যৌতুকের জন্য কোনো নারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে মৃত্যুদণ্ড
যৌতুকের জন্য কোনো নারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে দায়ী ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ হবে। মারধর করে জখমের জন্য ধরন অনুযায়ী শাস্তি পেতে হবে।
এমন কিছু বিধান যুক্ত করে ‘যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৭’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ১৯৮০ সালে করা বিদ্যমান যৌতুক নিরোধ আইনে যৌতুক দাবি ও লেনদেনের জন্য শাস্তির বিধান থাকলেও যৌতুক চেয়ে নির্যাতন বা আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য শাস্তির কথা বলা নেই। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের করা এক হিসাবে দেখা গেছে, গত বছর যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩৬২ জন নারী। তাঁদের মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ১৭৩ জনকে।
প্রায় দুই বছর ধরে আলোচনা করে তৈরি আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র বলছে, খসড়াটি অনুমোদনের জন্য আজ সোমবার অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠতে পারে।
জানতে চাইলে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল কর্মসূচির প্রকল্প পরিচালক আবুল হোসেন গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, এখন অপরাধের ধরন পাল্টেছে। যেমন সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে এমন কিছু করা হয়, যাতে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এগুলোর প্রত্যক্ষ প্রমাণও থাকে। এ জন্য অপরাধের ধরনের কথা চিন্তা করে প্রস্তাবিত আইনে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, যৌতুকের কারণে আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে। আর মারাত্মক জখমের জন্য যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ১২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং এই দণ্ডের অতিরিক্ত অর্থ দণ্ডও দেওয়া হবে। তবে অঙ্গহানি করার জন্য যাবজ্জীবন বা অন্যূন ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং ক্ষতিগ্রস্তের ক্ষতি বিবেচনায় অর্থদণ্ডসহ আমৃত্যু ভরণপোষণ করতে হবে। আর সাধারণ জখমের জন্য অনধিক তিন বছরের কিন্তু কমপক্ষে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ওই দণ্ডের অতিরিক্ত অর্থদণ্ডও দেওয়া হবে।
যৌতুক দেওয়া ও নেওয়ার জন্য জন্য আগের মতোই সর্বাধিক পাঁচ বছর এবং এক বছরের কম নয় এমন দণ্ড, জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তবে নতুন আইনে জরিমানার পরিমাণ নির্দিষ্ট করে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
এদিকে জামালপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেত্রকোনায় শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়াও আজ মন্ত্রিসভায় উঠতে পারে। আইনগুলো হলে দেশে আরও দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন