রংপুর সিটির মেয়র-কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবিতে “রংপুর মহানগরবাসী”র ব্যানারে নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান এ বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন।
দাবি আদায়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা। দাবি পূরণ না হলে ঈদের পর লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সিটি কাউন্সিলরসহ নগরবাসীর পক্ষে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এ ঘোষণা দেন।
বুধবার (২৮ মে) দুপুর ১২টার দিকে নগরের শাপলা চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সিটি বাজারসংলগ্ন নগর ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা।
এ সময় অপসারিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের কর্মী-সমর্থক ছাড়াও ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা মানুষজন অংশগ্রহণ করেন। এতে সড়কের এক পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সমাবেশে সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, “এক দেশে দুই আইন চলতে পারে না। চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। তাকে পুনর্বহাল করা হয়েছে, আমরা এটিকে সাধুবাদ জানাই। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, আমরা এটিকেও সাধুবাদ জানাই। একটি স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত পরিষদকে কেন পুনর্বহাল করা হবে না, এটি নগরবাসী জানতে চায়। বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রশাসক সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা করতে পারছেন না।”
কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে বলবো, আগামী সাত দিনের মধ্যে সিটি পরিষদকে পূর্বের মতো কার্যকর করবেন বলে প্রত্যাশা করি। আর যদি না করেন তাহলে ঈদের পরে ১২ অথবা ১৩ জুন থেকে নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে মঞ্চ বসিয়ে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে। সবাই প্রস্তুত থাকবেন। দাবি আদায় করতে গেলে আঙুল বাঁকা করতে হবে। মব ভায়োলেন্স আপনারা করতে পারেন, শাহবাগ অবরোধ করতে পারেন, রংপুরের মানুষ করতে পারে না? আপনারা আপনাদের পূর্ব পুরুষদের কাছে জেনে নেবেন রংপুরের মানুষ কী করতে পারে আর কী করতে পারে না। আগামী দিনে জ্বলে উঠবে রংপুরের সাধারণ মানুষ, আপামর জনতা দলমত নির্বিশেষে সবাইকে রংপুরকে অচল করে দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মাহমুদুর রহমান টিটু, মোখলেছুর রহমান তরু, মকবুল হোসেন, ফেরদৌসী বেগমসহ বিভিন্ন শ্রমিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তারা বলেন, মেয়র-কাউন্সিলর না থাকায় আমলারা ইচ্ছামতো নগর ভবন পরিচালনা করছেন। এতে নগরবাসী বিড়ম্বনায় পড়েছেন। জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা পেতে সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
এছাড়া, জাতীয় পার্টির মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলার আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাকসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে পুনর্নির্বাচিত হন মোস্তাফিজার রহমান। ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে ১৯ আগস্ট দেশের সব সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

বাংলাদেশিসহ সব বিদেশিদের শিক্ষা ভিসা স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট (আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকারের সূচি)বিস্তারিত পড়ুন

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে কর্মবিরতি, জুলাইযোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ
কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন রাজধানী ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটবিস্তারিত পড়ুন

ফের রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক, জেনে রাখুন করণীয়
বাংলাদেশের অত্যন্ত বিষধর সাপের মধ্যে একটি রাসেলস ভাইপার। স্থানীয়ভাবে এটিবিস্তারিত পড়ুন