যে মন্তব্য গুলো আপনার চাকরি জীবন শেষ করে দিতে পারে!
অনেক লোক নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারে, তাদের ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যায় কেবলমাত্র নিজের কিছু উল্টাপাল্টা কথাবার্তার জন্য। শুধু মুখের কথা নয় ইমেইল, এসএমএস, ফোনে এরা এমন সব কথা বলে বা লেখে যার কারণে এদের চাকরিই চলে যায়। এসব কথাবার্তা কেন জানি শেষ পর্যন্ত খুব খারাপ কিছুতে শেষ হয়।
২০১১ সালে, এইচ পি(hp) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট স্কট ম্যাকক্যালান তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক অ্যাকাউন্ট থেকে তাদের ক্লাউড কম্পিউটিং বিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করেন। যার কারণে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান গুলো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যায়। ২৫ বছর এইচপিতে চাকরি করা স্কট এখন রেড হ্যাট কোম্পানিতে কাজ করেন।
তথ্য পাচারের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কেলেংকারিতে জড়িত ছিলেন, ম্যাক কিনসি-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজ গুপ্ত, এএমডি-এর সিইও হেক্টর রুইজ আর আইবিএম-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট বব মফাট। তারা গ্যালিয়ন গ্রুপের ম্যানেজার রাজ রাজারত্নের কাছে তথ্য পাচার করেন। এর শেষটা কারো জন্যই ভালো হয়নি।
আসলে, অফিসের ব্যাপারে আপনাকে খুব সাবধানে কথা বলতে হবে, নাহলে প্রতারণা থেকে শুরু করে যৌন হয়রানির মামলায় ফেঁসে যেতে পারেন। আর আজকালকার দিনে, আপনি যাই বলেন না কেন কেউ না কেউ আপনার কথায় অসন্তুষ্ট হবেই।
তবুও, আপনার যদি নিজের কাজ পছন্দ হয়, আর রাতারাতি বেকার হওয়ার ইচ্ছা না থাকে তবে এই নয়টি কথা আপনি কখনই বলতে পারবেন না। বলেছেন তো, মরেছেন।
“আমার আসলে আপনাকে এটা বলা উচিত হচ্ছে না, কিন্তু…” এই কথা শুনলেই মনে হয় অবৈধ কিছু আপনি জানেন। যদি আপনার বলা উচিত না হয়, তবে বলবেন না।
“আপনি আসলেই মনে করেন আমরা তার বুদ্ধিজাত সম্পদের অপব্যবহার করছি?” নিজের উকিলের সামনে ছাড়া এই ধরণের কথা বলার চিন্তাও করবেন না কখনও।
“বস একটা অমানুষ।” জোর দিয়ে একথা কখনই বলবেন না। এরপর দেখবেন সবাই বলাবলি করছে, “আপনি বিশ্বাসই করবেন কে বসকে গালি দিয়েছে…”
“আপনার ওজন কিছু কমেছে নাকি?” এর অর্থ দাঁড়ায় তিনি আগে মোটা ছিলেন। মেয়েদের বেলায় খুব সাবধান। ওজন কমাটা প্রশংসা হলেও আগে মোটা ছিল এই ব্যাপারটা অনেকেই মেনে নিতে পারে না।
“বেতন কত বাড়লো?” যদি আপনার চেয়ে কম হয় তাহলে আপনার খারাপ লাগবে। আর কম হলে আপনার সহকর্মী মন খারাপ করবে। টাকা নিয়ে কোন কথা না বলাই ভালো।
“লোকটাকে কেমন ঠকালাম??” কাস্টমারের ব্যাপারে এইধরণের কথার মানে দাঁড়ায় হয় আপনি অবৈধ কিছু করেছেন অথবা খারাপ কিছু। কাউকে সাক্ষী রেখে নিজের দোষ বলবেন না।
“কাকে ভোট দিলেন?” রাজনীতি নিয়ে কখনই কথা বলবেন না।
“আপনি কোন ধর্মের?” ধর্ম নিয়ে কথা বলার অধিকার আপনার নেই, তাই বলবেন না।
“আপনি বিশ্বাসই করবেন না আমি কাকে আজকে সকালে জনের হোটেল রুম থেকে বের হতে দেখেছি গতকালের পোষাকে।” অযথা এবং অপ্রাসঙ্গিক কথা বলবেন না। আপনার কথা যদি জন অস্বীকার করে তবে আপনারই দোষ হবে।
নিচের পাঁচটি নিয়ম মেনে চলুন কথা বলার সময়। তাহলে আগে আগে চাকরি হারাতে হবে না।
১। ভাববেন না যে, আপনি জোর দিয়ে একটা কথা বললে সেটা সেরকমই থাকবে।
২। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংযত থাকুন।
৩। বসের মুখের উপর তার সমালোচনা করবেন না।
৪। নিজের কোম্পানি, পণ্য বা কাস্টমারকে নিয়ে মজা করবেন না, অন্তত বাইরের কারও সামনে নয়।
৫। কোন কথা যদি দুনিয়ার সবাইকে জানাতে না চান, তবে বলবেন না। আর লেখার তো প্রশ্নই আসে না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন