পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় আগামী বছরের মার্চ বা এপ্রিল মাসে দেশ দুটির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন পাকিস্তানের অনুসন্ধানী সাংবাদিক নাভিদ আহমেদ।

ইরানের ইংরেজি নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভিতে পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনা নিয়ে বিতর্কের সময় তিনি বলেছেন, ভারত ‘কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন’ বা ‘ধীরে শুরুর নীতি’ নিয়ে এগিয়ে চলেছে। কাশ্মীর সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছের লক্ষ্যবস্তুগুলোকে চূড়ান্ত হামলার আগে ‘নরম করার’ চেষ্টা করছে ভারত। মার্চ বা এপ্রিল মাসে পাকিস্তান-ভারত পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরুর আশংকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে কাশ্মীর থেকেই এই যুদ্ধ শুরু হবে।

নাভিদ আহমেদ আরো বলেন, ভারতীয় সামরিক বাহিনী যে সব মহড়া চালাচ্ছে এবং গোটা ভারতজুড়ে যে মনোভাব তৈরি হয়েছে, এর প্রেক্ষাপটে মনে হচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনাকে তুঙ্গে নিয়ে যেতে এবং তৃতীয়বারের জন্যে যুদ্ধ বাঁধতে চলেছে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের। এমনকি, এইদিক থেকে নজর ঘোরাতেই নোট বাতিল করা হয়েছে বলেও মনে করেন এই বিশ্লষেক। একই সঙ্গে তার মত, চীনের দিকে পাকিস্তানের ঝুঁকে পড়া এবং দুই দেশের অর্থনৈতিক করিডর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে মোটেও খাপ খায় না! এছাড়া, ভারতের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরুর জন্য পাকিস্তানের প্রস্তুতির বিষয়েও কথা বলেন নাভিদ আহমেদ। তিনি বলেন, শান্তি আলোচনা দ্বিপক্ষীয় প্রক্রিয়া।
তিনি জোরালো ভাষায় বলেন, দুই সরকারের মধ্যে আস্থা এবং পর্যাপ্ত পুঁজি বিনিয়োগ ছাড়া পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হবে না। ভারত অনেকবারই শান্তি প্রক্রিয়া বাতিল করতে চেয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আলোচনায় অংশ নেয়া অপর সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক সোবহান সাক্সেনা বলেন, কাশ্মীর সংকট নিরসনে পাকিস্তান ও ভারতের একযোগে কাজ করা উচিত। কিন্তু দুই পক্ষের যুদ্ধংদেহী মনোভাব বিরাজমান সংকট নিরসনে কোনো সহায়তা করবে না। পাকিস্তান ও ভারত দু দেশের হাতে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ফলে দুই দেশেরই সংযম ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ যদি শুরু হয় তাহলে দু দেশ এবং গোটা অঞ্চলের ওপর নিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ বয়ে যাবে তা সহজেই অনুমান করা যায় বলে উল্লেখ করেন সোবহান সাক্সেনা। তিনি বলেন, পরমাণু যুদ্ধ সম্ভব নয় এবং এই নিয়ে কথা বলা উচিতও হবে না।