যে কারও ফেসবুক এখন খুলতে পারে গোয়েন্দারা
খন ফেসবুকেও নজরদারি হচ্ছে। যে কারও ফেসবুক খুলতে পারবে সরকার। উদ্ধার করতে পারবে হাইড করা তথ্যও। কেউ ফেসবুক ব্যবহার করার পর সেটা বন্ধ করে দিলেও সেটা থেকে সব উদ্ধার করতে সক্ষম। এমনভাবেই সক্ষম করা হয়েছে এনটিসিএমকে। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও সরবরাহ করা হয়েছে। আগামী দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সবগুলোতে নজরদারি আনার জন্য কি কি করা যায় সেটার জন্য কাজ করছে সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আসন্ন পৌর নির্বাচনের ফলাফল, ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা ও কালো দিবস ঘোষণা করে বিএনপি কর্মসূচি দিবে, ৬ জানুয়ারি রয়েছে জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মামলার রায়ের তারিখ। জামায়াতও প্রস্তুতি রেখেছে তার বিরুদ্ধে আগের রায় বহাল থাকলে নতুন করে হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দেওয়ার। এই তিন ইস্যুকে সামনে রেখে বিএনপি ও জামায়াতও সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে চাইছে।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই আশঙ্কা থেকেই নানা ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এ জন্যই তারা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের ওপর নজরদারি করছে। কারণ তারা মনে করছে বিএনপি ও জামায়াত পুলিশের ভয়ে মাঠে নামতে না পারায় সামাজিক মাধ্যমগুলো ব্যবহার করবে- সেটাও যাতে করতে না পারে সেটাও প্রতিহত করতে চাইছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা জানি তারা দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের সঙ্গে বাইরে কেউ কেউ কাজ করছে। এই ষড়যন্ত্র আমরা নস্যাৎ করে দেব। তারা কিছুই করতে পারবে না। নানা দিক বিবেচনা করেই আমরা নানা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তারা এগুলো করবে আর আমরা তো বসে থাকব না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাতে কেউ সরকারবিরোধী প্রচারণা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কিংবা নাশকতার ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করতে না পারে ও এবং একটি বিষয়ে সংগঠিত হয়ে দেশে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা কিংবা আন্দোলন করতে না পারে সেই ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে সরকার।
সরকারের এই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে তাদের নজরদারি আরও বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তারা যাতে করে আরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় সেই নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সকলের ফেসবুকের পাসওয়ার্ডও তারা তাদের আয়ত্ত্বের মধ্যে নিয়ে এসেছে। এতোদিন যে কারও ইমেইলের পাসওয়ার্ড তারা বের করে এরপর তাদের মেইল চেক করতে পারত। এখন এর পাশাপাশি ফেসবুকেরটাও পারবে। দিন যত যাচ্ছে সরকার ডিজিটাল সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণেও আনতে চাইছে। এই জন্য সরকার বিভিন্ন সামজিক মাধ্যমগুলোকে নজরদারিতে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে ফেসবুকের ব্যাপারে সক্ষমতা অর্জন করেছে। এখন যে কেউ চাইলেও তার ফেসবুকের কোনো তথ্য গোপন রাখতে পারবে না।
যারাই ফেসবুক ব্যবহার করবে তাদের সেই ফেসবুকের ব্যাপারে কোনো সন্দেহ হলে সেটা গোয়েন্দারা জানতে পারবে এবং সেটা জেনে এরপর দেখতে পারবে ওই ফেসবুকের মাধ্যমে কোন কোন প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তির সাথে কি ধরনের যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী দিনে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, আধুনিক ডাটা সেন্টার স্থাপন, নানা ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করার। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তৈরি করার কাজ করছি। সেইসঙ্গে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)-কে আরও সুবিধা দেওয়া হবে। আমরা আগে ফেসবুক মনিটরিং সরাসরি করতে পরতাম না এখন সেটা করা যাচ্ছে। যারা অপরাধ করবে তাদের সহজেই ধরা সম্ভব হবে। সেই প্রযুক্তি আনা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ডিটিজাল পদ্ধতি ব্যবহারের যে সব ঝুঁকি রয়েছে সেগুলো যাতে ব্যবহার করতে না পারে এবং এগুলো যাতে ভালো কাজে ব্যবহার করা হয় সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তাও দেওয়া হয়েছে। আরও দেওয়া হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আজকের যত আয়োজন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছেবিস্তারিত পড়ুন
মোবাইল নম্বর ঠিক রেখেই অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে: প্রক্রিয়া শুরু
মোবাইল ফোনের নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি-এমএনপি)বিস্তারিত পড়ুন
স্মার্টফোন কিনে লাখপতি হলেন পারভেজ
নির্দিষ্ট মডেলের ওয়ালটন স্মার্টফোন কিনে পণ্য নিবন্ধন করলেই মিলছে সর্বোচ্চবিস্তারিত পড়ুন