রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

যৌন নিপীড়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে কারণে প্রত্যাহার

ভারতের উত্তর প্রদেশের ২১ বছর বয়সী আইনের ছাত্রী সাম্য গুপ্তা একটি বাসের পেছনের দিকের একটি আসনে বসে ঝিমুচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি অনুভব করলেন তার বুকের ওপর কিছু একটা।

এটা ছিল তার পেছনের আসনে বসা লোকটির হাত। ‘যে মুহূর্তে আমি বুঝলাম, আমি আসন থেকে উঠে দাঁড়ালাম, চিৎকার করলাম এবং লোকটিকে বললাম তার পরিচয়পত্র দেখাতে,’ ফেসবুকে এক স্টেটাসে লিখেছেন মিস গুপ্তা। বড়সড় এ স্টেটাসটিতে মিস গুপ্তা ওই ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন, তিনি শুধু প্রতিবাদ করেই ক্ষান্ত হননি, ওই অভিযুক্তকে আইনের হাতে সোপর্দ করার জন্য বাসটিকে ঘুরিয়ে থানার দিকে যেতে বাধ্যও করেন তিনি। যেসব সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারকারীরা মিস গুপ্তার এই কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেছেন, শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিল সেটা জানলে তারা হয়ত আশাহত হবেন।
ফেসবুকে মিস গুপ্তা লিখেছেন, তিনি যখন লোকটিকে চ্যালেঞ্জ করেন, তখন আনুমানিক ৪০ বছর বয়স্ক লোকটি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ সময় বাসটির জনা তিরিশেক যাত্রীও মিস গুপ্তার পক্ষে সোচ্চার হন। কিন্তু তারাও তাকে পরামর্শ দেন এ নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করতে। মিস গুপ্তা লিখেছেন, আমার সহযাত্রীরা আমাকে বলেন মেনে নিতে এবং ছেড়ে দিতে। ‘কিন্তু আমার সিদ্ধান্ত ছিল ভিন্ন। মাত্র ক্ষমা চেয়েই তার মতো একজন মানুষ পার পেয়ে যাবে, এমনটি হতে দিতে রাজি ছিলাম না আমি। ‘ বিবিসিকে মিস গুপ্তা বলেন, ‘তিনি বাস ড্রাইভারকে রাজি করেন বাসটি ঘুরে পার্শ্ববর্তী থানার দিকে নিয়ে যেতে। যাত্রীরা ওই অভিযুক্তকে ঘিরে ছিলেন। থানায় পৌঁছলে তারাই ওই অভিযুক্তকে ঘিরে ভেতরে নিয়ে যান। ‘ তারপর ওই ব্যক্তিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মিস গুপ্তা।

তার নাম মিস গুপ্তার পোস্টে উল্লেখ করা হয়নি, অন্য কোনো মাধ্যমেও লোকটির পরিচয় প্রকাশিত হয়নি। মিস গুপ্তা বলেন, তাকে হিন্দিতে জবানবন্দি লিখতে বলা হয়, কিন্তু এই ভাষাটি ঠিকঠাক লিখেতে জানেন না তিনি। এটা জেনে আমি অবাক হই, ভারতের কোনো নিরক্ষর মহিলা যদি সাহস করে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে যায়, তাদের ক্ষেত্রে কী হবে? আমি একজন আইনের ছাত্রী হয়েও পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ করতে হিমশিম খেয়েছি। থানা থেকে বেরিয়ে গিয়েই সমস্যার ইতি ঘটেনি বলে ফেসবুকে উল্লেখ করেন সাম্য গুপ্তা। তিনি যখন অন্য একটি বাসে চড়বার জন্য এগিয়ে যান, তখন অভিযুক্ত নিপীড়কের পক্ষ হয়ে কয়েকজন মানুষ তার দিকে এগিয়ে আসেন এবং অভিযোগ তুলে নেবার জন্য বলতে থাকেন। তারা তার চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলতে থাকেন বলে উল্লেখ করেন মিস গুপ্তা।

তারা বলতে থাকেন, যে হরদম নানারকম পুরুষের সাথে ওঠবস করে তার এ ধরনের অভিযোগের কোনো ভিত্তি থাকে নাকি। গুপ্তার এই অভিযোগ শোনার জন্য আদালত একটি তারিখও ধার্য করেন। কিন্তু সেই তারিখ আসার আগেই অভিযোগ তুলে নেন মিস গুপ্তা। এর কয়েকটি কারণ রয়েছে বলে বিবিসির কাছে উল্লেখ করেন তিনি। প্রথমত তিনি দাপ্তরিক জটিলতার কথা উল্লেখ করেন যার কারণে তার ফোন নম্বরটি ওই অভিযুক্তের পরিবার পেয়ে যায়। তারা তাকে নিয়মিত ফোন করতে থাকে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য। তারা ওই লোকটির দুটি সন্তানেরও দোহাই দেয়। তাদের মতে এটা আদালতে বিচার হবার মতো বড় কোনো ব্যাপার নয়, বলেন মিস গুপ্তা। তিনি আরো বলেন, আমি একজন ছাত্রী এবং আমার নিজের রোজগার নেই। আমিই আমার পরিবারে প্রথম আইন পড়ছি। পুলিশের কাছে আমি গেছি এটাই তাদের কাছে ছিল বিরাট ব্যাপার। এটা আমার পরিবারের জন্য বিরাট চাপ হয়ে দেখা দিয়েছিল, এটাও অভিযোগ তুলে নেওয়ার একটি কারণ।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ