যে কারণে অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধনের আওতায় আনছে সরকার
দেশের অনলাইন পত্রিকা এবং প্রিন্ট পত্রিকার অনলাইন ভার্সনকে নিবন্ধনের আওতায় আনছে সরকার। পত্রিকার প্রকাশকদের পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা এবং অপসাংবাদিকতা রোধ করার লক্ষ্যেই সরকার অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করেছে।
অনলাইন পত্রিকাগুলোকে নিবন্ধন করার জন্য নির্ধারিত নিবন্ধন ফরম ও একটি প্রত্যয়নপত্র বা হলফনামা পূরণ করে আগামী ১৫ ডিসেম্বর মধ্যে তথ্য অধিদফতরে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে তথ্য অধিদফতর। ফরম ও প্রত্যয়নপত্রের নমুনা তথ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে (www.pressinform.gov.bd) পাওয়া যাবে। এছাড়া সরাসরি তথ্য অধিদফত্রের প্রটোকল শাখায়ও নিবন্ধন ফরম ও প্রত্যয়নপত্র পাওয়া যাবে।
তথ্য অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, আবেদন পত্র এবং প্রত্যায়ন পত্র জমা দেওয়ার পর পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) দিয়ে যাচাই করা হবে ওই পত্রিকা সম্পর্কে। যাচাই করার পর ঐ পত্রিকা যদি নিবন্ধিত হবার যোগ্য হয় তাহলে তাদেরকে নিবন্ধিত করা হবে।
এক্ষেত্রে যে অনলাইন পত্রিকার অফিস নেই, সাংবাদিক নেই তাদেরকে নিবন্ধন দিবেনা তথ্য অধিদফতর। মুলত পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) মাধ্যমে আবেদনকারী প্রকাশকের পত্রিকার সম্পর্কে খোঁজ নিবে তথ্য অধিদফতর।
জানা যায়, এ নিবন্ধন করতে কোনো টাকা লাগবেনা। তবে নিবন্ধনের ফলে সরকারী বিজ্ঞাপনের সুযোগ পেতে পারে অনলাইন পত্রিকাগুলো। এছাড়া যাদের এক্রিডিটেশন কার্ড নেই নিবন্ধন করে আবেদন করলে তারা এক্রিডিটেশন কার্ড পাবে। কিন্তু নিবন্ধন ছাড়া কোনো পত্রিকাকে এক্রিডিটেশন কার্ড দেয়া হবেনা।
তবে কোন পত্রিকা কয়টা এক্রিডিটেশন কার্ড পাবে সেটা ওই পত্রিকার অ্যালেক্সা রেটিং, গুগল অ্যানালিটিক্স, নিজস্ব কনটেন্টের পরিমাণ ও সাংবাদিকের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেও জানা যায়।
এ বিষয়ে তথ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার মোহাম্মদ ইসহাক হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে কয়টা অনলাইন পত্রিকা আছে সেটা কেউই জানে না। একেক জন একেক সংখ্যা বলে থাকেন। তবে এ নিবন্ধনের ফলে বলা যাবে কয়টা অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধিত আছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা নিবন্ধন করবেনা তারা এক্রিডিটেশন কার্ড বা সরকারী অনান্য সুযোগ-সুবিধা পাবে না। যারা নিবন্ধন করবে তারাই সুযোগ-সুবিধা ও এক্রিডিটেশন কার্ড পাবে। তবে কোন পত্রিকা কয়টা এক্রিডিটেশন পাবে সেটা ওই পত্রিকার রিপোর্টারের সংখার উপর নির্ভর করবে।’
অন্যদিকে তথ্য অধিদফতরের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ শাহেনুর মিয়াঁ বলেন, ‘এ ধরনের চিন্তা সরকারের নতুন নয়। সরকার অনলাইন পত্রিকার নীতিমালা তৈরি করার কাজ করছে। যতদিন পর্যন্ত ওই নীতিমালা না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত অনলাইন পত্রিকাগুলো নিবন্ধনে এনে শৃঙ্খলতার মধ্যে আনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে অসংখ্য অনলাইন পত্রিকা আছে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে যেন অপসাংবাদিকতা না হয় সেগুলোর জন্য সরকার চাচ্ছে শৃঙ্খলতার মধ্যে আনতে। যৌক্তিকভাবে সঠিক সাংবাদিকতাকে প্রোমট করতে। আমার বিশ্বাস, এতে করে পত্রিকাগুলো একটা সিস্টেমের মধ্যে আসবে।’
যে পত্রিকাগুলো নিবন্ধন করবেনা বা যারা নিবন্ধন পাবেনা সেগুলোর ব্যাপারে আপনারা কি পদক্ষেপ নিবেন?-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এটা মন্ত্রনালয় সিদ্ধান্ত নিবে।’
উল্লখ্যে, বাংলাদেশে প্রচুর সংখ্যাক অনলাইন রয়েছে। যার সঠিক কোন সংখ্যা এখনও কারো যানা নেই। এর বেশিরভাগই নিজ উদ্যেগে চালু হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা বা অজ্ঞতার অভাবে কোন পোর্টালই তেমন কোন আলোর মুখ দেখছে না। তাই একটা সময় বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিতে হচ্ছে এইসব পোর্টাল সমূহকে।
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনলাইন গণমাধ্যমের গুরুত্ব। আর তাই এখনই সময় এর এর সঠিক ব্যাবহার এবং নিয়ন্ত্রন। বিডি24লাইভ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আজিমপুরে বাসায় ডাকাতি, মালামালের সঙ্গে দুধের শিশুকেও নিয়ে গেছে ডাকাতরা
ঢাকার আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারে একটি বাসায় দিনে দুপুরে ডাকাতিরবিস্তারিত পড়ুন
সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের সংঘর্ষ
সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়াবিস্তারিত পড়ুন
ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে বিক্ষোভে উত্তাল প্যারিস
উয়েফা নেশন্স লিগে ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েবিস্তারিত পড়ুন