যৌনতা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য!
যৌনতা নিয়ে খোলামেলা স্বীকারোক্তি। মুখে কুলুপ না এঁটে সবই বলে ফেলেছেন তাঁরা। যেন ফুলটস বলে একেকটা ওভার বাউন্ডারি!
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
গর্ভাবস্থায় শারীরিক সম্পর্কের চেয়ে বেশি প্লেজার নাকি আর কিছুতে নেই। এমনটাই মনে করেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তাঁর দাবি, গর্ভাবস্থা হল এমন এক শারীরিক অবস্থা, যা মানুষকে আরও বেশি সৃষ্টিশীল করে তোলে। প্রশ্ন ছিল, তাঁর কাছে সৃষ্টিশীলতার সংজ্ঞাটা ঠিক কী? যদিও এই ব্যাপারে আর বেশি গভীরে যাননি অ্যাঞ্জেলিনা। শুধু বলেছিলেন, গর্ভাবস্থায় শারীরিক সম্পর্ক মানুষকে আরও বেশি পরিতৃপ্তি দেয়। কারণ, সে সময় মানুষের মধ্যে একটা সৃজনশীল সত্ত্বা কাজ করে। তাই স্বাভাবিকভাবেই, তৃপ্তি যে দ্বিগুণ হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না!
রবার্ট ডাউনি
জুনিয়র আমির খান অভিনীত থ্রি ইডিয়ট্স ছবির চতুরের সেই বিখ্যাত স্পিচ্টা মনে রয়েছে? …পূর্ণ ইস্তেমাল কোই ইনসে শিখে! কে জানে থ্রি ইডিয়ট্সের সংলাপ লিখিয়েরা কোনওভাবে রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন কি না! বেশ কয়েক বছর আগের কথা। একটি টক শোয়ে গিয়ে যা একখানা মন্তব্য তিনি করেছিলেন! গেল গেল রব উঠেছিল চারিদিকে। আসলে সেদিনের আলোচনার প্রসঙ্গ ছিল যৌনজীবন। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা বলেছিলেন, একটা সময় ছিল, যখন আমি হস্তমৈথুনে আসক্ত ছিলাম। এখানেই শেষ নয়। অভিনেতা আরও বলেছিলেন, সত্যি বলতে কী… যে কর্মের জন্য শরীরের কোনও অঙ্গের সৃষ্টি, আমি তার পূর্ণ ব্যবহার করেছি। আমি পরিতৃপ্ত! জর্জ ক্লুনি তাঁর ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হননি এমন নারীর সংখ্যা বিরল। তাঁর প্রথম শরীরী মিলনের অভিজ্ঞতা কবে, তা নিয়েও মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই। কৌতূহলের অবসান করেছিলেন
জর্জ ক্লুনি
নিজেই। ২০১১ সালে। এক সাক্ষাৎকারে ক্লুনি বলেছিলেন, মাত্র ১৬ বছর বয়সে আমি কৌমার্য হারিয়েছিলাম। সেদিনই তিনি কথায় কথায় জানিয়েছিলেন, শৈশবে প্রথম অর্গাজমের অভিজ্ঞতার কথা। তখন তাঁর বয়স সবে ছয় বা সাত। অভিনেতার কথায়, আমরা মাঠে কয়েকজন মিলে খেলছিলাম। হঠাৎ বন্ধুদের চমকে দেওয়ার জন্য পাশেই ঝোলানো একটি দড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকি। আসল ব্যাপারটা হয়েছিল দড়ি বেয়ে নেমে আসার সময়। দড়িটা তখন আমার দুই পায়ে দড়িয়ে ধরে রয়েছি। আর ধীরে ধীরে নেমে আসছি। সে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা! বুঝুন অবস্থা। ক্যামেরন ডিয়াজ তাঁর রূপ-রহস্য কী? এ প্রশ্ন অনেকেরই! একবার এক সাংবাদিকের এহেন প্রশ্নে যা উত্তর দিয়েছিলেন
ক্যামেরন ডিয়াজ
তাতে সাংবাদিকের কান লাল হওয়ার জোগাড়! প্রশ্ন শোনা মাত্রই নায়িকা উত্তর দিয়েছিলেন নিয়মিত শরীরচর্চা, পরিমিত খাওয়া, প্রচুর জলপান, নিজেকে হাসিখুশি রাখা এবং প্রচুর সেক্স। মনে হয় এগুলোই আমার রূপের পিছনের রহস্য! উত্তরশুনে প্রথমে সাংবাদিক ভেবেছিলেন, তিনি ভুল শুনেছেন! তাই ভ্রম সংশোধনের জন্য ফের প্রশ্ন করলে, নায়িকা কাঁধ ঝাঁকিয়ে উত্তর দিয়েছিলেন, হ্যাঁ, সেক্স! এটা স্বাস্থ্যকর বিষয়। মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তিও। শারীরিক সম্পর্কের জন্যেই তো আমরা পৃথিবীতে এসেছি। সাংবাদিক অবশ্য তারপর অন্য প্রশ্নে যাওয়াই ঠিক মনে করেছিলেন!
জন মেয়ার
তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা জেসিকা সিম্পসনকে তিনি ড্রাগ বলে ডাকতেন। এমনটাই দাবি জন মেয়ারের। কিন্তু এহেন নামকরণের কারণ কী? গায়কের যুক্তি, জেসিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে তিনি আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর কথায়, আসক্তি এতটাই ছিল যে, আমি ওকে ড্রাগ বলে ডাকতাম! জেসিকাও পুরো ব্যাপারটা বেশ উপভোগ করত। এখানেই শেষ নয়। তাঁদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের বেশ কিছু রসিকতার কথাও একবার বলেছিলেন জন। জেসিকা নাকি এক আবেগঘন মুহূর্তে মজা করে জনকে বলেছিলেন, তিনি এবার থেকে প্রতিবার মিলনের বিনিময়ে জনের থেকে অর্থ চান। উত্তরে জন নাকি মুচকি হেসে বলেছিলেন, …যদি প্রতিবার তোমাকে পাওয়ার জন্য আমাকে ১০ হাজার ডলার দিতে হয়, তাতেও আমি রাজি! ডেনিস রিচার্ডস মাত্র কয়েকটা মুদ্রিত অক্ষর। আর তাতেই যা প্রচারের আলো তিনি পেয়েছিলেন, সম্ভবত গোটা কেরিয়ারেও তা পাননি।
ডেনিস রিচার্ডস
সালটা ২০১১। মুক্তি পেয়েছিল তাঁর আত্মজীবনী দ্য রিয়েল গার্ল নেক্সট ডোর। সেখানে ডেনিস লিখেছিলেন, তিনি নাকি বেশ কয়েকবার সমকামী শরীরী-সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তা-ও আবার এক খ্যাতনামা সেলিব্রিটির সঙ্গে। ব্যস! বই প্রকাশ পেতেই আলোচনার শিখরে। বই বিক্রি বেড়ে গেল হু-হু করে। পুরো হট কেক! তাতেও ভক্তদের প্রশ্নের শেষ নেই। অগত্যা সেই বছরই একটি মার্কিন টক শো’এ এসে স্বীকার করে নিয়েছিলেন সম্পর্কের কথা। কিন্তু কে সেই অন্য নারী? যাঁর আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন ডেনিস? শত প্রশ্নেও সে কথা স্বীকার করেননি নায়িকা। শুধু বলেছিলেন, আমাদের পরিচয় হয়েছিল এক বন্ধুর মাধ্যমে। বিষয়টা নিয়ে আমি বেশ কৌতুহলী ছিলাম। বলতে পারেন আমরা দু’জনেই কৌতুহলী ছিলাম। তাই ব্যাপারটা হয়ে গিয়েছিল! গোয়েনেথ প্যালট্রো সেক্স বিষয়টা তাঁর বড্ড প্রিয়। কিন্তু শারীরিক সম্পর্ক কখনও তাঁকে সেভাবে তৃপ্তি দিতে পারেনি। এমনটাই দাবি
গোয়েনেথ প্যালট্রোর
স্বাভাবিকভাবেই এরপর প্রশ্ন আসে, কেন? মন খোলসা করেছিলেন এক ব্রিটিশ টক শোয়ে এসে। শুকনো মুখে বলেছিলেন, শারীরিক সম্পর্কে আমি কোনওদিনই তৃপ্তি পাইনি। কারণটা হল, সেক্স পজিশন। আসলে মিলনের কোনও ধরনেই আমি সাবলীল হতে পারি না। আর এটাই হল সব সমস্যার মূলে! স্কারলেট জোহানসন পর্দার মিষ্টি নায়িকা কোন আক্কেলে যে এহেন মন্তব্য করেছিলেন, তাঁর হিসেব পাননি গুণমুগ্ধরা।
স্কারলেট জোহানসন
আবার নিন্দকের মত ছিল, পরদায় সুন্দরী নায়িকাদের কি বোল্ড হতে বাধা রয়েছে নাকি? হক কথা। এক্কেবারেই নেই! এক সাক্ষাৎকারে স্কারলেট মন্তব্য করেছিলেন, গাড়ির মধ্যে মিলনে নাকি তিনি থ্রিল খুঁজে পান। আর পুরো ব্যাপারটা যদি গাড়ির ব্যাকসিটে হয়, তাহলে তো আর কথাই নেই। সোনায় সোহাগা! কিন্তু গাড়ি কেন? উত্তরে নায়িকা শুধু মুচকি হেসে বলেছিলেন, এমনটাই আমার ভাল লাগে। দুষ্টুমির জন্য গাড়ির ব্যাকসিটটা তো ভালই। ইট্স ক্রেজি অ্যান্ড কিঙ্কি! এরপর অবধারিত প্রশ্ন, তাঁর ‘ব্যাকসিট অ্যাডভেঞ্চার-এর শরিক কারা? এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ আঁটাকেই শ্রেয় মনে করেছিলেন স্কারলেট।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন