যে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা রসুনে
হাজার হাজার বছর ধরে রসুন শুধুমাত্র রন্ধন সম্পর্কিত মশলাই নয়, অনেক ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা এর সাথে জড়িত। চলুন জেনে নেই রসুনের উপকারিতা:
১/ ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধ
নিয়মিত ভাবে রসুন খাওয়ার ফলে তা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ঈস্ট, ফাঙ্গাল ও কৃমির আক্রমণ প্রতিরোধ করে। তাজা রসুন ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া যেমন ই-কোলাই, স্যামোনেলা অ্যানটেরাইটিডিস ইত্যাদি বিনাশের মাধ্যমে খাদ্যে বিষক্রিয়া প্রতিকার ও প্রতিরোধ করে বলে মনে করা হয়। এইসবই সম্ভব কেবলমাত্র রসুনে থাকা প্রাকৃতিক পদার্থের উপস্থিতির কারণে।
২/ ত্বকের প্রদাহ ও চুলকানি প্রতিরোধ
রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ভাইরাল গুনাগুণের জন্য ত্বকের প্রদাহজনিত যেকোনো চিকিৎসায় এটি অত্যন্ত উপকারী। Anjoene নামক একটি রাসায়নিক পদার্থ রসুনে থাকার ফলে তা ত্বকের রিংওয়ার্ম এবং অ্যাথলেট ফুট জাতীয় ফাঙ্গাল ইনফেকশন ভালো করে। এজন্য তাজা রসুন ছেঁচে নিয়ে দিনে একবার বা দুইবার আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৩/ রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধ করে
রসুনে থাকা Anjoene নামক রাসায়নিক পদার্থটি দেহের রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধও করে থাকে। তাই যারা বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগে এবং অন্যান্য রক্ত জমাট বাধা প্রবণ রোগে ভোগেন তাদের জন্য খুবই ভালো। তবে রসুনের এই বৈশিষ্ট্যের জন্য অনেক সময় অপারেশনের পরে রক্তপাত বেশি হয়।
৪/ ঔষধি গুনাগুণ
রসুনে রয়েছে Allicin নামক একটি যৌগ যার রয়েছে শক্তিশালী বিভিন্ন ঔষধি বৈশিষ্ট্য এবং এটি রসুনের ঝাঁঝালো গন্ধের জন্যও দায়ী। Allicin আমাদের পরিপাক নালীর মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এবং এর গুরুত্বপূর্ণ জৈব গুনাগুণ প্রকাশ করে যেমন আমাদের দেহের রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
৫/ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
রসুনে থাকা Allicin রক্তের এনজিওটেনসিন ২ (এমন একটি প্রোটিন যা দেহের রক্তচাপ উঠানামার জন্য জন্য দায়ী) এর ক্ষতিকর ক্রিয়াতে বাধা দেয় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া রসুনের পলিসালফাইড রক্তের ধমনীকে প্রসারিত করে যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হয়। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে প্রতিদিনের খাবার রসুন রাখতে হবে। এছাড়া নিয়মিতভাবে যদি খালি পেতে রসুন খাওয়া যায় তাহলে সেটাও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এটা খুবই উপকারী যদিও এভাবে খাওয়াটা এতটা মুখরোচক নয়।
৬/ অ্যালার্জি প্রতিরোধ
রসুনের মাঝে থাকা কিছু যৌগ যেমন diallyl sulphide ও thiacremonone এর কারণে রসুনের রয়েছে অ্যান্টিআর্থ্রাইটিক গুনাগুণ। এই যৌগগুলোর কারণে রসুন অ্যালার্জি জনিত শ্বাসনালীর প্রদাহ নিরাময় করতে সহায়তা করে। কাঁচা রসুনের রস ব্যবহারের ফলে পোকার কামড় বা র্যাশের কারণে যে চুলকানির সৃষ্টি হয় সেটা কমিয়ে দেয়।
৭/ ক্যান্সার প্রতিরোধ
রসুনে diallyl sulphide এর উপস্থিতির কারণে এর রয়েছে অ্যান্টিক্যান্সার গুনাগুণ। বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা যায় যে এই diallyl sulphide ক্যান্সার সেলকে রূপান্তরে বাধা দেয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন