যৌথ প্রযোজনার ছবি নিয়ে যা বললেন মিজু আহম্মেদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা মিজু আহম্মেদ। বর্তমানে অবশ্য চলচ্চিত্রে তাঁকে কমই দেখা যায়। নব্বইয়ের দশকে খলনায়কের অভিনয় করে তিনি বেশ প্রশংসা কুড়িয়ে ছিলেন। সম্প্রতি অনলাইনের সঙ্গে তাঁর কথা হয় যৌথ প্রযোজনার ছবি নিয়ে। তিনি মনে করেন, যৌথ প্রযোজনার কথা বলে আসলে একধরনের প্রতারণা চলছে। আর এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত চলচ্চিত্র সংগঠনের নেতারাই।
মিজু আহম্মেদ অভিযোগের সুরে বলেন, ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে ধ্বংস করছে যৌথ প্রযোজনা। তারা বাংলাদেশের মৌলিকত্ব নষ্ট করছে, আমাদের কৃষ্টিকালচার ধ্বংস করে নিচ্ছে। আমাদের কলাকুশলী শেষ হয়ে যাচ্ছে। কলকাতার চলচ্চিত্র বাংলাদেশের বাজার দখলের জন্য আমাদের প্রযোজকদের হাতে নিয়ে, আমাদের সিনেমা হলে তাদের শিল্পীদের আধিপত্য বাড়াচ্ছে। আসলে এখনই রুখে না দাঁড়ালে আমাদের চলচ্চিত্র বলে আর কিছু থাকবে না।’
বাংলাদেশের শিল্পীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মিজু। তিনি বলেন, ‘আমি যখন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ছিলাম, তখনো যৌথ প্রযোজনার নিয়ম ছিল। পরিচালক, ক্যামেরাম্যান, শিল্পী, অন্যান্য কলাকুশলী দুই দেশ থেকে অর্ধেক করে নিতে হবে। কিন্তু এখন নিয়ম হচ্ছে আলোচনা করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ঠিক করবে- কোন দেশ থেকে কাকে কাকে নেবে। সেখানে আবার দুই দেশের শিল্পী সমান সংখ্যায় রাখা হয় না। এতে করে কলকাতার চলচ্চিত্র লাভবান হচ্ছে। আমাদের প্রযোজক সমিতি বলে এখন আর কিছু নেই। এই বিষয়ে পরিচালক সমিতি কী করছে আমি জানি না। আর শিল্পী সমিতির একজন শক্তিশালী নেতাকে দেখা যায় প্রায়ই সব যৌথ প্রযোজনার ছবিতে অভিনয় করছেন। যদিও কোনো গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তাঁকে নেওয়া হচ্ছে না। এতে করে বাংলাদেশের অন্য শিল্পীরা এ নিয়ে আর কোনো কথা বলছেন না বা কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। বলা যেতেই পারে- শিল্পী সমিতির নেতা হওয়ার সুযোগে যৌথ প্রযোজনার ছবিতে কাজ করছেন কেউ কেউ এবং যৌথ প্রযোজনার যেসব অনিয়ম সেগুলোকে মাফ করে দিচ্ছেন। আসলে সঠিক নেতৃত্বের অভাবে রয়েছে আমাদের চলচ্চিত্র।’
যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র থেকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আসলে কীভাবে লাভবান হতে পারে, জানতে চাইলে মিজু বলেন, ‘কলকাতার প্রত্যেক সমিতির কিছু নিয়ম আছে যে তাদের দেশে ছবি চালাতে হলে তাদের নিয়ম না মেনে করলে প্রেক্ষাগৃহে ছবি চালাতে দেবে না। তাদের একটি সংগঠনের ডাকে পুরো ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের সংগঠনগুলোর এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে হবে। যে শিল্পীরা আমাদের দেশে এসে কাজ করছেন, তাঁরা সঠিক নিয়ম মেনে আমাদের দেশে কাজ করছেন কি না, সেটাও নজরদারি করতে হবে। যে গল্প নিয়ে কাজ হচ্ছে, তা নিয়ে কাজ করলে আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে কোনো প্রভাব পড়বে কি না সেটাও চিন্তা করতে হবে। টেকনিশিয়ানদের ক্ষেত্রে আমাদের লোকদের অগ্রাধিকার দিতে হবে, যাতে আমাদের টেকনিশিয়ানরা প্রযুক্তিগত দুর্বলতা দূর করতে পারে। এই অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজেদের দেশের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে। কারণ কলকাতায় দর্শক এখন আর তাদের ছবি দেখছে না। আমাদের দেশ ষোল কোটি মানুষের দেশ। যদি ৫০ লাখ মানুষ ১০ টাকা করে দেয় তবে পাঁচ কোটি টাকা উঠে আসে। নিজেদের ভালো ছবি না হলে ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়াবে না।’
যৌথ প্রযোজনার ছবির বিপক্ষে নন মিজু, তবে তিনি চান নিয়ম মেনে যেন যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণ হয়। এতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র লাভবান হবে বলেই তাঁর বিশ্বাস।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন