যে কারণে চা বিক্রি করছেন ছাত্রলীগের সহসভাপতি

চায়ের দোকান দিয়ে পড়ালেখার খরচ চালাচ্ছেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ছাত্রলীগের সহসভাপতি সোলেমান আলী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্র্থী। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছোট ভাই মনোয়ার হোসেনের পড়ালেখার খরচও চালাচ্ছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সোলেমান আলী জানান, নেত্রকোনা সদরের সাতপাই গ্রামে ১৯৯১ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। মুক্তিযোদ্ধা পিতা শামসুদ্দিন খানের চাকরির সুবাদে তার রংপুরে লেখাপড়া শুরু হয় রংপুর কালেক্টরেট স্কুলে। ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডি বিভাগে ভর্তি হন। বর্তমানে এমবিএ প্রথম সেমিস্টারে শিক্ষার্থী তিনি। বেরোবিতে ভর্তি হওয়ার পর ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। বর্তমানে তিনি বেরোবি ছাত্রলীগ শাখার সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
চায়ের দোকান কীভাবে দিলেন এ প্রসঙ্গে সোলায়মান আলী জানান, গত বছরের অক্টোবরে বেরোবির বঙ্গবন্ধু হলের নিচে ১০ হাজার টাকায় একটি চায়ের দোকান দিয়ে যাত্রা শুরু করেন। এই দোকানটি দিতে তাকে ৫ হাজার টাকায় বিবিএ ভর্তি গাইড বই বিক্রি করতে হয়েছে। এ ছাড়া এক বড় ভাই তাকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে সাহায্য করেন। চায়ের দোকানের পাশাপাশি এখন বেকারি সামগ্রীও রয়েছে তার দোকানে। প্রতিদিন দোকানে বিক্রি হয় আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা। প্রতিদিন বাকি দিতে হয় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। এ ছাড়া খরচ বাদ দিয়ে তার প্রতিদিন লাভ হয় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এই টাকা দিয়ে দুই ভাইয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাচ্ছেন তিনি। ছোট ভাই মনোয়ার হোসেন মার্কেটিং বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। মনোয়ারও প্রতিদিন তিন থেকে চার ঘণ্টা ভাইকে সাহায্য করেন। বাবা-মা বসবাস করছেন নেত্রকোনাতে।
ছাত্রলীগ করার পরও চায়ের দোকান দিয়ে কেন লেখাপড়ার খরচ চালাতে হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে সোলায়মান আলী বলেন, ‘কারো কাছে হাত পেতে হয়তো লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারতাম। কিন্তু কারো কাছে হাত পাতার বিষয়ে বিবেকে বাধে, তাই এই ব্যবসায় নেমেছি।’ ক্যাম্পাসে চায়ের দোকান দিতে কেউ বাধা দিয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথম প্রথম ভিসি স্যার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। এখন কিছু বলেন না।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ছাত্রাবাসের প্রভোস্ট কমলেশ চন্দ্র ছাত্রাবাসের নিচে দোকান দেওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নুর উন নবী জানান, অনেক ছাত্রই অভাবের কারণে টিউশনি করে লেখাপড়ার খরচ চালাচ্ছে। সোলায়মান চায়ের দোকান করে খেলাপড়ার খরচ চালাচ্ছে। তবে সে ক্যাম্পাসে দোকান দেওয়ার ব্যাপারে কোনো অনুমতি নেয়নি। তার অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন ছিল।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

সিলেটের জঙ্গি নেতা আব্দুল বারি ও শামসু জামিনে মুক্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা: শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিবাদী সংগঠন জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এরবিস্তারিত পড়ুন