যে কারণে ফেঁসে যেতে পারেন আরাফাত সানিকে স্বামী দাবি করা সেই স্ত্রী নাসরিন
দিন যতই যাচ্ছে জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানি ও নাসরিন সুলতানার বিয়ের ধূম্রজাল ততই বাড়ছে।তবে মামলায় সানির স্ত্রী দাবিদার নাসরিন যে কারণে ফেঁসে যেতে পারেন ।
সানিকে নিজের স্ত্রী দাবি করে নাসরিন সুলতানা নামের তুরুণী যে কাবিননামা দেখিয়ে ছিলেন , তা ভুয়া। ওই কাবিননামায় মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) অফিসের যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে, সেখানে গিয়ে কোনো কাজি অফিস পাওয়া যায়নি। ওই ঠিকানায় গিয়ে পাওয়া গেছে একটি মাংসের দোকান। সাইনবোর্ডে লেখা, ‘ভাই ভাই গোস্তের দোকান’। আশপাশের ভবনেও কোনো কাজি অফিস নেই।
২০/সি ঠিকানায় ‘ভাই ভাই গোস্তের দোকান’-এর মালিক মো. আবদুল জলিল বলেন, তিন বছর আগে থেকে তিনি মাংস বিক্রির ব্যবসা করছেন। ২০১৩ সালের শেষ দিক তাঁর এই ব্যবসা শুরু।
আর ওই তরুণী সেই কাবিননামায় সানির সঙ্গে বিয়ের তারিখ উল্লেখ করেছেন ৪ ডিসেম্বর, ২০১৪।মাংস বিক্রেতা জলিল বলেন, এই ঠিকানায় কখনো কোনো দিন কাজি অফিস ছিল না।
কিন্তু মাংসের দোকানের একটু দূরে ২০/১ নম্বর বাসায় একটি কাজি অফিস আছে। এখানকার কাজি হাফেজ মো. ছলিম উল্লাহ খান এই এলাকার একমাত্র কাজি।
মো. ছলিম উল্লাহ খানের সহকারী মো. বশির উদ্দিন জানান, ওই এলাকায় তাঁদের আরেকটি শাখা রয়েছে, ৭৬ মেরাদিয়া, খিলগাঁও ঠিকানায়।
ওই তরুণীর বিয়ের কাবিননামা দেখালে বশির উদ্দিন বলেন, ‘যে কাজির নাম ব্যবহার করা আছে, তা ভুয়া। এটি কেউ ইচ্ছা করে বানিয়েছে। এ রকম কাবিননামা ইচ্ছে করলেই অনেকে বানাতে পারেন। আমাদের যে কাজি সাহেব রয়েছেন, তিনি কোনো দিন এমন দুই নম্বর কাজ করেন না।’
মো. আনোয়ার হোসেন নামের কোনো কাজিকে চেনেন কি না জানতে চাইলে বশির উদ্দিন জানান, খিলগাঁওয়ের ৬৫ উত্তর গোড়ান এলাকায় আনোয়ার হোসেন নামের একজন কাজি রয়েছেন।
৬৫ উত্তর গোড়ান, খিলগাঁওয়ে গিয়ে একটি কাজি অফিস আছে। ওই অফিসের কাজি আনোয়ার হোসেন (বকুল)বলেন, ‘আরাফাত সানি নামের কেউ আমার কাজি অফিসে এসে বিয়ে করেননি। আর কাবিননামায় যে ভলিউম ও পৃষ্ঠা নম্বর রয়েছে, তার কোনোটিই সঠিক নয়। কারণ, আমার কাছে যে বই রয়েছে, তাতে এমন কোনো কিছু নেই। আর কাবিননামায় যে সিল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে তা-ও আমার নয়।’ প্রমাণস্বরূপ আনোয়ার হোসেন নিজের সিল ও স্বাক্ষর করে দেখিয়ে দেন।
এই কাজির অফিসের সামনে যে সাইনবোর্ড রয়েছে তাতেও ওই তরুণীর করা কাবিননামার সঙ্গে কোনো মিল নেই।
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘এমন কাজ অনেক মানুষ করে থাকে। তবে আমার মনে হয় উকিলরা কোর্টে যে ম্যারেজ সার্টিফিকেট তৈরি করে, তারাই এই রকম ভুয়া কাবিননামা তৈরি করতে পারে। এখন আমার মতে, যে ছেলের নামের এই ভুয়া কাবিননামা তৈরি করেছে, তিনি চাইলে মামলা করতে পারেন। তখন বোঝা যাবে যে আসলে কারা টাকার বিনিময়ে এই সব কাজ করে থাকেন।’
এছাড়াও এ ছাড়া কথিত সেই কাবিননামায় আরাফাত সানির বয়স লেখা হয়েছে ২৮ বছর। কিন্তু বিসিবিতে প্রদত্ত তার তথ্যে জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৮৬। সে হিসাবে ৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে তার প্রকৃত বয়স ছিল ২৯ বছর দুই মাসের কিছু বেশি। এর আগে একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইতি দাবি করেন, রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে সানির বন্ধু-বান্ধবদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে কোন এলাকার, কোন রেস্টুরেন্টে বিয়ে হয় তা তিনি উল্লেখ করেননি।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি নাসরিন সুলতানা ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় গত রবিবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।-সৌজন্যঃ সময় টিভি
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন