটিই করে যাচ্ছেন ২০১০ সাল থেকে। আর তার সাথে আছেন আরেকজন অধ্যাপক নুরুল ইসলাম।

ট্রেনে কখনো কখনো নিজের সহকর্মীদের কাছ থেকেও অর্থ সংগ্রহ করতে হয় তাদের। মুম্বাইয়ের ‘এসপি জেইন ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ’র ৬৫ বছর বয়সী অধ্যাপক দেশাই বলেন, ‘যখন আমি ট্রেনে উঠি আমার সহকর্মীরা দূর থেকে আমাকে দেখতে পায়। আমার কাছে থাকে একটি ব্যাগ এবং এর ভেতরে থাকে প্লাস্টিকের একটি বাক্স। আমি আমাদের প্রতিষ্ঠানের সাথে লোকদের পরিচয় করিয়ে দেই এবং এটি সম্পর্কে দু-চার লাইন বলি।’

চারটি স্টেশন পার হয়ে ট্রেনের যখন সান্টা ক্রজে চলে আসে তখনো দেশাই নিজের বাক্সটি ব্যাগে ঢুকান না। সাহয্যের জন্য কথা বলেই যেতে থাকেন। তিনি হেসে বলেন, এরপর আমার সহকর্মীরা আমার কাছে আসেন এবং কর্কশ ভাষায় আমাকে পরের স্টেশনে নেমে যেতে বলেন। আমার কাছে মনে, এটা একটা আল্টিমেটাম।’

গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য স্কুল চারটি চালান তিনি। এগুলো ভারতের মহারাষ্ট্র ও আরেকটি রাজস্থানের বিভিন্ন স্থানে। স্কুলগুলোর জন্য এ পর্যন্ত ৫০ লাখেরও বেশি রুপি সংগ্রহ করেছেন দেশাই ও নুরুল ইসলাম। বর্তমানে মহারাষ্ট্রে পঞ্চম স্কুলটি খোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। নিজের সহকর্মীরা বিরক্ত হলেও ট্রেনের সাধারণ যাত্রীরা কখনোই বিমুখ করেন না দেশাইকে।

রওনক মেহতা নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আমি এই পথে দুই বছর ধরে যাতায়াত করি। প্রতিদিন আমি তাকে দেখি। যদি তার উদ্দেশ্য নির্ভেজাল না হতো তবে তিনি প্রতিদিন আসতেন না। ভারতে অগণিত শিশু আছে যারা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। আমাদের ছোট্ট সাহায্য থেকে তারা যদি শিক্ষা লাভ করতে পারে তবে তা খুবই আনন্দের।’

শুধু জনসাধারণে দানশীলতাই নয় সাহায্য সংগ্রহে দেশাইকে সহায়তা করেন রেল বিভাগের কর্মচারিরাও। তাদের সাহায্য সম্পর্কে দেশাই বলেন, ‘আমি যখন ট্রেনে উঠি তখন তারাও আমার সাথে এসে দাঁড়ায়। বলতে থাকে, আপনি যদি একজন মানুষকে এক বেলা খাবার খাওয়ান তবে আপনি তাকে একবারই খাওয়ালেন। আর আপনি যদি কাউকে শিক্ষার ব্যবস্থা করে দেন তবে আপনি তাকে সারাজীবন খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলেন।’
অধ্যাপক২
অধ্যাপক দেশাইয়ের হাতের দানবাক্সগুলো পরিপূর্ণ হয়ে উঠলে মুখে হাসি ফুটে ওঠে তার। সবাইকে উদ্দেশ্য করে ধন্যবাদ দিতে থাকেন তিনি। পরবর্তীতে আরো সাহায্য করার আহ্বান জানিয়ে ট্রেন থেকে নেমে যান সন্দিপ দেশাই।
https://youtu.be/-HsmAa21hC8

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ