যে ১০টি কারণে ভারতকে ‘ভয়ঙ্কর’ ভয় পাচ্ছে পাকিস্তান, দেখে নিন সেই তালিকা
উরিতে হামলার পরেই পাকিস্তান বুঝে গিয়েছিল এবার আক্রমণটা আসবে। কিন্তু এমনভাবে ভারত জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়ে আসবে ভাবতে পারেনি। এর পরে সার্ক সম্মেলন বাতিল করে পাকিস্তান যে কোণঠাসা তা বুঝিয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদ। ভারতকে আক্রমণ না করেও মুখ পুড়েছে শরিফদের। আর আক্রমণ করার কথা ভাবতে গেলেই ১০টি বড় ভয় তাড়া করছে পাকিস্তানকে।
১। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। ভারত-সহ অন্যান্য দেশ পাকিস্তান থেকে আমদানি বন্ধ করে দিলে টিকে থাকাই মুশকিল হবে। রাসায়নিক দ্রব্য থেকে বস্ত্র কিংবা শুকনো ফল সব রফতানিই বন্ধ হয়ে গিয়ে চরম সঙ্কটে পড়বে পাকিস্তান। বিভিন্ন উন্নত দেশ এবং ভারত বাণিজ্য বন্ধ করলে আমদানি ধাক্কা খেলেও সঙ্কট দেখা দেবে।
২। পাকিস্তানের জনসংখ্যা ১৮ কোটির মতো। সেখানে ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ১৩০ কোটি। বাজার হিসেবে তাই পাকিস্তানের তুলনায় অনেক বড় ভারত। বিশ্বের সব উন্নত দেশের কাছেই ভারত বড় বাজার। সে বাজারকে কেউই হাতছাড়া করতে চাইবে না। এটাই স্বাভাবিক। সেটা পাকিস্তান খুব ভাল বোঝে।
৩। পাকিস্তান চিনকে বড় বন্ধু মনে করলেও এটা জানে যে, নিজের টিকে থাকার চেয়ে ইসলামাবাদকে সঙ্গে দেওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয় বেজিং-এর কাছে। কারণ, চিনের কাছে অনেক বড় এবং অনেক লোভানীয় বাজার ভারত।
৪। বিশ্বে ৫০টির বেশি ইসলামি রাষ্ট্র রয়েছ। ধর্মের জিগিড় তুলেও তাদের যে পাশে পাওয়া যাবে না তা জানে পাকিস্তান। সবথেকে বড় ইসলামি রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া এখনও পর্যন্ত কখনও কোনও সমর্থনের কথা জানায়নি। কাছের বাংলাদেশের সমর্থন মেলার তো প্রশ্নই নেই।
৫। মুসলমান ধর্মালম্বী মানুষের সংখ্যায় পাকিস্তানের থেকেও এগিয়ে ভারত। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১ শাতাংশ মুসলিম ধর্মালম্বী। সুতরাং সেটাও ধর্মের জিগিড় তুলে ভারতকে আক্রমণ করার ক্ষেত্রে বড় বাধা।
৬। সামরিক শক্তির দিক থেকে ভারতের থেকে অনেক অনেক পিছিয়ে পাকিস্তান। শুধু পারমাণবিক অস্ত্র নয় অন্যান্য অস্ত্রের ক্ষেত্রেও পাকিস্তান অনেক পিছনে। ভারতের সেনা বাহিনীও পাকিস্তানের থেকে সংখ্যায় ও গুণমানে এগিয়ে।
৭। উরিকাণ্ডের পরে পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র’ তকম দেওয়ার দাবি উঠেছে মার্কিন সেনেটে। তার আগে থেকেও সন্ত্রাসে মদতদাতা হিসেবে পাকিস্তানের পরিচিতি রয়েছে। এখন সেটা আরও প্রকট। যুদ্ধের জিগিড় তুললে সেই পরিচিতি আরও চেপে বসবে।
৮। অতীতে একাধিকবার ভারতকে আক্রমণ করে পর্যুদস্ত হয়েছে পাকিস্তান। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না এটা নওয়াজ শরিফ জানেন। পাক মন্ত্রীরা মুখে যতই হুমকি দিন না কেন সেই সত্যকে অস্বীকার করতে পারবেন না কেউ।
৯। পাকিস্তানের উন্নয়নের জন্য একটা বড় অংশের টাকা বিদেশ থেকে অনুদান হিসেবে আসে। এছাড়াও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ঋণের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। বিদেশি অনুদানের টাকা দিয়ে জঙ্গিদের আর্থিক মদত ও অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এখন বিদেশি অনুদাম কমবে এটা নিশ্চিত। কিন্তু এর পরে সেটা একেবারে বন্ধ হয়েও যেতে পারে। সেটা পাক সরকারের একটা বড় চিন্তা।
১০। সবশেষে ভারতের ভাবমূর্তি। এখানে সর্বশেষ পয়েন্ট হলেও এটি আসলে সবথেকে বড় চিন্তা পাকিস্তানের। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতের নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেব সুনাম বিশ্বব্যাপী। কোনও দিনও কোনও দেশের ভূখণ্ড দখল করে রাখা বা দখল করার চেষ্টার অভিযোগটুকুও নেই। ফলে ভারতকে আক্রমণ করা মানে গোটা পৃথিবীর কাছে নতুন করে পাকিস্তানের গায়ে ‘সন্ত্রাসবাদী’ লেবেল পড়বে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন