বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

যে কারণে বাসর রাতে নতুন বউ স্বামীকে আনারস খাওয়ান না, জানলে লজ্জা পাবেন আপনিও

বাসর রাত যে কোনো দম্পতির কাছেই সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তগুলোর একটি। এই বাসর রাতকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে প্রচলিত রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রীতি। ভারতীয় উপমহাদেশের নানা জায়গায় ফুলশয্যার রাতে বরের দুধ খাওয়ার রীতি রয়েছে। বাসর রাতের জন্য নির্দিষ্ট ঘরে রাখা থাকে কেশর ও পেস্তা কিংবা হলুদ মেশানো দুধের গ্লাস।

সাধারণত নববধূ নিজের হাতেই স্বামীকে খাইয়ে দেন সেই দুধ। কিন্তু এই রীতির ব্যাখ্যা কী? কেন সদ্য বিয়ে করা পুরুষকে দুধ খান ফুলশয্যার রাতে? কেন নববধূও খান না দুধ?

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ফুলশয্যায় দুধ পানের রীতি অতি প্রাচীন। আসলে প্রাচীন যুগ থেকেই ভারতীয় কৃষি ও অর্থব্যবস্থায় এবং দৈনন্দিন জীবনে গোদুগ্ধের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সেই কারণে গরুর দুধকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। অনেক সামাজিক অনুষ্ঠানেই তাই গরুর দুধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়।

কোনো রকমের অভিষেক অনুষ্ঠানে (যেমন শ্বশুরবাড়িতে নববধূর প্রথম পদার্পণ) ব্রাহ্ম মুহূর্তে উনুনে বসানো দুধ উথলে উঠলে তা শুভ লক্ষণ বলে মনে করা হয়। আলতা মেশানো দুধের থালায় পা রেখেই শ্বশুরবাড়িতে নিজের যাত্রা শুরু করেন নতুন বউ। অন্নপ্রাশন এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানেও দুধের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

একইভাবে ফুলশয্যার রাতে নববধূর হাতে তার স্বামীর দুধ পান তাদের বিবাহিত জীবনকে সুখ ও সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ করে তুলবে বলে বিশ্বাস করা হয়।

কিন্তু বিশেষভাবে ফুলশয্যার রাতেই কেন খাওয়া হয় দুধ? কেনই বা নববধূও সেই দুধ পান করেন না? সেই সব প্রশ্নের উত্তর নিহিত রয়েছে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের ব্যাখ্যা, ফুলশয্যার রাত হলো স্বামী-স্ত্রীর প্রথম মিলনের রাত। সেই মিলনকে আরো আনন্দময় ও স্মরণীয় করে রাখতেই দুধ পান করেন বর।

প্রাচীন আয়ুর্বেদ গ্রন্থ ‘অষ্টাঙ্গ সংগ্রহে’র ‘ক্ষীর বর্গ’ নামক অধ্যায়ে বলা হচ্ছে, দুধ হলো ‘বৃশ্য’ বা কামোদ্দীপক, অর্থাৎ কামেচ্ছা ও কামশক্তি বৃ্দ্ধি করতে সহায়ক। এবং এই বৃশ্য কেবল পুরুষ শরীরেই কার্যকর হয়। কারণ দুধ পুরুষ শরীরের শুক্র ধাতুকে উজ্জীবিত করে।

কিন্তু সাধারণভাবে শরীর শীতল হয় দুধের প্রভাবে। ফলে মিলনের মুহূর্তগুলো দীর্ঘস্থায়ী ও আনন্দময় হয়ে ওঠে। এই আয়ুর্বেদিক পরামর্শ মেনেই প্রাচীনকাল থেকে ফুলশয্যায় বরের দুধ খাওয়ার রীতি চলে আসছে।

এ বিষয়ে এক ডাক্তার জানান, ‘অ্যাফ্রোডিজিয়্যাক কিংবা কামশক্তি বর্ধক হিসেবে দুধের আলাদা কোনো মূল্য নেই। বাদাম, মধু, কিংবা কাঁচা ডিম নিয়মিত খেলে মানুষের যৌনশক্তি কিছুটা উন্নত হয়। কাজেই দুধের সঙ্গে যদি এই জাতীয় উপাদান মিশিয়ে দীর্ঘদিন ধরে খেয়ে যাওয়া যায় তাহলে কিছুটা সুফল মিলবে। কিন্তু মিলনের আগের মুহূর্তে বাদাম বা মধু মেশানো দুধ খেলে হাতেনাতে কোনো উপকার পাবেন না।’

photo-1437809019

আনারস খুব উপাদেয় ফল। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি। রয়েছে ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম ও ফসফরাস। আর দুধকে আমরা সুষম খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করি। তবে আনারস আর দুধ একসঙ্গে খেলে মানুষ বিষক্রিয়া হয়ে মারা যায়-এ রকম একটি ধারণা প্রচলিত আছে। বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠরা অনেক সময় ছোটদের এ খাবার একসঙ্গে খেতে নিষেধ করেন। তবে আসলেই কি এ রকম হয়? আসুন জেনে নিই আসলে কী হয় আনারস আর দুধ একসঙ্গে খেলে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়া হয়ে কেউ মারা যায় এই ধারণা ভুল। এগুলো এক ধরনের ফুড ট্যাবু বা খাদ্য কুসংস্কার।’

অধ্যাপক আবদুল্লাহ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আনারস একটি এসিডিক এবং টকজাতীয় ফল। দুধের মধ্যে যেকোনো টকজাতীয় জিনিস দিলে দুধ ছানা হয়ে যেতে পারে বা ফেটে যেতে পারে। এটা কমলা ও দুধের বেলায় বা লেবু ও দুধের বেলাতেও ঘটে। ফেটে যাওয়া দুধ খেলে খুব বেশি হলে বদ হজম, পেট ফাঁপা, পেট খারাপ– এ ধরনের সমস্যা হতে পারে, তবে বিষক্রিয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। যাদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা রয়েছে, খালি পেটে আনারস খেলে তাদের এই সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।’

একই বিষয়ে কথা হয় হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের রেজিস্ট্রার ও মেডিসিন বিভাগ ডা. শ আ মোনেমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এমন কখনো দেখিনি যে দুধ-আনারস একসঙ্গে খেয়ে মানুষ মারা গেছে। এটা একটা কুসংস্কার। আমরা তো অনেক সময় ডেজার্ট, কাস্টার্ড বা স্মুদিতে আনারস-দুধ একত্রে মিশিয়ে খাই। এগুলো খেলে তো কোনো সমস্যা হয় না।’

অ্যাপোলো হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী বলেন, ‘আনারস একটি এসিডিক খাবার। আর দুধ হলো অ্যালকালাইন বা ক্ষার। দুধ যদি পাস্তুরিত না হয়, তবে কাঁচা দুধ ও আনারসের সমন্বয়ে শরীরে বিক্রিয়া হতে পারে। দুধের সঙ্গে আনারসের সঠিক সমন্বয় না হলে শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য খাবারের বেলাতেও একই বিষয় হতে পারে।’

তামান্ন চৌধুরী আরো যোগ করেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময়ই পাইনা অ্যাপেল কাস্টার্ড, ডেজার্ট, পাইন অ্যাপেল স্মুদি, পাইন অ্যাপেল মিল্ক সেক, পাইন অ্যাপেল সালাদ, পাইন অ্যাপেল ইয়োগার্ট ইত্যাদি খাই। এতে সমস্যা হয় না। কারণ এগুলোর মধ্যে খাদ্যের সঠিক সমন্বয় থাকে এবং নিয়মমাফিক বা সঠিক নিয়মে বানানো হয়। আর হয়তো এক গ্লাস দুধ খেলেন, পাশাপাশি আনারস খেয়ে নিলেন তাহলে সঠিক খাদ্যের সমন্বয় হয় না। এ ক্ষেত্রে সঠিক সমন্বয় না হওয়ার ফলে পাতলা পায়খানা, বদ হজম, এসিডিটি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তবে বিষক্রিয়া হয়ে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা নেই।’

তবে ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘আনারস আর দুধ বিরতি দিয়ে খাওয়াই ভালো। দুই থেকে তিন ঘণ্টা বিরতি দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। নয়তো অনেক সময় পেটে গিয়ে হজমের সমস্যা হতে পারে। তবে যদি সঠিক নিয়মে খাবার বানানো হয় এবং সঠিক খাদ্যের সমন্বয় থাকে তাহলে কোনো সমস্যা হবে না। দুধ ফুটিয়ে নিলে বা প্রসেস করে নিলে টক্সিটিক বিষয়টি আর থাকে না, তখন খাওয়া যেতে পারে। তাই আনারস-দুধ সঠিক নিয়মে এবং সঠিক খাদ্যের সমন্বয়ে খাওয়া যেতে পারে।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার

আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?

বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন

ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ

চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন

  • ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন
  • আমলকি কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে ওঠে
  • বাসি দই ও পান্তা ভাতের আশ্চর্যজনক উপকারিতা
  • স্বাদে ও পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি হলো লাউ
  • মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪৩ ডিগ্রিতে
  • যেসব অঞ্চলে টানা ৩ দিন ঝড়বৃষ্টি
  • ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
  • গরমে চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে?
  • একলাফে সোনার দাম ভ‌রিতে কমলো ৩১৩৮ টাকা
  • কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়