বুধবার, নভেম্বর ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

যে কারণে জঙ্গি টার্গেটে চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক জঙ্গী বিস্তারে উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ। চট্টগ্রামে কেনইবা সম্প্রতি বেড়েছে জঙ্গী তৎপরতা? সীতাকুন্ডেই কেন এই জঙ্গী আস্তানা? এমন সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজবার পাশাপাশি অজানা শংকাও ভর করেছে চট্টগ্রামের নাগরিক মনে।

ভৌগলিক অবস্থানগত সুবিধে আর সহায়ক রাজনৈতিক পরিবেশের কারনেই চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ঘাঁটি করেছে জঙ্গীরা। সীতাকুন্ড ছাড়াও মিরশ্বরাই, পটিয়া, বাঁশখালী, হাটহাজারী ও নগর চট্টগ্রামের লালখানবাজার, হালিশহর, বায়েজিদ ; প্রায় সবখানেই জঙ্গী বিস্তারে উদ্বেগ আতংক ছড়িয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের নাগরিক মনে।

খোদ চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা দুই দিন আগেই জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় স্বীকার করেছেন চট্টগ্রামে জঙ্গি তৎপরতা বেড়েছে। তিনি বলেন, জঙ্গিদের তৎপরতা বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে বলেই এ সব অভিযানে জঙ্গি গ্রেফতার সম্ভব হচ্ছে। ব্যাপক বিনিয়োগের সম্ভাব্যতার কারনে বিদেশীদের উদ্বিগ্ন করতেই চট্টগ্রামে জঙ্গিরা তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে বলে মনে করেন এসপি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী মনে করেন, সমুদ্র বন্দরসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপুর্ন স্থাপনার অবস্থান এবং চট্টগ্রামকে ঘিরে নিকট প্রতিবেশি দেশের সাথে উন্নয়ন সংযোগ ও আভ্যন্তরীন উন্নয়ন মহাপ্রকল্প গৃহীত হওযায় সামগ্রিক পরিবেশ নষ্ট করতেই জঙ্গিরা চট্টগ্রামকে বেছে নিয়েছে। এর পেছনে থাকতে পারে দেশীয় ও আন্তর্জতাতিক গভীর ষড়যন্ত্র।

এদিকে, রাজনৈতিক অঙ্গনকে অস্হির করতে জঙ্গীদের লালন করছে বিশেষ গোষ্ঠী’ -এমনটি মনে করেন চট্টগ্রামের রাজনৈতিক বিশ্লেষক, মুক্তিযোদ্ধা, প্রফেসর ইদ্রিস আলী। তিনি বলেন, দুটি স্পেশাল ইকোনমিক জোনসহ ব্যাপক বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা ঠেকাতেই চট্টগ্রামে জঙ্গীরা তাদের ঘাঁটি বাড়িয়েছে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পেশাজীবী নেতা অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী মনে করেন, পাহাড় ও সমুদ্র লাগোয়া সীতাকুন্ড ও মীরসরাইকেই জঙ্গিরা তাদের নির্বিঘ্ন ঘাঁটি মনে করছে। এর পেছনে আরেকটি কারণ হলো ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংযুক্তি। এ দুটো উপজেলার ওপর দিয়ে এ মহাসড়ক দেশের অন্য অঞ্চলের সাথে চট্টগ্রামের সংযোগের পথ হওয়ায় তাদের গমনাগমন ও অভিযানের সুবিধার জন্য জঙ্গীরা নিরাপদ স্থল মনে করছে।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ বলেন, সীতাকুন্ড কেন্দ্রিক জঙ্গি তৎপরতার সাথে ২০১৩-১৪ সালের ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে নাশকতাকারীদের যোগ সূত্র থাকতে পারে। ভবিষ্যতেও রাষ্ট্র বিরোধী তৎপরতার লক্ষ্যে মহাসড়ক লাগোয়া এই অঞ্চলটিতে জঙ্গী ঘাঁটি করা হচ্ছে।

জঙ্গীদের দমাতে প্রশাসনিক শক্তির পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধেরও তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের চৌধুরী। তার মতে, তৃণমূল পর্যায় থেকে দেশপ্রেম ও মানবতার শিক্ষা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রামের মত বানিজ্যিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পন্ন অঞ্চলগুলো জঙ্গিদের টার্গেট থেকে মুক্ত হবে না।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

উপদেষ্টা মাহফুজ: সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন,“গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থেবিস্তারিত পড়ুন

বড় ব্যবধানে অ্যান্টিগা টেস্টে হারলো বাংলাদেশ

চতুর্থ দিনেই অ্যান্টিগা টেস্টের ফল কোন দিকে গড়াচ্ছে, তা নির্ধারণবিস্তারিত পড়ুন

কিশোরগঞ্জে মা-বাবা ও ২ সন্তানের মরদেহ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় একই পরিবারের চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেবিস্তারিত পড়ুন

  • চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা, ঢাবিতে গায়েবানা জানাজা
  • বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রপতি এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন?
  • পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: চিন্ময় দাসকে নিয়ে ভারতের বিবৃতিতে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে
  • রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
  • জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে ‍সুবিধা পাওয়া যাবে
  • ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
  • শাকিব: আমার ক্যারিয়ারের সব বিগ হিট সিনেমা ঈদ ছাড়াই এসেছে
  • এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চান ৬১.১% মানুষ, সংস্কার শেষে ৬৫.৯%
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের সংঘর্ষ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ১০ মৃত্যু
  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার পরামর্শ কমিশনের
  • দেশের সংকটে যে সমাধান দেখছেন তারেক রহমান