সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

যে ৫টি কারণে ‘নাম শাবানা’ আপনার দেখা উচিত!

সময়ের গোপনে কিছু দাবি জমে ওঠে। সমসাময়িক শিল্প সচেতন বা অবচেতনেই হয়ে ওঠে তার মুখপত্র। নীরজ পাণ্ডের ‘নাম শাবানা’ যেন হয়ে উঠেছে সময় আর সময়ের দাবির সেই অলিখিত চুক্তিপত্র। নীরজ পাণ্ডের ‘বেবি’ ছবিটি প্রায় সকলেই দেখেছেন।

ভারতীয় এজেন্টদের দেশরক্ষার কাজ যেভাবে টানটান উত্তেজনায় উঠে এসেছিল পর্দায়, সিনেম্যাটিক সে ট্রিটমেন্ট মন্ত্রমুগ্ধ করেছিল দর্শকদের। সে ছবিতেই এজেন্ট হিসেবে দেখা গিয়েছিল শাবানাকে (তাপসি পান্নু)। কিন্তু কেন এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রোজেক্টে বেছে নেওয়া হয়েছিল আনকোরা একটি মেয়েকে?

সেখানে যে সাহস দেখিয়েছিল সে, তাও তো চাট্টিখানি কথা নয়। সুতরাং অনুমান করা যায়, এজেন্টদের কাজে মেয়েটি একদা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল, যে কারণে তাকে বাছা হয়েছে। সেই আগের গল্পটিই ‘নাম শাবানা’ গল্পের বিষয়। শাবানার এজেন্ট হয়ে ওঠার কাহিনিই এ ছবিতে। চিত্রনাট্যকার-পরিচালক সুকৌশলেই সেখানে মিশিয়ে দিয়েছেন বহু সমসায়িক প্রসঙ্গ।

১) স্পিন-অফ গোত্রের সিনেমা বলিউডে অন্তত সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি। সেই হিসেবে এক নয়া অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে পারবেন দর্শক। ধরা যাক, কোনও একটি নাটক, সিনেমা বা প্রোগ্রাম ইতিমধ্যেই আছে। তার মধ্যে থেকেই কোনও এক চরিত্রের পূর্ববতী জীবন ফুটিয়ে তোলাই স্পিন-অফ ঘরানা। ‘নাম শাবানা’ সে গোত্রেরই ছবি। একে অবশ্য ‘বেবি’ ছবির প্রিক্যুয়েল বলা যায় না। কেননা ‘বেবি’ প্রোজেক্টিটি কেন নেওয়া হয়েছিল তার ইতিবৃত্ত এ ছবি নয়। এ ছবি জানাচ্ছে শাবানাকে কেন বেবি প্রোজেক্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, সে বিষয়টি।

২) এ ছবির অন্যতম সম্পদ তাপসি পন্নুর অভিনয়। এক সাধারণ মেয়ের অসাধারণ হয়ে ওঠার বহু গল্প অতীতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু সমসময়ের দাবি মেনে এক তরুণী যেভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, প্রতিবাদ করেছে, সাহসী হয়েছে এবং সর্বোপরি দেশের কাজে নিজেকে মেলে ধরেছে, তা নমুনাস্বরূপ। হয়তো এই সময় এই আধুনিকতার আলোতেই দেখতে চায় এক তরুণীকে।

ভারতে নারীশক্তি তুলনা টানতে প্রায়শই সিনেমায় উঠে আসে দেবী দুর্গার অনুষঙ্গ। এখানে সেই চেনা অনুষঙ্গ কোথাও নেই। কিন্তু দর্শকের বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না, আধুনিক সময় দেবী দুর্গাকে ঠিক কী রূপে প্রত্যাশা করে। সে চরিত্রে প্রাণ ঢেলে অভিনয় করেছেন তাপসি পন্নু। মার্শাল আর্ট আয়ত্ত করা থেকে জীবনের নানা অনুভূতিতে যেভাবে তিনি নিজেকে মেলে ধরেছেন, তাতে এ চরিত্র বহুদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

৩) এ ছবিতে উঠে এসেছে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের প্রসঙ্গ। কোথাও আলাদা করে দাগিয়ে দেওয়া নেই। এসেছে কাহিনি নির্মাণের খাতিরেই। কিন্তু শুধু ভায়োলেন্স নয়, সে আগুনে পুড়েও নারী কীভাবে রুখে দাঁড়াতে পারে, তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ শাবানা। ইভ টিজিং থেকে পাশবিক নির্যাতনের মতো যে বিষয়গুলি খবরের শিরোনাম হয়ে ওঠে, যে খবরগুলি প্রতিনিয়ত আমাদের বিব্রত করে, এ ছবিতে এসেছে সে প্রসঙ্গও। তা হয়তো ছবির চরিত্রদের জ্বালিয়েছে, পুড়িয়েছে ছারখার করে দিয়েছে। কিন্তু বিনিময়ে যে উত্তরণে পৌঁছেছে চরিত্ররা তাই হয়তো বর্তমান সমাজের কাম্য।

৪) উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট এখনকার বহু কাজেরই অবশ্যম্ভাবী বিষয় হয়ে উঠেছে। এ ছবিতেও তার ব্যবহার হয়েছে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে। আসলে বহুল চর্চিত হলেও কখনও কখনও পুরো বিষয়টিই দেখার তারতম্যে ভুলভাবে উঠে আসে। সাহসী হওয়া, বোল্ড পদক্ষেপ কখনও নেহাতই স্টান্ট বা আক্ষরিকভাবে কিছু পোশাকি বিপ্লবের গণ্ডিতে মাথা কোটে। এ ছবি সন্তর্পণে সে চেনা ফাঁদ কেটে বেরিয়ে এসেছে। এসে দেখিয়েছে এমপাওয়ারড উইমেন বলতে ঠিক কী বোঝায়। সিনেমা সময়ের ফ্যাশনকে, যাপনকে প্রভাবিত করে। এ ছবির পর যদি কোনও মা-বাবা কন্যাসন্তানটিকে শাবানার মতো করে গড়ে তুলতে চান, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

৫) একরৈখিক ধর্মীয় মতবাদ এ সময়ে যে কোনও কারণেই হোক মাথাচাড়া দিয়েছে। শুধু দেশ কেন দেশের সীমানা পেরলেও সে ছবি স্পষ্ট। এ ছবি যেন নিরুচ্চারেই সেই গোঁড়ামির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। নাম শাবানা খান। দেশের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা রক্ষার কাজে সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষত যে কোন অনায়াসে বদলে ফেলেছে দেশরক্ষার জিদে। ফলত তার হাত থেকে বেরনো বুলেট যখন শত্রুর বুকে বিঁধে যায়, তখন কোথাও বলে দেওয়া না থাকলেও মনে পড়তে বাধ্য, সবার উপরে মানুষ সত্য।

মনে পড়ে যায় নিহত জঙ্গি সাইফুল্লাহর বাবার মুখটি। যিনি দেশদ্রোহী ছেলের লাশটিও নিতে স্বীকার করেননি। শাবানা তার প্রেম থেকে প্রতিজ্ঞায় প্রতি পদে দেখিয়ে দিয়েছে ধর্মের মর্মকথাটুকু। তা এ কারণেই শিল্পিত যে, তা কখনওই ছবিটির অ্যাজেন্ডা হয়ে ওঠেনি। সংশ্লেষ, বহুত্ববাদের বহু চর্চিত শব্দরাশিকে পিছনে ফেলে নির্জলা আবেগ কোথাও আমাদের গ্রাস করে। সেখানেই হয়তো চিত্রনাট্যকার-পরিচালকের সার্থকতা।

আর মনোজ বাজপেয়ী বা অক্ষয় কুমার, অনুপম খেরদের মতো তুখোড় অভিনেতারা ছবিকে যেভাবে গতি দিয়েছেন তাও উল্লেখ্য। দেশের নিরাপত্তা রক্ষীদের যে রূপ আমরা দেখতে অভ্যস্ত, তার বাইরেও যে বিপুল কর্মকাণ্ড, অসংখ্য মানুষের আত্মবলিদান, তা আমাদের আন্দোলিত করবে। হয়তো অনেকের ধারণাতেই শহিদ শব্দের মাত্রা বদলাবে ‘নাম শাবানা’।

ছবিটি পরিচালনা করেছেন শিবম নায়ার। কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ লিখেছেন নীরজ পান্ডে। অভিনয়ে অক্ষয় কুমার, তপসি পান্নু, মনোজ বাজপেয়ী, অনুপম খের প্রমুখ।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা

শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন

শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে

আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন

আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?

গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন

  • বাবা দিবসে কাজলের মেয়ে শৈশবের ছবি পোস্ট করলেন
  • চলে গেলেন অভিনেত্রী সীমানা
  • শাকিবের সঙ্গে আমার বিয়ের সম্ভাবনা থাকতেই পারে: মিষ্টি জান্নাত
  • এবার পরিবারের পছন্দে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন শাকিব খান
  • বুবলী আগে থেকেই বিবাহিত, সেখানে একটি মেয়েও আছে: সুরুজ বাঙালি
  • এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা
  • অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন
  • এক রোমাঞ্চকর অসমাপ্ত ভ্রমণ গল্প
  • পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন
  • শাকিব ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষের জায়গা নেই: বুবলী
  • সিনেমা মুক্তি দিতে হল না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নায়ক
  • বিশাখাপত্তনমে কয়েকদিন